ভাষার ক্ষুদ্রতম একক কী?
A
শব্দ
B
বর্ণ
C
ধ্বনি
D
অক্ষর
উত্তরের বিবরণ
ভাষা ও তার উপাদান
-
সংজ্ঞা: বাগযন্ত্রের দ্বারা উচ্চারিত অর্থবোধক ধ্বনির সাহায্যে মানুষের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যমকে ভাষা বলে।
-
ভাষার ক্ষুদ্রতম একক: ধ্বনি
-
ধ্বনি ভাষার মূল উপাদান।
-
ধ্বনিকে শব্দের ক্ষুদ্রতম এককও বলা হয়।
-
-
ধ্বনির লিখিত রূপ: বর্ণ
-
ধ্বনি চেনার স্মারক বা চিহ্ন বা প্রতীকই বর্ণ।
-
-
ভাষার মৌলিক উপাদান: শব্দ
-
শব্দের ক্ষুদ্রতম অংশ: অক্ষর
-
উৎস:
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মাহমুদ

0
Updated: 1 month ago
ধ্বনি উৎপন্ন হয় মূলত—
Created: 2 weeks ago
A
B
C
D
মানুষের মুখে ধ্বনি উৎপাদনের জন্য যেসব অঙ্গ একসঙ্গে কাজ করে, সেগুলোকে বলা হয় বাগ্যন্ত্র। এই অঙ্গগুলোর সাহায্যে ফুসফুস থেকে নির্গত বায়ু বিভিন্নভাবে রূপান্তরিত হয়ে ধ্বনিতে পরিণত হয়।
বাগ্যন্ত্র:
-
ধ্বনি উচ্চারণে ব্যবহৃত প্রত্যঙ্গসমূহকে একত্রে বাগ্যন্ত্র বলা হয়।
-
এগুলোর মাধ্যমে ফুসফুস থেকে নির্গত বায়ু ঠোঁট পর্যন্ত পৌঁছে বিভিন্ন ধ্বনি তৈরি করে।
-
ফুসফুস থেকে ঠোঁট পর্যন্ত ধ্বনি উৎপাদনে যুক্ত প্রতিটি অঙ্গই বাগ্যন্ত্রের অংশ।
ফুসফুস:
-
ধ্বনি সৃষ্টির মূল উৎস হলো ফুসফুস, কারণ এখান থেকেই বায়ুপ্রবাহ উৎপন্ন হয়।
-
এটি শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজ করে, অর্থাৎ বায়ু গ্রহণ ও ত্যাগের মাধ্যমে ধ্বনির জন্য প্রয়োজনীয় চাপ তৈরি করে।
-
মূলত শ্বাস ত্যাগের সময় ধ্বনি উৎপন্ন হয়, যা পরবর্তীতে বাগ্যন্ত্রের সাহায্যে রূপ পায়।

0
Updated: 2 weeks ago
'হয়' শব্দে কোন দ্বিস্বরধ্বনি ব্যবহৃত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
অই্
B
অএ্
C
অও্
D
আই্
• দ্বিস্বরধ্বনি:
পূর্ণ স্বরধ্বনি ও অর্ধস্বরধ্বনি একত্রে উচ্চারিত হলে দ্বিস্বরধ্বনি হয়।
উদাহরণ: 'লাউ' শব্দে [আ] (পূর্ণ স্বর) + [উ্] (অর্ধস্বর) = [আউ্]
দ্বিস্বরধ্বনির কিছু উদাহরণ:
-
[আই্]: তাই, নাই
-
[এই্]: সেই, নেই
-
[আও্]: যাও, দাও
-
[আএ্]: খায়, যায়
-
[উই্]: দুই, রুই
-
[অএ্]: নয়, হয়
-
[ওউ্]: মৌ, বউ
-
[ওই্]: কৈ, দই
-
[এউ্]: কেউ, ঘেউ

0
Updated: 1 month ago
ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্য কোথায়?
Created: 5 days ago
A
লেখার ধরনে
B
উচ্চারনের বিশিষ্টতায়
C
সংখ্যাগত পরিমানে
D
ইন্দ্রিয় গ্রাহ্যে
ধ্বনি ও বর্ণ বাংলা ব্যাকরণে দুটি স্বতন্ত্র ধারণা, যাদের মূল পার্থক্য তাদের প্রকৃতি এবং ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতার মধ্যে নিহিত। ধ্বনি শ্রুতিগ্রাহ্য, আর বর্ণ দৃষ্টিগ্রাহ্য। নিচে এই পার্থক্য স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
ধ্বনি:
-
এটি মুখ থেকে উচ্চারিত শব্দ বা কথনের একক।
-
কান দিয়ে শোনা যায়, অর্থাৎ এটি শ্রুতিগ্রাহ্য।
-
ভাষার মৌখিক রূপের অংশ এবং উচ্চারণের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
-
উদাহরণ: ‘ক’ বা ‘আ’ ধ্বনি উচ্চারণের সময় শ্রুতিগোচর হয়।
-
ভাষাভেদে ধ্বনির সংখ্যা ও প্রকৃতি ভিন্ন হতে পারে।
বর্ণ:
-
এটি ধ্বনির লিখিত প্রতীক বা চিহ্ন।
-
চোখ দিয়ে দেখা যায়, অর্থাৎ এটি দৃষ্টিগ্রাহ্য।
-
বাংলা বর্ণমালায় স্বরবর্ণ (অ, আ, ই) ও ব্যঞ্জনবর্ণ (ক, খ, গ) উভয়ই রয়েছে, যা ধ্বনিকে লিখিত রূপে প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: আমরা যখন ‘ক’ উচ্চারণ করি, তখন তা ধ্বনি; কিন্তু লিখলে ‘ক’ তখন তা বর্ণ।
এই বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যায়, ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্যের মূল ভিত্তি হলো ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতা, অর্থাৎ একটির উৎস শ্রবণেন্দ্রিয় আর অন্যটির দৃষ্টিেন্দ্রিয়।

0
Updated: 5 days ago