'দেয়াল' রচনাটি কার?
A
হুমায়ূন আহমেদ
B
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
C
বুদ্ধদেব বসু
D
সেলিনা হোসেন
উত্তরের বিবরণ
দেয়াল
-
দেয়াল হলো বাংলাদেশের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদের শেষ উপন্যাস।
-
এটি ইতিহাসভিত্তিক একটি উপন্যাস, যা মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি তুলে ধরে।
-
উপন্যাসের সমাপ্তি ঘটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে হত্যাকাণ্ড এবং সেই সময়কার ঘটনাপ্রবাহ বর্ণনার মাধ্যমে।
-
হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর এক বছর পর এই উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়।
হুমায়ূন আহমেদ
-
জন্ম: ১৯৪৮, নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জে মাতামহের বাড়িতে।
-
তিনি ছিলেন কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার ও শিক্ষক।
-
ছাত্রজীবনে রচিত নাতিদীর্ঘ উপন্যাস ‘নন্দিত নরক’ (১৯৭২) দিয়ে তিনি বাংলা সাহিত্যে আত্মপ্রকাশ করেন।
-
তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস ‘শঙ্খনীল কারাগার’ (১৯৭৩)।
-
গল্প, উপন্যাস, সায়েন্স ফিকশন, শিশুতোষ গ্রন্থ, নাটক, প্রবন্ধ ও আত্মজৈবনিক রচনা মিলিয়ে তার গ্রন্থ সংখ্যা ৩০০-এর বেশি।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ
-
শ্যামল ছায়া
-
আগুনের পরশমণি
-
অনিল বাগচীর একদিন
-
জোছনা ও জননীর গল্প
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া, ‘দেয়াল’ উপন্যাস।

0
Updated: 1 month ago
'তেল নুন লকড়ি' কার রচিত গ্রন্থ?
Created: 1 month ago
A
প্রবোধচন্দ্র সেন
B
প্রমথনাথ বিশি
C
প্রমথ চৌধুরী
D
প্রদ্যুম্ন মিত্র
‘তেল নুন লকড়ি’ ও প্রমথ চৌধুরী
‘তেল নুন লকড়ি’ হলো প্রমথ চৌধুরী রচিত একটি প্রবন্ধগ্রন্থ, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯০৬ সালে।
প্রমথ চৌধুরী
-
প্রমথ চৌধুরী ছিলেন একজন সাহিত্যিক এবং বাংলা চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক।
-
তাঁর জন্ম ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট, যশোরে।
-
তিনি সাহিত্যচর্চায় ‘বীরবল’ ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন।
-
‘বীরবলের হালখাতা’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯০২ সালে ভারতী পত্রিকায়। এই গ্রন্থেই প্রথম তিনি চলিত রীতির ব্যবহার করেন।
-
বাংলা কবিতায় তিনিই প্রথম ইতালীয় সনেট রচনা করেন।
-
তিনি ‘সবুজ পত্র’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
তাঁর রচনাবলি
কাব্যগ্রন্থ
-
সনেট পঞ্চাশৎ
-
পদচারণ
প্রবন্ধগ্রন্থ
-
তেল নুন লকড়ি
-
বীরবলের হালখাতা
-
নানাকথা
-
আমাদের শিক্ষা
-
রায়তের কথা
-
নানাচর্চা
-
আত্মকথা
-
প্রবন্ধসংগ্রহ ইত্যাদি
গল্পগ্রন্থ
-
চার ইয়ারী কথা
-
আहुতি
-
নীলোহিত
উৎসঃ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধ নির্ভর রচনা কোনটি?
Created: 2 months ago
A
এইসব দিন রাত্রি
B
নূরলদীনের সারা জীবন
C
একাত্তরের দিনগুলি
D
সৎ মানুষের খোঁজে
একাত্তরের দিনগুলি
‘একাত্তরের দিনগুলি’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি স্মৃতিকথা গ্রন্থ, লিখেছেন বাংলাদেশী কথাসাহিত্যিক জাহানারা ইমাম। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।
জাহানারা ইমাম ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার পুত্র রুমী ও স্বামীকে হারান। সেই সময় তার জীবন ছিল উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও ভয়-উদ্বেগে ঘেরা, তবু তার মনে ছিল দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার স্বপ্ন। সেই দুঃসহ নয় মাসের দৈনন্দিন ঘটনা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তার কর্মকাণ্ডের বর্ণনা তিনি লিখতেন ছোট চিরকুটে, ছিন্নপত্রে এবং সংকেতভঙ্গিতে।
গ্রন্থটি প্রকাশিত হওয়ার পর জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি মর্মস্পর্শী ও শিহরণ জাগানো সাহিত্যকর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়।
জাহানারা ইমাম
-
জন্ম: ১৯২৯, সুন্দরপুর, মুর্শিদাবাদ জেলা।
-
খ্যাতি: শহীদ জননী নামে পরিচিত।
-
সক্রিয় ভূমিকা: মুক্তিযুদ্ধ চেতনাকে বাস্তবায়ন এবং ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির আহবায়ক।
-
অসুস্থতা ও মৃত্যু: ১৯৮১-এর দিকে মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত, মৃত্যুহয় ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন, আমেরিকার মিশিগান স্টেটের ডেট্রয়েটে।
অন্য গ্রন্থসমূহ:
-
সাতটি তারার ঝিকিমিকি
-
অন্যজীবন
-
বুকের ভিতর আগুন
-
নাটকের অবসান
-
নিঃসঙ্গ পাইন
-
প্রবাসের দিনগুলি
-
ক্যানসারের সঙ্গে বসবাস
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম
-
হুমায়ূন আহমেদ: প্রথম ধারাবাহিক নাটক ‘এইসব দিনরাত্রি’, বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে জনপ্রিয়।
-
সৈয়দ শামসুল হক: কাব্যনাট্য ‘নূরলদীনের সারা জীবন’, যা রংপুরের কৃষক বিদ্রোহের নেতা নুরুলদীনের সামন্তবিরোধী সংগ্রামের উপর ভিত্তি করে রচিত।
উৎস: বাংলাপিডিয়া, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 2 months ago
'বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত' কে রচনা করেন?
Created: 2 months ago
A
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
সুকুমার সেন
C
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
D
মুহম্মদ এনামুল হক
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন প্রতিভাবান বাঙালি ব্যক্তিত্ব, যিনি ভারতের উপমহাদেশে দার্শনিক, শিক্ষক এবং বহুভাষাবিদ হিসেবে সুপরিচিত।
‘জ্ঞানতাপস’ নামে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। এছাড়াও, তাঁকে ‘চলিষ্ণু অভিধান’ নামেও অভিহিত করা হয়।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে জাতিসত্তা সম্পর্কে তাঁর বিখ্যাত উক্তি ছিল, “আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার থেকেও অধিক সত্য আমরা বাঙালি।”
এই উক্তি বাঙালির ঐক্য ও পরিচয়ের গুরুত্বকে রূপায়িত করে। ১৯৫৯ সালে তিনি ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’ নামক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেন, যা বাংলা ভাষার ইতিহাস ও বিকাশকে তুলে ধরে।
ড. শহীদুল্লাহর ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ হলো—‘ভাষা ও সাহিত্য’, ‘বাঙ্গালা ব্যাকরণ’, ‘বাংলা সাহিত্যের কথা’ ইত্যাদি। পাশাপাশি তিনি বাংলা একাডেমির ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ সম্পাদনার দায়িত্বও পালন করেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago