যে বায়ু সর্বদাই উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয় তাকে বলা হয়-
A
আয়ন বায়
B
প্রত্যয়ন বায়ু
C
মৌসুমী বায়ু
D
নিয়ত বায়ু
উত্তরের বিবরণ
বায়ু সর্বদা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রবাহিত হয় এবং এই প্রবাহ নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে। সাধারণত, উচ্চচাপের অঞ্চল থেকে ঠান্ডা ও ভারী বায়ু নিম্নচাপের অঞ্চলের দিকে গমন করে।
এছাড়া, ফেরেলের সূত্র অনুযায়ী, উত্তর গোলার্ধে বায়ু ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বায়ু বামদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়।
বায়ুপ্রবাহ প্রধানত চারটি শ্রেণিতে বিভক্ত:
-
নিয়মিত বায়ু
-
ঋতুভিত্তিক বা সাময়িক বায়ু
-
স্থানিক বায়ু
-
অনিয়মিত বায়ু
নিয়মিত বায়ু
নিয়মিত বায়ু হলো সেই বায়ুপ্রবাহ যা সারা বছর একই দিক এবং ধরনে নির্দিষ্ট উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়। এই বায়ুপ্রবাহ পৃথিবীর বিভিন্ন চাপে বলয় দ্বারা প্রভাবিত হয়ে চলে।
নিয়মিত বায়ু তিন ভাগে বিভক্ত:
-
অয়ন বায়ু (Trade Winds): কর্কট ও মকরক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয়ে এই বায়ুর সৃষ্টি হয়।
-
পশ্চিমা বায়ু (Westerlies): এটি প্রত্যয়ন বায়ু নামেও পরিচিত, যা মধ্য অক্ষাংশ অঞ্চল থেকে উচ্চ অক্ষাংশের দিকে প্রবাহিত হয়।
-
মেরু বায়ু (Polar Winds): মেরু অঞ্চলের উচ্চচাপ বলয় থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে যে বায়ু প্রবাহিত হয়, তা মেরু বায়ু নামে পরিচিত।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
বছরের নির্দিষ্ট সময়ে যেসব বায়ু নির্দিষ্ট দিক থেকে প্রবাহিত হয়, সেগুলোকে মৌসুমি বা ঋতুবায়ু বলা হয়।
সূত্র: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 5 months ago
Which of the following is not a country with an equatorial climate?
Created: 2 weeks ago
A
Costa Rica
B
Philippines
C
Albania
D
Brunei
নিরক্ষীয় জলবায়ু হলো এমন একটি জলবায়ু যা মূলত নিরক্ষরেখার আশপাশের দেশসমূহে বিরাজমান থাকে এবং এখানে সূর্যের তাপ Year-round বেশি থাকে। এর মূল বিষয়গুলো হলো:
অবস্থান ও দেশসমূহ:
-
নিরক্ষরেখার উভয় পাশে ৫° অক্ষাংশের মধ্যে নিরক্ষীয় অঞ্চল অবস্থিত।
-
সূর্যের উত্তরায়ন ও দক্ষিণায়নের কারণে এ অঞ্চলে বছরে দুইবার অত্যধিক তাপমাত্রা দেখা যায়।
-
কিছু স্থানে নিরক্ষরেখার উত্তর ও দক্ষিণে ১০° অক্ষাংশ পর্যন্ত জলবায়ু বিস্তৃত।
-
বিষুবরেখার পার্শ্ববর্তী ৯৬৫ কি.মি. এলাকা জুড়ে এই জলবায়ুর প্রভাব বিস্তৃত।
-
আফ্রিকার কঙ্গো নদীর অববাহিকা ও গিনি উপকূলীয় এলাকা, মধ্য আমেরিকার পূর্ব উপকূলের পানামা, হন্ডুরাস, কোস্টারিকা, নিকারাগুয়া, এবং দক্ষিণ আমেরিকার পূর্ব উপকূল অন্তর্ভুক্ত।
-
এছাড়াও নিরক্ষরেখার কাছাকাছি দেশগুলো যেমন মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনাই, ফিলিপাইন, আমাজন নদীর অববাহিকা, পেরু, ইকুয়েডর ও কলম্বিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে এই জলবায়ুর প্রভাব থাকে।
-
উল্লেখ্য, আলবেনিয়া নিরক্ষীয় জলবায়ুর অন্তর্ভুক্ত নয়।
নিরক্ষীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য:
-
সূর্য প্রায় সারাবছর লম্বভাবে কিরণ দেয়, ফলে গ্রীষ্মকালের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়।
-
উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুর কারণে দিন-রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তনশীল থাকে।
-
শীতের প্রকোপ প্রায় নেই।
-
অন্যান্য বৈশিষ্ট্য:
১. সারাবছর সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয়ার ফলে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বেশি থাকে।
২. অধিক সূর্য তাপ ও জলভাগের কারণে বাষ্পীভবনের মাত্রা বেশি।
৩. বেশি বৃষ্টিপাতের কারণে চিরহরিৎ বনাঞ্চল গড়ে ওঠে।
৪. অধিক উত্তাপের ফলে স্থায়ী নিম্নচাপ তৈরি হয় এবং উপক্রান্তীয় উষ্ণ চাপবাহিত বাতাস প্রবাহিত হয়।
৫. মৃত্তিকা কৃষিকাজের জন্য উপকারী হলেও মাটি ক্ষয় হয়।
0
Updated: 2 weeks ago
কত বছরের গড় আবহাওয়ার অবস্থা ঐ অঞ্চলের জলবায়ু?
Created: 1 month ago
A
১০-১৫ বছর
B
১৫-৩০ বছর
C
২০-৩৫ বছর
D
৩০-৪০ বছর
আবহাওয়া হলো কোনো নির্দিষ্ট স্থানের দৈনন্দিন বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা, যা মূলত বায়ুর তাপমাত্রা, চাপ এবং প্রবাহের বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে। অন্যদিকে জলবায়ু বোঝায় কোনো স্থানের দীর্ঘমেয়াদি (সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ বছর) আবহাওয়ার গড় অবস্থা।
-
আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদান হলো বায়ুর তাপ, চাপ, বৃষ্টিপাত, আর্দ্রতা এবং বায়ুপ্রবাহ।
-
জলবায়ুর নিয়ামক উপাদান হলো অক্ষাংশ, উচ্চতা, সমুদ্র থেকে দূরত্ব, বায়ুপ্রবাহ, বনভূমি, সমুদ্রস্রোত, পর্বতের অবস্থান, ভূমির ঢাল ও মৃত্তিকা।
-
বাংলাদেশের জলবায়ুতে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব অত্যধিক হওয়ায় এটি ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু নামে পরিচিত।
0
Updated: 1 month ago
বিপর্যয় উপদ্রুত এলাকার জনসাধারণ যখন চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন তাকে কী বলে?
Created: 1 month ago
A
আপদ
B
বিপদাপন্নতা
C
প্রতিকূলতা
D
দুর্যোগ
দুর্যোগ এমন এক প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট বিপর্যয় যা একটি নির্দিষ্ট এলাকার জনগণের জীবনযাত্রা ও পরিবেশে ব্যাপক প্রভাব ফেলে এবং তাদের নিজস্ব সামর্থ্যের বাইরে চলে যায়। এটি সমাজ ও পরিবেশে দীর্ঘস্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে।
-
সংজ্ঞা: যখন কোনো বিপর্যয় জনগোষ্ঠীর বৃহৎ অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং তাদের নিজস্ব মোকাবিলা ক্ষমতার বাইরে চলে যায়, তখন তাকে দুর্যোগ বলা হয়।
-
দুর্যোগ একটি এলাকার স্বাভাবিক কার্যক্রমে প্রচণ্ড বিঘ্ন সৃষ্টি করে এবং জীবন, সম্পদ ও পরিবেশের বড় ধরনের ক্ষতি ঘটায়।
-
ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য নিজস্ব সম্পদ দিয়ে এ ক্ষতি সামাল দেওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে।
-
অনেক ক্ষেত্রে দুর্যোগ কোনো স্থানের জনবসতি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয়, যার ফলে পূর্বাবস্থায় ফিরে আসা সহজ হয় না।
0
Updated: 1 month ago