A
জয়নুল আবেদিন
B
এস এম সুলতান
C
কামরুল হাসান
D
কাইয়ুম চৌধুরি
উত্তরের বিবরণ
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন
-
জন্ম: ১৯১৪ সালে ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ মহুকুমার কেন্দুয়াতে (বর্তমান নেত্রকোণা)।
-
মৃত্যু: ২৮ মে ১৯৭৬, ঢাকা।
-
উপাধি: শিল্পাচার্য (১৯৬৮ সালে ঢাকা আর্ট কলেজের ছাত্রদের পক্ষ থেকে)।
-
সম্মাননা: হেলাল-ই-ইমতিয়াজ (১৯৫৮ সালে, পাকিস্তান সরকার কর্তৃক), যা তিনি ১৯৭১ সালে বর্জন করেন।
-
জাতীয় অধ্যাপক: ১৯৭৪ সালে মনোনীত হন।
কর্মজীবন ও অবদান
-
নদী ও প্রকৃতির অনুপ্রেরণায় প্রথম জীবনে রোমান্টিক ধাঁচের চিত্র অঙ্কন শুরু করেন।
-
দেশভাগের পর ঢাকায় এসে আর্ট ইনস্টিটিউট (১৯৪৮) প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন। (বর্তমান চারুকলা ইনস্টিটিউট)।
-
তিনি বাংলাদেশে আধুনিক শিল্প আন্দোলনের পুরোধা।
-
১৯৭৫ সালে সোনারগাঁও-এ লোকশিল্প জাদুঘর ও ময়মনসিংহে সংগ্রহশালা প্রতিষ্ঠা করেন।
-
বাংলাদেশ সংবিধানের মূল সাজসজ্জার পরিকল্পনাকারী ছিলেন।
উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্ম
-
দুর্ভিক্ষ (১৯৪৩) → বাংলার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের চিত্রায়ণ।
-
ম্যাডোনা-৪৩ → দুর্ভিক্ষে মা ও শিশুর করুণ বাস্তবতা; মানবিক দুর্দশার প্রতীক।
-
সংগ্রাম, সাঁওতাল রমণী, বিদ্রোহী, মহিলা, দুই মহিলা (১৯৫৩), পাইন্যার মা (১৯৫৩), ফসল মাড়াই (১৯৬৩), নবান্ন, মনপুরা ইত্যাদি।
-
নবান্ন (১৯৬৯) → গণঅভ্যুত্থানকে ভিত্তি করে আঁকা ৬৫ ফুট দীর্ঘ স্ক্রল পেইন্টিং।
-
মনপুরা (১৯৭০) → ঘূর্ণিঝড়ে নিহত হাজারো মানুষের স্মৃতির উদ্দেশ্যে আঁকা ৩০ ফুট দীর্ঘ চিত্রকর্ম।
-
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রকর্ম: ‘মুক্তিযোদ্ধা’।
তাঁর শিল্পকর্মে দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের দুঃখ-যন্ত্রণা, সংগ্রাম, প্রকৃতি ও গণআন্দোলনের চিত্রধর্মী প্রকাশ বিশেষভাবে লক্ষণীয়।

0
Updated: 1 week ago