কোনটি প্রমথ চৌধুরী রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ?
A
পদচারণ
B
দুর্দিনের যাত্রী
C
রায়তের কথা
D
যুগবাণী
উত্তরের বিবরণ
প্রমথ চৌধুরী
-
তিনি ছিলেন বাংলা চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক।
-
১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট যশোরে তাঁর জন্ম।
-
সবুজপত্র পত্রিকা সম্পাদনার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে চলিতরীতি প্রবর্তন করেন।
-
প্রমথ চৌধুরী বাংলা সাহিত্যে বিদ্রূপাত্মক প্রাবন্ধিক হিসেবে পরিচিত।
-
ছোটোগল্প ও সনেট রচনাতেও তাঁর বিশেষ অবদান রয়েছে।
-
তাঁর সম্পাদিত পত্রিকা: সবুজপত্র।
-
প্রমথ চৌধুরীর উক্তি: “সুশিক্ষিত লোক মানে স্বশিক্ষিত”।
তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থ
-
তেল-নুন-লাকড়ি
-
বীরবলের হালখাতা
-
নানাকথা
-
নানা চর্চা
-
রায়তের কথা
তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ
-
সনেট পঞ্চাশৎ
-
পদচারণ
অন্যদিকে
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
যুগবাণী
-
দুর্দিনের যাত্রী
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
'পৃথিবীর শিল্পী মাত্রেই এই শিল্পের খেলা খেলে থাকেন।'- উক্তিটি কার?
Created: 3 weeks ago
A
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
প্রমথ চৌধুরী
D
সুফিয়া কামাল
‘পৃথিবীর শিল্পী মাত্রেই এই শিল্পের খেলা খেলে থাকেন’ উক্তিটি প্রমথ চৌধুরীর 'সাহিত্যের খেলা' প্রবন্ধের অন্তর্ভুক্ত। উক্তিটির বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রমথ চৌধুরী বিশ্বাস করেন যে পৃথিবীর সকল শিল্পীর শিল্প সৃষ্টির প্রয়াসই একটি খেলা। তিনি প্রকাশ করেছেন, শিল্পী যা কিছু সৃষ্টি করেন তা তাঁর কাছে একরকম খেলার রূপ, এবং উদাহরণ হিসেবে বিখ্যাত ফরাসি ভাস্কর রোদ্যাকে উল্লেখ করেছেন। মাটির পুতুল তৈরি করার খেলা খেলেই রোদ্যা বিশ্বখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। একইভাবে, পৃথিবীর সকল শিল্পী প্রতিনিয়ত অভিনব সৃষ্টিশীল কাজগুলো খেলার মাধ্যমে তৈরি করে যাচ্ছেন।
-
'সাহিত্যের খেলা' প্রবন্ধের বিখ্যাত উক্তি:
-
"কাব্যজগতে যার নাম আনন্দ, তারই নাম বেদনা।"
-
"সাহিত্যের উদ্দেশ্যে সকলকে আনন্দ দান করা কারো মনোরঞ্জনের বিষয় নয়।"
-
"বেদীতে না বসলে আমাদের উপদেশ কেউ মানে না।"
-
"যিনি গড়তে জানেন, তিনি শিবও গড়তে পারেন, বাঁদরও গড়তে পারেন।"
-
"সাহিত্য শিক্ষার ভার নেয় না, কেননা মনোজগতে শিক্ষকের কাজ হচ্ছে কবির কাজের ঠিক উলটো।"
-

0
Updated: 3 weeks ago
'ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালি পড়ে', বলেছেন-
Created: 3 months ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
D
প্রমথ চৌধুরী
প্রমথ চৌধুরী
প্রমথ চৌধুরী ছিলেন একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিক এবং বাংলা চলিত গদ্যের পথিকৃৎ। তিনি ১৮৬৮ সালের ৭ই আগস্ট যশোরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’।
১৯০২ সালে ‘বীরবলের হালখাতা’ নামক গ্রন্থটি ভারতী পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়, যেখানে তিনি বাংলা সাহিত্যে প্রথমবারের মতো চলিত গদ্যরীতি প্রবর্তন করেন।
এছাড়াও, তিনি বাংলা কাব্য সাহিত্যে ইতালীয় সনেটের ধারাকে প্রথম বারে পরিচয় করিয়েছেন। প্রমথ চৌধুরী ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার উল্লেখযোগ্য রচিত কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
সনেট পঞ্চাশৎ
-
পদচারণ
গবেষণা ও প্রবন্ধগ্রন্থ
-
তেল নুন লকড়ি
-
বীরবলের হালখাতা
-
নানাকথা
-
আমাদের শিক্ষা
-
রায়তের কথা
-
নানাচর্চা
-
আত্মকথা
-
প্রবন্ধসংগ্রহ ইত্যাদি
গল্পগ্রন্থ
-
চার ইয়ারী কথা
-
আহুতি
-
নীললোহিত
প্রমথ চৌধুরীর কিছু প্রখ্যাত উক্তি
-
সুশিক্ষিত ব্যক্তি নিজে থেকেই শিক্ষিত হয়ে ওঠে।
-
ভাষা মানুষ থেকে কলমে আসে, কিন্তু কলম থেকে মানুষকে ভাষায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।
-
আনন্দের প্রকৃতি হলো সংক্রামকতা।
-
সাহিত্যে মানবতা লুকানো থাকে এবং সেই আনন্দ উপভোগ করা হয়।
-
খেলার মধ্যে যদি আনন্দ না থাকে, তবে সেটি খেলা নয়, বরং জুয়া।
-
যে জাতি যত বেশি দুঃখ পায়, সে জাতি তত বেশি নিস্তেজ হয়।
তথ্যসূত্র: ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা’ (ড. সৌমিত্র শেখর) এবং ‘প্রথম আলো’।

0
Updated: 3 months ago
'ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালি পড়ে', বলেছেন -
Created: 2 months ago
A
রবীন্দ্রনাথ
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
D
প্রমথ চৌধুরী
প্রমথ চৌধুরী কর্তৃক আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পঙক্তি হল ''সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত''।

0
Updated: 2 months ago