'নীল দর্পণ' নাটকটির বিষবস্তু কী?
A
নীলকরদের অত্যাচার
B
ভাষা আন্দোলন
C
অসহযোগ আন্দোলন
D
তে-ভাগা আন্দোলন
উত্তরের বিবরণ
নীল-দর্পণ
-
‘নীল-দর্পণ’ (১৮৬০) দীনবন্ধু মিত্রের শ্রেষ্ঠ নাটক এবং সর্বাধিক খ্যাত রচনা।
-
নাটকটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৬০ সালে, ঢাকা থেকে।
-
মূল বিষয়বস্তু ছিল— তৎকালীন নীলচাষিদের উপর নীলকর সাহেবদের অমানবিক অত্যাচার এবং শাসকশ্রেণীর অন্যায় আচরণ।
-
প্রকাশের পর নাটকটি সমাজে ব্যাপক আলোড়ন তোলে এবং কৃষকদের নীলবিদ্রোহে সাহস জোগায়।
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ‘A Native’ ছদ্মনামে ইংরেজি অনুবাদ করেন এবং নাম দেন Nil Darpan or The Indigo Planting Mirror (১৮৬১)। পরে প্রকাশের কারণে পাদ্রি জেমস লং আদালতের দ্বারা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হন।
-
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নাটকটিকে মার্কিন সাহিত্যের বিখ্যাত গ্রন্থ ‘Uncle Tom’s Cabin’-এর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।
-
নাটকটি আজও জাতীয় চেতনার পথিকৃৎ হিসেবে স্বীকৃত এবং এটিই প্রথম বাংলা নাটক যা বিদেশি ভাষায় অনূদিত হয়।
-
প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ‘কস্যচিৎ পথিকস্য’ ছদ্মনামে (ঢাকা, ১৮৬০) এবং ১৮৭২ সালের ৭ ডিসেম্বর এটিই ছিল সাধারণ রঙ্গালয়ের প্রথম মঞ্চনাটক।
দীনবন্ধু মিত্র
-
জন্ম: ১৮৩০ সালে, পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চৌবেড়িয়া গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে।
-
তিনি ছিলেন রায়বাহাদুর উপাধিপ্রাপ্ত খ্যাতনামা নাট্যকার।
-
প্রথমে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের অনুপ্রেরণায় কবিতা লিখতেন এবং কলেজ জীবনে তাঁর সংস্পর্শে এসে ‘সংবাদ প্রভাকর’, ‘সংবাদ সাধুরঞ্জন’ ইত্যাদি পত্রিকায় কবিতা প্রকাশ করতেন।
-
যদিও কবিতায় হাতেখড়ি, তবুও নাটক ও প্রহসন রচনার মাধ্যমেই তিনি সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেন।
-
তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনা হলো ‘নীল-দর্পণ’।
-
মৃত্যু: ১৮৭৩ সালের ১ নভেম্বর, অকালপ্রয়াণ ঘটে।
অন্যান্য নাটক
-
নবীন তপস্বিনী
-
লীলাবতী
-
কমলে কামিনী
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
এবং বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
বাংলা মৌলিক নাটকের যাত্রা শুরু হয় কোন নাট্যকারের হাতে?
Created: 2 months ago
A
মধুসূদন দত্ত
B
দীনবন্ধু মিত্র
C
জ্যোতিন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
তারাচরণ শিকদার
বাংলা সাহিত্যে মৌলিক নাটকের সূচনা ঘটে ১৮৫২ খ্রিষ্টাব্দে, যখন তারাচরণ শিকদার রচনা করেন ‘ভদ্রার্জুন’ নামক একটি প্রহসনধর্মী নাটক। এই নাটকের মাধ্যমে বাংলা ভাষায় মৌলিক নাট্যচর্চার পথপ্রদর্শক হিসেবে আবির্ভূত হন তিনি।
একই বছরে, ১৮৫২ সালে, বাংলা সাহিত্যে প্রথম ট্রাজেডি নাটক ‘কীর্তিবিলাস’ প্রকাশিত হয়, যার রচয়িতা ছিলেন যোগেন্দ্রচন্দ্র গুপ্ত। এটি ছিল বাংলা নাটকে শোকাত্মক আবহ সৃষ্টির প্রাথমিক প্রয়াস।
এর প্রায় এক দশক পর, ১৮৬১ সালে, মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখনীতে জন্ম নেয় বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্রাজেডি নাটক ‘কৃষ্ণকুমারী’, যা সাহিত্যিক ও নাট্যপ্রেমী মহলে গভীর প্রভাব ফেলে।
তথ্যসূত্র: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, ড. মাহবুবুল আলম।

0
Updated: 2 months ago
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর লেখা নাটক কোনটি?
Created: 1 month ago
A
কবর
B
বহিপীর
C
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
D
ওরা কদম আলী
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ছিলেন একজন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক এবং নাট্যকার, যিনি বাংলা সাহিত্যে তার অবদানের মাধ্যমে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি ১৯২২ সালের ১৫ আগস্ট চট্টগ্রামের ষোলশহরে সৈয়দ (ডেপুটি) বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
তার সাহিত্যকর্মের জন্য তিনি বিভিন্ন মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার লাভ করেছেন, যেমন: বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬১), আদমজি পুরস্কার (১৯৬৫), এবং একুশে পদক (১৯৮৩)।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর রচিত সাহিত্যকর্ম:
-
গল্পগ্রন্থ:
-
নয়নচারা
-
দুই তীর ও অন্যান্য গল্প
-
-
নাটক:
-
বহিপীর
-
সুড়ঙ্গ
-
তরঙ্গভঙ্গ
-
উজানে মৃত্যু
-
-
উপন্যাস:
-
লালসালু
-
চাঁদের অমাবস্যা
-
কাঁদো নদী কাঁদো
-
দি আগলি এশিয়ান
-
অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নাটক:
-
কবর – মুনির চৌধুরীর রচিত, ভাষা আন্দোলনভিত্তিক নাটক
-
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় – সৈয়দ শামসুল হকের রচিত, মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে কাব্যনাটক
-
ওরা কদম আলী – মামুনুর রশীদ রচিত নাটক

0
Updated: 1 month ago
মীর মশাররফ হোসেনের নাটক কোনটি?
Created: 2 months ago
A
নটির পূজা
B
বেহুলা গীতাভিনয়
C
নবীন তপস্বিনী
D
কৃষ্ণকুমারী
‘বেহুলা গীতাভিনয়’ নাটকটি মীর মশাররফ হোসেন রচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম।
অপরদিকে,
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নটীর পূজা’ নাটকটি বৌদ্ধধর্মীয় গ্রন্থ থেকে অনুপ্রাণিত।
-
‘নবীন তপস্বিনী’ নাটকটির রচয়িতা হলেন দীনবন্ধু মিত্র।
-
বাংলা সাহিত্যের প্রথম সফল ট্রাজেডি নাটক ‘কৃষ্ণকুমারী’ রচনা করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
মীর মশাররফ হোসেনের জীবন ও সাহিত্য
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার এবং প্রাবন্ধিক। তিনি ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়ার লাহিনীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা সাহিত্যে প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিক হিসেবে তাঁকে বিবেচনা করা হয়।
তাঁর সাহিত্যগুরু ছিলেন কাঙাল হরিনাথ, যিনি ‘গ্রামবার্তা’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। মশাররফের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘রত্নাবতী’। ছাত্রজীবনে তিনি ‘সংবাদ প্রভাকর’ ও ‘কুমারখালির গ্রামবার্তা’ পত্রিকার মফঃস্বল সংবাদদাতার কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি ‘আজিজননেহার’ এবং ‘হিতকরী’ নামে দুটি পত্রিকার সম্পাদনাও করেন। তিনি উনিশ শতকের বাঙালি মুসলিম সাহিত্যিকদের পথপ্রদর্শক এবং বঙ্কিমচন্দ্র যুগের একজন প্রধান গদ্যকার।
মীর মশাররফ হোসেনের প্রধান সাহিত্যকর্মসমূহ
নাটক:
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
প্রহসন:
-
টালা অভিনয়
-
এর উপায় কি
-
ফাঁস কাগজ
-
ভাই ভাই এইতো চাই
উপন্যাস:
-
বিষাদ-সিন্ধু
আত্মজীবনীমূলক রচনা:
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী ইত্যাদি
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago