A
আরবের বিভিন্ন দেশে গণজাগরণ
B
আরব অঞ্চলে বসন্তকাল
C
আরব রাজতন্ত্র
D
আরবীয় মহিলাদের ক্ষমতায়ন
উত্তরের বিবরণ
আরব বসন্ত
আরব বসন্ত হলো আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনগণের গণজাগরণের আন্দোলন। এটি ২০১০ সালের শেষের দিকে শুরু হয়, যখন সাধারণ মানুষ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। এই আন্দোলনের ফলে বহু দেশেই দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা স্বৈরশাসকরা ক্ষমতাচ্যুত হন। আরব বসন্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং আঞ্চলিক মিডিয়ার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সূচনা ও বিস্তার:
আরব বসন্তের সূচনা হয় তিউনিসিয়ায়, যা উত্তর আফ্রিকার একটি দেশ। ২০১০–২০১১ সালে এই আন্দোলনের ঢেউ মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেশ হলো:
-
মিশর: প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারক ক্ষমতাচ্যুত হন।
-
লিবিয়া: মুয়াম্মর আল-গাদ্দাফির শাসনকাল শেষ হয়।
-
এছাড়াও সিরিয়া, ইয়েমেন, বাহরাইন ও অন্যান্য দেশে আন্দোলন চলে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে এই আন্দোলনের প্রভাবও ছিল বড়। প্রায় পৌনে দুই বছরের মধ্যে শুধু ছয়টি দেশেই (লিবিয়া, সিরিয়া, মিশর, তিউনিসিয়া, বাহরাইন ও ইয়েমেন) মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২,০৫৬ কোটি ডলার।
উৎস: Britannica

0
Updated: 1 week ago
নিম্নের কোনটি গ্রিন হাউজ গ্যাস নয়?
Created: 3 days ago
A
নাইট্রাস অক্সাইড
B
কার্বন ডাই-অক্সাইড
C
অক্সিজেন
D
মিথেন
গ্রিন হাউস এবং গ্রিন হাউস গ্যাস
গ্রিন হাউস:
গ্রিন হাউস হলো কাচ বা স্বচ্ছ উপকরণ দিয়ে তৈরি একটি ঘর, যেখানে উদ্ভিদ বা শাকসবজি চাষ করা হয়। এটি তাপ ধরে রাখে এবং উদ্ভিদ বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। সাধারণত শীতপ্রধান দেশগুলো বা মরুভূমি অঞ্চলে এর ব্যবহার বেশি।
গ্রিন হাউস গ্যাস:
গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো এমন গ্যাস যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাপ ধরে রাখে, সূর্য থেকে আসা তাপ বিকিরণকে আটকে দেয় এবং পৃথিবীকে গরম করে। প্রধান গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো হলো:
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂)
-
মিথেন (CH₄)
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)
-
ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (CFCs)
এখানে জেনে রাখা জরুরি: অক্সিজেন গ্রিন হাউস গ্যাস নয়।
গ্রিন হাউস ইফেক্ট:
যখন গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো সূর্য থেকে আসা তাপকে আটকে দিয়ে বায়ুমণ্ডলকে গরম করে, তখন সেই প্রক্রিয়াটিকে গ্রিন হাউস ইফেক্ট বলা হয়। এই শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন সুইডিশ রসায়নবিদ সোভান্টে আরহেনিয়াস।
গ্রিন হাউস প্রভাব এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন:
বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে:
-
পৃথিবীর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে (বৈশ্বিক উষ্ণায়ন)।
-
সমুদ্রপৃষ্ঠের পানি বাড়ছে।
-
আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে।
-
প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়ছে।
-
অনেক প্রাণী এবং উদ্ভিদ প্রজাতি বিলুপ্তির পথে যাচ্ছে।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 3 days ago
'ডমিনো' তত্ত্বটি কোন অঞ্চলের জন্য প্রযোজ্য ছিল?
Created: 1 week ago
A
নিকট প্রাচ্য
B
পূর্ব আফ্রিকা
C
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া
D
পূর্ব ইউরোপ
ডমিনো তত্ত্ব (Domino Theory)
-
সংজ্ঞা: ডমিনো তত্ত্ব হলো একটি পররাষ্ট্র নীতি, যা যুক্তরাষ্ট্র স্নায়ুযুদ্ধের সময়ে গ্রহণ করেছিল। তত্ত্বটি বলেছে, “যদি কোনো একটি দেশে সাম্যবাদীরা ক্ষমতায় আসে, তবে কাছাকাছি থাকা অন্যান্য দেশগুলিও ক্রমান্বয়ে সাম্যবাদীদের দখলে চলে যাবে।”
-
লক্ষ্য: মূল লক্ষ্য ছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সাম্যবাদের বিস্তার রোধ করা।
-
ইতিহাস: ১৯৫০ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এই তত্ত্বকে নীতি হিসেবে প্রচার করেছিল। সাবেক প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস. ট্রুম্যান তত্ত্বের প্রবর্তক, কিন্তু এটি প্রথম বাস্তবে প্রয়োগ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার।
-
প্রয়োগ: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র এই নীতি ব্যবহার করেছিল।
উৎস: History.com

0
Updated: 1 week ago
'Law of the Sea Convention' অনুযায়ী উপকূল থেকে কত দূরত্ব পর্যন্ত Exclusive Economic Zone' হিসেবে গণ্য?
Created: 3 days ago
A
২২ নটিক্যাল মাইল
B
৪৪ নটিক্যাল মাইল
C
২০০ নটিক্যাল মাইল
D
৩৭০ নটিক্যাল মাইল
UNCLOS (United Nations Convention on the Law of the Sea)
-
পূর্ণরূপ: United Nations Convention on the Law of the Sea
-
প্রকৃতি: এটি জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন।
-
স্বাক্ষরিত: ১৯৮২
-
কার্যকর: ১৯৯৪
-
প্রধান বিষয়: মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা, নৌপরিবহন, মহীসোপান (continental shelf), গভীর সমুদ্র তল, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, সমুদ্র দূষণ নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি।
আঞ্চলিক সমুদ্র অঞ্চল (Territorial Sea)
-
উপকূলীয় রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব বজায় থাকে তটরেখা থেকে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত।
-
দূরত্ব: ১৯৮২ সালের UNCLOS অনুসারে ১২ নটিক্যাল মাইল।
সংরক্ষিত অর্থনৈতিক অঞ্চল (Exclusive Economic Zone – EEZ)
-
উপকূলীয় রাষ্ট্রকে সমুদ্রের বিশেষ অর্থনৈতিক অধিকার দেওয়া হয়েছে।
-
এখানে সম্পদ আহরণ, মৎস্য শিকার, খনিজ উত্তোলন ইত্যাদিতে একচেটিয়া অধিকার থাকে।
-
বিস্তার: তটরেখা থেকে সর্বোচ্চ ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত।
মহীসোপান (Continental Shelf)
-
এটি মহাদেশের নিমজ্জিত অংশ যা সমুদ্রের পানির নিচে বিস্তৃত।
-
সমুদ্রের গভীরতা এখানে সাধারণত কম।
-
বিস্তার: UNCLOS ১৯৮২ অনুযায়ী, তটরেখা থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত, অথবা ২৫০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত ১০০ নটিক্যাল মাইল অতিরিক্ত বিস্তৃত করা যায়।
উৎস: UNCLOS ওয়েবসাইট।

0
Updated: 3 days ago