A
নেপালে জলাধার নির্মাণ
B
গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের মধ্যে সংযোগ খাল খনন
C
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গঙ্গা বাঁধ নির্মাণ
D
গঙ্গার শাখা নদীসমূহের পানি প্রবাহ বৃদ্ধি
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের প্রস্তাব ছিল নেপালে সাতটি পানি সংরক্ষণাগার নির্মাণের মাধ্যমে গঙ্গা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি করা।
-
যদি নেপালে সাতটি পানি সংরক্ষণাগার স্বাভাবিক উচ্চতায় নির্মাণ করা যায়, তাহলে ফারাক্কায় শুষ্ক মৌসুমে পাওয়া যাওয়া পানির পরিমাণ থেকে অতিরিক্ত ৪৫ হাজার কিউসেক পানি পাওয়া সম্ভব হবে।
-
আর যদি সাতটির মধ্যে আরও চারটি সংরক্ষণাগার নির্মাণ করা হয়, তাহলে অতিরিক্ত ১ লাখ ৮০ হাজার কিউসেক পানি পাওয়া যাবে।
-
নেপালের কোশি, কর্ণালী ও গন্ধকীর মতো গঙ্গার গুরুত্বপূর্ণ উপনদীগুলো শুষ্ক মৌসুমে ফারাক্কায় গঙ্গার মোট পানি প্রবাহের ৭১ শতাংশ যোগান দেয়।
-
বাংলাদেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ অর্থাৎ প্রায় ৪ কোটি লোক গঙ্গার পানির উপর নির্ভরশীল।
গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি
-
১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর, ভারতের নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
-
এই চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হবে।
-
চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশকে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি পাওয়ার বিধান থাকলেও বাস্তবে এত পানি পান করা সম্ভব হয়নি।
অন্যান্য তথ্য
-
গঙ্গা নদী হিমালয়ের হিমবাহ থেকে উৎপন্ন।
-
এটি ভারতের উত্তর প্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের গোয়ালন্দের কাছে ব্রহ্মপুত্র নদীর সঙ্গে মিলিত হয়।
-
বাংলাদেশের ভেতরে গঙ্গা নদী পদ্মা নামে পরিচিত।
-
ভারতের ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের প্রথম পরিকল্পনা করা হয়েছিল ১৯৫১ সালে।
-
১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী একটি স্থায়ী যৌথ নদী কমিশন গঠনের উদ্দেশ্যে যৌথ ঘোষণা দেন।
-
এরপর ১৯৭২ সালের নভেম্বরে যৌথ নদী কমিশন গঠন করা হয়।
-
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়।
-
সেই বছর ১২ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
সূত্র: dw.com, বাংলাপিডিয়া, প্রথমআলো।

0
Updated: 2 months ago