ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য-
A
দু'দেশের নদীগুলোর নাব্যতা বৃদ্ধি
B
দু'দেশের নদীগুলোর পলিমাটি অপসারণ
C
বন্যা নিয়ন্ত্রণে দু দেশের মধ্যে সহযোগিতা
D
দু'দেশের নৌ-পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন
উত্তরের বিবরণ
ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের প্রধান লক্ষ্য:
দু’দেশের নদীগুলোর নাব্যতা বৃদ্ধি করা।
যৌথ নদী কমিশন গঠনের পটভূমি ও কার্যক্রম:
১৯৭২ সালের মার্চ মাসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ও প্রজাতন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীদ্বয় একটি যৌথ ঘোষণা প্রদান করেন। এর মাধ্যমে দু’দেশের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে অভিন্ন নদীগুলোর ব্যাপক জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা, নাব্যতা রক্ষা এবং উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু হয়।
কমিশনের মূল দায়িত্বগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
বন্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন; বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণের বিস্তারিত পরিকল্পনা করা।
-
প্রধান প্রধান নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং সেচ প্রকল্পের উপর সমীক্ষা পরিচালনা।
-
উভয় দেশের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য পানি সম্পদের ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করা।
-
বাংলাদেশ ও ভারতের সংলগ্ন এলাকায় পাওয়ার গ্রিড সংযোজনের সম্ভাবনা যাচাই করা।
দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য:
দুই দেশ গঙ্গা সহ অন্যান্য অভিন্ন নদীগুলোর পানি প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য পারস্পরিক সহযোগিতায় কাজ করবে এবং নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে সমন্বিত চুক্তিতে পৌঁছাবে।
উৎস:
-
যৌথ নদী কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 months ago
মহাস্থানগড় কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
Created: 4 months ago
A
করতোয়া
B
গঙ্গা
C
ব্রহ্মপুত্র
D
মহানন্দা
• মহাস্থানগড় — করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত।
• মহাস্থানগড়:
- প্রাচীন বাংলার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ জনপদের নাম পুণ্ড্র।
- পুন্ড্র ‘জন’ বা জাতি এ জনপদ গঠন করেছিল।
- পুন্ড্ররা বঙ্গসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নিকটজন ছিল।
- পুন্ড্র রাজ্যের রাজধানীর নাম পুন্ড্রনগর। এটি বাংলার প্রাচীনতম জনপদ।
- বর্তমান বগুড়া শহরের অদূরে করতোয়া নদীর তীরে পুন্ড্রনগর অবস্থিত।
- পরবর্তী কালে এর নাম মহাস্থানগড় হয়।
- সম্ভবত মৌর্য সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে (খ্রি. পু. ২৭৩-২৩২ অব্দ) প্রাচীন পুন্ড্র রাজ্য স্বাধীনসত্তা হারায়।
- এ রাজ্যের বিস্তৃতি বর্তমান বগুড়া, রংপুর ও দিনাজপুর পর্যন্ত ছিল।
উৎস: ইতিহাস বই, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 4 months ago
বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ নদীর নাম কি?
Created: 4 months ago
A
মিসিসিপি-মিসৌরী
B
নীলনদ
C
শাত-ইল-আরব
D
আমাজন
বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ নদী হচ্ছে নীলনদ। এটি পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মিশরের মধ্য দিয়ে ভূমধ্যসাগরে গিয়ে পড়ে। এর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৬,৬৫০ কিলোমিটার।
অনেকেই মনে করেন আমাজন নদী সবচেয়ে বড়, কারণ এটি পানিপ্রবাহ (water volume) ও নদী অববাহিকার (basin area) দিক থেকে সবচেয়ে বিশাল। তবে দৈর্ঘ্যের বিচারে এখনও নীলনদকেই সবচেয়ে দীর্ঘ নদী হিসেবে ধরা হয়।
অন্য বিকল্পগুলো:
- আমাজন নদী: খুব বড় এবং পানি বহনের দিক থেকে শীর্ষে, কিন্তু দৈর্ঘ্যে কিছুটা কম।
- মিসিসিপি-মিসৌরী: যুক্তরাষ্ট্রের বড় নদী, তবে নীলনদ বা আমাজনের চেয়ে ছোট।
- শাত-ইল-আরব: এটি ইরাক ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের একটি ছোট নদী, দৈর্ঘ্যে মাত্র প্রায় ২০০ কিলোমিটার।
তাই প্রশ্ন অনুযায়ী সঠিক উত্তর: খ. নীলনদ।

0
Updated: 4 months ago
বাংলাদেশের কোন জেলা সবচেয়ে বেশী নদীবিধৌত?
Created: 4 months ago
A
গৌরনদী
B
পিরোজপুর
C
বরিশাল
D
ভোলা

0
Updated: 4 months ago