১৯৮৫ সালে নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক কে পান?
A
সৈয়দ আলী আহসান
B
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
C
সৈয়দ শামসুল হক
D
সিকান্দার আবু জাফর
উত্তরের বিবরণ
সৈয়দ আলী আহসান
-
তিনি একজন প্রখ্যাত অধ্যাপক ও লেখক ছিলেন।
-
তাঁর পিতা সৈয়দ আলী হামেদ ছিলেন স্কুল ইন্সপেক্টর।
-
তিনি ঢাকা, চট্টগ্রাম ও করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন এবং পরে রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
কবিতায় তাঁর অবদানের জন্য তিনি বিভিন্ন সম্মাননা লাভ করেছেন, যেমন: বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৭), সুফী মোতাহের হোসেন স্বর্ণপদক (১৯৬৭), একুশে পদক (১৯৮৩), মধুসূদন স্বর্ণপদক (১৯৮৫) ও নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক।
কাব্যগ্রন্থ:
-
অনেক আকাশ
-
একক সন্ধ্যায় বসন্ত
-
সহসা সচকিত
-
উচ্চারণ
-
আমার প্রতিদিনের শব্দ
-
সমুদ্রেই যাবো
প্রবন্ধ ও গবেষণাগ্রন্থ:
-
কবিতার কথা
-
নজরুল ইসলাম
-
রবীন্দ্র কাব্যবিচারের ভূমিকা
-
কবিতার কথা ও অন্যান্য বিবেচনা
আত্মজীবনী:
-
আমার সাক্ষ্য
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
"প্রাণের বান্ধব রে বুড়ি হইলাম তোর কারণে।" - গানটির গীতিকার কে?
Created: 1 month ago
A
শাহ আবদুল করিম
B
রাধারমন
C
শেখ ওয়াহিদ
D
কুদ্দুস বয়াতি
“পরানের বান্ধবরে, বুড়ি হইলাম তোর কারণে”—এই জনপ্রিয় গানটির গীতিকার হলেন লোককবি শেখ ওয়াহিদুর রহমান। গানটি গেয়েছেন সুফিয়া কাঙালিনী।
শেখ ওয়াহিদুর রহমান (জন্ম: ১৯৩৯) মূলত সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার এক নির্জন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে। ফলে তাঁর গানে গ্রামীণ মাটি, প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও আঞ্চলিক স্বাদ সবসময়ই পাওয়া যায়।
তিনি যদিও খুব পরিচিত নাম নন, তবে তাঁর অনেক গান আমরা শুনি—কিন্তু গীতিকারের নাম উল্লেখ না থাকায় সাধারণ মানুষ তাঁকে চিনতে পারে না। এজন্য অনেক ক্ষেত্রে গানগুলোকে “অজ্ঞাত গীতিকার” হিসেবে ধরা হয়। অথচ শেখ ওয়াহিদ এই লোকগানের জগতে যথেষ্ট পরিচিত ও সম্মানিত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে মজার ছলে “দুষ্ট ছেলে” নামে ডাকতেন।
তিনি সহজ-সরল ভাষায় গান লিখে ‘বাউল কবি’ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তাঁর গানে বৈচিত্র্য অনন্য—পল্লিগীতি, ভাটিয়ালি, গণসঙ্গীত, মরমি ও আধ্যাত্মিক ধারা ছাড়াও শাক্ত পদাবলি লিখেছেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু গান হলো:
-
আমার মাটির গাছে লাউ ধইরাছে
-
অপূর্ব তটিনী ওগো
-
অমৃত কূপের সুধা খেলে
-
অলি দরবেশ কারে বলে
-
আল-আরাবি নাবীজি আমার
-
আদমকে বানাইয়া খোদা
এছাড়াও তিনি বহু বিয়ের গানও রচনা করেছেন। যেমন—
-
মেনদি বাটো তোমরা সখি
-
মিতু আসবে নওশা সেজে
-
আজ ঝিলমিল ঝিলমিল
-
পালকি চড়ে যাইগো ভাবি
-
বিয়াই মজলিসে দেখবে
-
সখীরা সব সাজাও কন্যা
তাঁর গান শুনলেই বোঝা যায়—শেখ ওয়াহিদ লোকবাংলার সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি।
উৎস: ‘শেখ ওয়াহিদ গীতি সমগ্র’ – শেখ ওয়াহিদুর রহমান

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি বিশ শতকের পত্রিকা?
Created: 1 month ago
A
শনিবারের চিঠি
B
বঙ্গদর্শন
C
তত্ত্ববােধিনী
D
সংবাদ প্রভাকর
শনিবারের চিঠি, বঙ্গদর্শন, তত্ত্ববোধিনী এবং সংবাদ প্রভাকর পত্রিকাগুলি বাংলা সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে। এই পত্রিকাগুলোর প্রকাশনার সময়কাল, উদ্দেশ্য ও প্রভাব ভিন্ন হলেও প্রত্যেকটি তার সময়ের সাহিত্য-চর্চা ও সামাজিক জ্ঞানের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখেছে।
-
শনিবারের চিঠি পত্রিকা: এটি একটি স্যাটায়ারধর্মী সাহিত্যিক পত্রিকা, যা প্রথমে সাপ্তাহিক পরে মাসিক প্রকাশিত হয়। প্রধান উদ্দেশ্য ছিল হাস্য কৌতুকের মাধ্যমে সমসাময়িক সাহিত্য-চর্চাকে সমালোচনা করা। প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৪ সালে, এবং ১৯৩০-৪০-এর দশকে কলকাতা কেন্দ্রিক বাংলা সাহিত্যের জগতে বিশেষ আলোড়ন সৃষ্টি করে। পত্রিকার সঙ্গে কল্লোল গোষ্ঠীর দ্বন্দ থাকলেও এটি তৎকালীন সাহিত্যকে অনুপ্রাণিত করেছিল। পত্রিকার প্রাণপুরুষ ছিলেন সজনীকান্ত দাস, যিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পত্রিকার প্রকাশনা ও সম্পাদনার সাথে যুক্ত ছিলেন।
-
বঙ্গদর্শন পত্রিকা: এটি প্রথম প্রকাশ করেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪) ১৮৭২ সালে। উনিশ শতকের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের, বিশেষত বাংলা গদ্যের গঠনে, এর অবদান গুরুত্বপূর্ণ। পত্রিকাটি মাত্র চার বছর, ১৮৭৬ পর্যন্ত, প্রকাশিত হয়।
-
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা: ব্রাহ্মসমাজের তত্ত্ববোধিনী সভার মুখপত্র হিসেবে এটি ১৮৪৩ সালের ১৬ আগস্ট দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং অক্ষয়কুমার দত্তের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। পত্রিকার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
-
সংবাদ প্রভাকর পত্রিকা: প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত, যিনি ১৮৩১ সালে সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৩৯ সাল থেকে এটি দৈনিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হতে থাকে।
সারসংক্ষেপে দেখা যায়, শনিবারের চিঠি পত্রিকা বিশ শতকে প্রকাশিত হয়, যেখানে বঙ্গদর্শন, তত্ত্ববোধিনী এবং সংবাদ প্রভাকর উনিশ শতকের পত্রিকা।

0
Updated: 1 month ago
কোন উপসর্গটি ভিন্নার্থে প্রযুক্ত?
Created: 1 month ago
A
উপনেতা
B
উপভোগ
C
উপগ্রহ
D
উপসাগর
উপসর্গ এবং বাংলায় এর ব্যবহার
উপসর্গ হলো এমন শব্দাংশ যা মূল শব্দের আগে বসে নতুন অর্থ তৈরি করে।
উদাহরণ:
-
উপসাগর, উপগ্রহ, উপনেতা – এখানে “উপ” ক্ষুদ্র অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
উপভোগ – এখানে “উপ” বিশেষ বা অতিরিক্ত অর্থ প্রকাশ করছে।
বাংলা ভাষায় উপসর্গ তিন ধরনের হয়:
-
খাঁটি বাংলা উপসর্গ
বাংলা ভাষার নিজস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়। এর সংখ্যা ২১।
উদাহরণ: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
দ্রষ্টব্য: আ, সু, বি, নি এই চারটি খাঁটি বাংলা উপসর্গ তৎসম শব্দেও দেখা যায়। -
সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ
সংস্কৃত থেকে আগত উপসর্গকে তৎসম উপসর্গ বলা হয়।
প্রধান ২০টি তৎসম উপসর্গ:
প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ। -
বিদেশি উপসর্গ
বাংলা ভাষায় দীর্ঘ সময় ধরে প্রচলিত বিভিন্ন বিদেশি ভাষার উপসর্গ।-
আরবি: আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের
-
ফারসি: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম
-
উর্দু: হর
-
ইংরেজি: হেড, সাব, ফুল, হাফ
-
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 1 month ago