বাংলা একাডেমি ’আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’- এর সম্পাদক কে?
A
মুহাম্মদ আবদুল হাই
B
ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
C
সৈয়দ আলী আহসান
D
ড. দীনেশচন্দ্র সেন
উত্তরের বিবরণ
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
-
তিনি একজন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও ভাষাতত্ত্ববিদ।
-
জন্ম: ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই, পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে।
-
তিনি ‘জ্ঞানতাপস’ হিসেবে পরিচিত। তাঁকে ‘চলিষ্ণু অভিধান’ বলা হয়।
-
১৯৫৫-৫৮ সাল পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।
-
১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমেরিটাস নিযুক্ত হন।
-
তাঁর সম্পাদনা ও প্রকাশনায় মুসলিম বাংলার প্রথম শিশুপত্রিকা আঙুর আত্মপ্রকাশ করে।
-
এছাড়া তিনি ইংরেজি মাসিক পত্রিকা দি পীস, বাংলা মাসিক সাহিত্য পত্রিকা বঙ্গভূমি এবং পাক্ষিক তকবীর সম্পাদনা করেন।
-
তিনি বাংলা একাডেমির ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ সম্পাদনা করেন।
তাঁর রচিত অনুবাদ গ্রন্থ
-
দীওয়ানে হাফিজ
-
মহানবী (১৯৪০)
-
অমিয়শতক (১৯৪০)
-
বাণী শিকওয়াহ
-
জওয়াব-ই-শিকওয়াহ
-
রুবাইয়াত-ই-ওমর খ্যায়াম
তাঁর সংকলিত ও সম্পাদিত গ্রন্থ
-
পদ্মবতী
-
প্রাচীন ধর্মগ্রন্থে শেষ নবী
-
গল্প সংকলন
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
’Buddhist Mystic Songs’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
Created: 3 weeks ago
A
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
B
ড. সুকুমার সেন
C
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
D
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
‘Buddhist Mystic Songs’ হলো ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কর্তৃক চর্যাপদের অনুবাদ ও সম্পাদনা কর্ম। এই গ্রন্থে তিনি চর্যাপদের ২৩ জন কবির নাম উল্লেখ করেছেন। এর মাধ্যমে প্রাচীন বাংলা সাহিত্য ও ধর্মীয় মরমি কাব্যের পরিচয়কে আধুনিক পাঠকের কাছে উপস্থাপন করা হয়।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ একজন খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও ভাষাতত্ত্ববিদ।
-
তাঁর জন্ম ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে।
-
তিনি প্রথম উর্দুর পরিবর্তে বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার যৌক্তিক দাবি উত্থাপন করেন।
-
তিনি ১৯১১ সালে বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির সম্পাদক ছিলেন।
-
বিভিন্ন সভা ও সম্মেলনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
-
ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে তাঁর বহু মননশীল ও প্রবন্ধ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
-
তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পত্র-পত্রিকা সম্পাদনা করেন।
-
তাঁর সম্পাদিত পত্রিকা: আল-ইসলাম, বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা, বাংলার প্রথম শিশুপত্রিকা ‘আঙুর’, ইংরেজি মাসিক পত্রিকা ‘দি পীস’, বাংলা মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘বঙ্গভূমি’, পাক্ষিক তকবীর।
-
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: সিন্দবাদ সওদাগরের গল্প (১৯২২), ভাষা ও সাহিত্য (১৯৩১), বাঙ্গালা ব্যাকরণ (১৯৩৬), দীওয়ান-ই-হাফিজ (১৯৩৮), শিকওয়াহ ও জওয়াব-ই-শিকওয়াহ (১৯৪২), রুবাইয়াত-ই-উমর খয়্যাম (১৯৪২), বাংলা আদব কী তারিখ (১৯৫৭), বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (১৯৫৭), বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত (১৯৫৯)।
-
তিনি বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ব্যাকরণ গবেষণায় পথিকৃৎ হিসেবে স্বীকৃত।
-
১৯৬৯ সালের ১৩ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
-
মৃত্যুর পর তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করা হয়।

0
Updated: 3 weeks ago
ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ রচিত ইতিহাস গ্রন্থ কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
বঙ্গভাষা ও সাহিত্য
B
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
C
বাংলা সাহিত্যের কথা
D
বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা
বাংলা সাহিত্যের কথা
-
লেখক: ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
-
এটি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের একটি বিখ্যাত গ্রন্থ।
-
গ্রন্থে বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ ও মধ্যযুগ নিয়ে বিশদ আলোচনা রয়েছে।
-
গ্রন্থটি একাধিক সংস্করণে প্রকাশিত হয়:
-
প্রথম সংস্করণ: এপ্রিল, ১৯৫৩
-
দ্বিতীয় নতুন সংস্করণ: এপ্রিল, ১৯৬৩
-
তৃতীয় পরিমার্জিত সংস্করণ: কার্তিক ১৩৭৩ (অক্টোবর ১৯৬৬)
-
চতুর্থ পরিবর্ধিত নূতন সংস্করণ: শ্রাবণ ১৩৭৫ (জুলাই ১৯৬৮)
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ রচিত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ:
-
ভাষা ও সাহিত্য
-
বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত
-
দীওয়ানে হাফিজ
-
রুবাইয়াত-ই-ওমর খৈয়াম
-
নবী করিম মুহাম্মাদ
-
ইসলাম প্রসঙ্গ
-
বিদ্যাপতি শতক
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
-
ব্যাকরণ পরিচয়
-
বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান
-
মহররম শরীফ
-
টেইল ফ্রম দি কুরআন
-
Buddhist Mystic Songs (১৯৬০)
-
Hundred Sayings of the Holy Prophet
অন্যান্য সমকালীন বা সমকক্ষ বাংলা সাহিত্য ইতিহাস গ্রন্থ:
-
দীনেশচন্দ্র সেন – বঙ্গভাষা ও সাহিত্য
-
ড. সুকুমার সেন – বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
-
গোপাল হালদার – বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা

0
Updated: 3 weeks ago
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ সম্পাদিত 'Buddhist Mystic Songs' গ্রন্থে চর্যাপদের কয়টি পদ সংখ্যার উল্লেখ্য রয়েছে?
Created: 3 weeks ago
A
সাড়ে ৪৬টি
B
৫০টি
C
৫১টি
D
৫২টি
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ, কবিতা সংকলন বা গানের সংকলন হিসেবে পরিচিত।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদে রচিত গানগুলো বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন এবং এতে বৌদ্ধধর্মের বিষয়বস্তু আলোচিত হয়েছে।
-
১৯১৬ সালে কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ চর্যাপদ আধুনিক লিপিতে প্রকাশ করে। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায় এটি ‘হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে প্রকাশিত হয়।
চর্যাপদ বিষয়ক গবেষণা ও তথ্য:
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ সম্পাদিত Buddhist Mystic Songs গ্রন্থে চর্যাপদের ২৩ জন কবির নাম উল্লেখ আছে; তিনি পদসংখ্যা ৫০টি মনে করেন।
-
ড. সুকুমার সেন ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস’ (প্রথম খণ্ড) গ্রন্থে ২৪ জন পদকর্তার নাম উল্লেখ করেছেন। তিনি পদসংখ্যা ৫১টি মনে করলেও, চর্যাগীতি পদাবলী গ্রন্থে ৫০টি পদের উল্লেখ করেছেন। মুনিদত্ত আলোচনায় ৫০টি পদের ব্যাখ্যা করেছেন।
-
চর্যাপদকে তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেছেন কীর্তিচন্দ্র; ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী এই তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদকে সংস্কৃত ভাষায় ব্যাখ্যা করেছেন মুনিদত্ত; তিনি ১১ নম্বর পদের ব্যাখ্যা করেননি।

0
Updated: 3 weeks ago