চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করা হয় কত সনে?
A
১৭৫৭ খ্রি.
B
১৭৭০ খ্রি.
C
১৮৫৭ খ্রি.
D
১৭৯৩ খ্রি.
উত্তরের বিবরণ
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত
ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস প্রথমে ‘পাঁচসালা বন্দোবস্ত’ এবং ‘একসালা বন্দোবস্ত’ চালু করেছিলেন। তবে এই ব্যবস্থা রাজস্ব আদায়ে কার্যকর প্রমাণিত হয়নি।
এ অবস্থায় গভর্নর জেনারেল লর্ড কর্নওয়ালিশ ১৭৯৩ সালে জমি ব্যবস্থাপনার একটি নতুন পদ্ধতি চালু করেন, যা ইতিহাসে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নামে পরিচিত।
এই বন্দোবস্ত ছিল ইংরেজদের সাম্রাজ্যবাদী নীতি অনুযায়ী তৈরি। এর লক্ষ্য ছিল এদেশে তাদের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক আধিপত্য স্থাপন করা। যদিও তারা এতে কিছুটা সফল হয়, সাধারণ কৃষক এবং অনেক সম্ভ্রান্ত জমিদারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে, নগদ অর্থ ও ব্যবসায়ীদের পুঁজি নিয়ে অনেকেই রাতারাতি জমিদার হয়ে ওঠে। এই নতুন জমিদার শ্রেণী ইংরেজ শাসনের সামাজিক ও রাজনৈতিক ভিত্তি গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ১৯৫০ সালে বিলুপ্ত করা হয়।
উৎস: ইতিহাস, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
'চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত' কে প্রবর্তন করেন?
Created: 1 month ago
A
ওয়ারেন হেস্টিংস
B
রবার্ট ক্লাইভ
C
লর্ড কর্নওয়ালিস
D
লর্ড কার্জন
১৭৯৩ সালে গভর্নর জেনারেল লর্ড কর্নওয়ালিস রাজস্ব আদায় সহজতর করার জন্য এবং একটি অনুগত শ্রেণি গঠনের উদ্দেশ্যে ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ প্রবর্তন করেন।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত:
-
১৭৯৩ সালের ২২ মার্চ লর্ড কর্নওয়ালিস চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন।
-
নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব পরিশোধের বিনিময়ে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার জমিদারদের নিজ নিজ জমির উপর চিরস্থায়ী মালিকানা প্রদান করা হয়। এই ব্যবস্থাকেই চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বলা হয়।
-
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে কৃষকরা জমির উপর তাদের অধিকার হারায়।
-
অন্যদিকে, জমিদারদের স্থায়ী মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
১৯৫০ সালে পূর্ববঙ্গ জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ত্ব আইনের মাধ্যমে জমিদারি প্রথা এবং চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থার উচ্ছেদ ঘটে।
সূত্র:

0
Updated: 1 month ago