A
অর্থ মন্ত্রণালয়
B
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
C
বাংলাদেশ ব্যাংক
D
সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন
উত্তরের বিবরণ
BSEC (বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন)
-
পূর্ণরূপ: Bangladesh Securities and Exchange Commission (BSEC)।
-
প্রতিষ্ঠা: ৮ জুন, ১৯৯৩ তারিখে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩-এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত।
-
কার্যক্রম: দেশের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করা। BSEC সরকারের সহায়তায় পুঁজিবাজারের উন্নয়ন এবং একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ, টেকসই ও আধুনিক পুঁজিবাজার গঠনে কাজ করে আসছে।
-
উদ্দেশ্য: বিনিয়োগকারীদের পুঁজির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করা।
-
কর্মকর্তা: BSEC-এর নেতৃত্বে একজন চেয়ারম্যান এবং চারজন কমিশনার থাকেন। চেয়ারম্যান কমিশনের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
দায়িত্ব: বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন করা এবং সেই অনুযায়ী বাজার তদারকি করা।
-
সংগঠন: BSEC একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরাসরি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে যুক্ত।
বাংলাদেশে স্টক এক্সচেঞ্জ:
-
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (DSE): ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত।
-
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (CSE): ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত।
উৎস: BSEC ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের একমাত্র কিশোরী সংশোধন প্রতিষ্ঠানটি কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
টঙ্গি
B
কোনাবাড়ি
C
যশোর
D
গাজীপুর
শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (সংশোধন প্রতিষ্ঠান)
শিশু আইন, ২০১৩ অনুযায়ী আইনের সঙ্গে জড়িত কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে থাকা শিশুদের জন্য সরকার শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র পরিচালনা করে থাকে।
এসব প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য হলো ওইসব শিশুদের ব্যক্তিত্ব ও আচরণিক বিকাশ ঘটিয়ে সমাজে তাদের ইতিবাচকভাবে পুনঃস্থাপন নিশ্চিত করা।
এই কেন্দ্রগুলোতে বিভিন্নভাবে শিশুদের পূর্ণাঙ্গ মানসিক ও সামাজিক বিকাশের জন্য সহায়তা প্রদান করা হয়—যেমন: কেইস ওয়ার্ক, গাইডেন্স ও কাউন্সেলিং।এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুদের ব্যক্তিত্ব গঠনে ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে কাজ করা হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশে মোট তিনটি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র চালু রয়েছে। এর মধ্যে দুটি শুধুমাত্র বালকদের জন্য এবং একটি কিশোরী (বালিকা) সংশোধন প্রতিষ্ঠান। উল্লেখযোগ্যভাবে, দেশের একমাত্র কিশোরী সংশোধন কেন্দ্রটি গাজীপুর জেলার কোনাবাড়িতে অবস্থিত।
তিনটি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র নিম্নরূপ:
-
শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালক) – টঙ্গী, গাজীপুর
-
শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালিকা) – কোনাবাড়ী, গাজীপুর
-
শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালক) – পুলেরহাট, যশোর
তথ্যসূত্র: সমাজসেবা অধিদপ্তর

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের সমন্বয়কারী কোন সংস্থা?
Created: 1 month ago
A
জাইকা
B
ইউএনডিপি
C
বিশ্বব্যাংক
D
আইএমএফ
বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম হলো দেশের উন্নয়ন সহযোগী এবং দাতাদের নিয়ে গঠিত একটি সংগঠন। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। ফোরামের সমন্বয়কারী সংস্থা হিসেবে কাজ করে বিশ্বব্যাংক। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এর নাম ছিলো বাংলাদেশ এইড গ্রুপ।
পরে ১৯৯৭ সালে এর নাম পরিবর্তন হয়ে ‘প্যারিস কনসোর্টিয়াম গ্রুপ’ রাখা হয় এবং ২০০২ সালে এটি ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম’ নামে পরিচিতি লাভ করে। প্রথম দিকে এই ফোরামের বৈঠক প্যারিসে আয়োজিত হতো, তবে ২০০৩ সাল থেকে নিয়মিতভাবে ঢাকায় বৈঠক করা হয়।
উৎস: ইআরডি ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কত সালে বাংলাদেশকে পোলিও মুক্ত ঘোষণা করে?
Created: 1 month ago
A
১৯৯৮
B
২০০৪
C
২০১৪
D
২০১৯
বাংলাদেশ এখন পোলিওমুক্ত: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশকে পোলিও মুক্ত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে।
বাংলাদেশে ২০০৭ সাল থেকে আর নতুন কোনো পোলিও রোগীর খোঁজ মেলেনি। কিন্তু, পাশের দেশ ভারত তখনও পোলিও মুক্ত হয়নি বলে বাংলাদেশকেও তখনই পোলিও মুক্ত ঘোষণা করা হয়নি।
WHO সাধারণত একটি নির্দিষ্ট দেশকে আলাদাভাবে পোলিও মুক্ত ঘোষণা করে না। বরং, পুরো অঞ্চল বিবেচনা করে ঘোষণা দেয়, কারণ ভাইরাস এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
১৯৭০ ও ৮০’র দশকে বাংলাদেশে পোলিও আক্রান্তের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। এরপর ১৯৭৯ সালে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি চালু হয়। এর ফলেই নব্বইয়ের দশক থেকে পোলিওর বিরুদ্ধে ভালো অগ্রগতি দেখা যায় এবং শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ পোলিও মুক্ত হয়।
পোলিও কীভাবে ছড়ায় এবং কী বিপদ ডেকে আনে?
পোলিও একটি আরএনএ ভাইরাসজনিত রোগ, যার নাম পোলিওমাইলাইটিস। এটি সাধারণত শিশু-কিশোরদের আক্রান্ত করে।
রোগটি মূলত রোগীর মলমূত্রের মাধ্যমে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত সংক্রমণের প্রথম সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি ভাইরাস ছড়ায়, তবে ৬-৮ সপ্তাহ পর্যন্ত ছড়াতে পারে। মলমূত্র দূষিত খাবার বা পানির মাধ্যমে শিশুর শরীরে এই ভাইরাস প্রবেশ করে।
এই রোগে মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের স্নায়ু আক্রান্ত হয়। এতে পক্ষাঘাত বা এমনকি শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
পোলিওর কোনো চিকিৎসা নেই, তবে টিকাই একমাত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা। তাই শিশুকে নিয়মিত টিকা দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্যসূত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago