কুলীন কুলসর্বস্ব নাটকটি কার লেখা?
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
দীনবন্ধু মিত্র
C
রামনারায়ণ তর্করত্ন
D
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উত্তরের বিবরণ
কুলীন কুলসর্বস্ব ও রামনারায়ণ তর্করত্ন
বাংলা নাট্যসাহিত্যের ইতিহাসে রামনারায়ণ তর্করত্নের নাম বিশেষভাবে স্মরণীয়। তিনি ১৮৫৪ সালে ‘কুলীন কুলসর্বস্ব’ নাটক রচনা করেন। এটি মঞ্চস্থ হওয়ার পর প্রচুর সাড়া ফেলে এবং নাট্যকার হিসেবে তাঁকে খ্যাতির শিখরে পৌঁছে দেয়।
-
কুলীন কুলসর্বস্বের গুরুত্ব:
এই নাটকের মাধ্যমে তিনি সমকালীন সমাজের নানা কুসংস্কার ও অমানবিক দিক তুলে ধরেছিলেন। যদিও শিল্পরীতির দিক থেকে তিনি পুরোপুরি সফল হতে পারেননি, তবু সামাজিক বাস্তবতাকে নাটকে আনার কারণে এটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। নাটকটি দর্শকসমাজকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করেছিল বলেই তিনি “নাটুকে নারায়ণ” নামে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। -
পুরস্কার:
নাটকটি রচনার জন্য রামনারায়ণ রংপুরের জমিদার কালীচন্দ্র রায়চৌধুরী কর্তৃক ঘোষিত ৫০ টাকা পুরস্কার লাভ করেন। -
রসধর্ম:
নাটকে কোথাও কৌতুকরস, কোথাও করুণরস, আবার কোথাও প্রহসনধর্মী দিক ফুটে উঠেছে। ফলে নাটকটি দর্শকদের বিনোদন দেওয়ার পাশাপাশি সমাজচিত্রও স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছে।
রামনারায়ণ তর্করত্নের অনুবাদ নাটকসমূহ
-
অভিজ্ঞান শকুন্তলা
-
রত্নাবলী
-
মালতীমাধব
-
বেণীসংহার
মৌলিক নাটক
-
রুক্ষ্মিণীহরণ
-
কংসবধ
-
ধর্মবিজয়
প্রহসন
-
যেমন কর্ম তেমন ফল
-
উভয় সংকট
-
চক্ষুদান
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস — মাহবুবুল আলম

0
Updated: 1 month ago
‘জোহরা’ মুনীর চৌধুরী রচিত কোন নাটকের চরিত্র?
Created: 6 days ago
A
দণ্ডকারণ্য
B
চিঠি
C
রক্তাক্ত প্রান্তর
D
কবর
বাংলা নাট্যসাহিত্যে মুনীর চৌধুরী ছিলেন এক বিশিষ্ট নাট্যকার, যিনি বাস্তবতা, ইতিহাস ও মানবচেতনার সমন্বয়ে নাট্যরচনা করেছেন। তাঁর প্রথম পূর্ণাঙ্গ নাটক ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ ইতিহাসনির্ভর হলেও এতে মানবজীবনের পরিবর্তন ও সংগ্রামের গভীর দার্শনিক তাৎপর্য ফুটে উঠেছে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ মুনীর চৌধুরী রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ মৌলিক নাটক।
-
নাটকটি রচিত হয়েছে মহাকবি কায়কোবাদের ‘মহাশ্মশান’ গ্রন্থের কাহিনির অবলম্বনে।
-
এটি পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের (১৭৬১) ঘটনাকে কেন্দ্র করে রচিত তিন অঙ্ক বিশিষ্ট নাটক।
-
যদিও এতে ঐতিহাসিক পটভূমি ব্যবহৃত হয়েছে, এটি ঐতিহাসিক নাটক নয়, বরং ইতিহাস-আশ্রিত নাটক।
-
নাটকের জনপ্রিয় সংলাপ—“মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়।”
উক্তিটি নাটকের চরিত্র নবাব সুজাউদ্দৌলা-র মুখে বলা হয়েছে। -
নাটকের উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ: ইব্রাহিম কার্দি, জোহরা, হিরণবালা প্রমুখ।
মুনীর চৌধুরী সম্পর্কে তথ্য:
-
মুনীর চৌধুরী ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক ও বাগ্মী।
-
তিনি ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর মানিকগঞ্জ শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি শিক্ষা ও পেশাগত জীবনে বামপন্থী রাজনীতি ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
মুনীর চৌধুরীর অন্যান্য মৌলিক নাটক:
-
রক্তাক্ত প্রান্তর
-
চিঠি
-
কবর
-
দণ্ডকারণ্য

0
Updated: 6 days ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'তাসের দেশ' নাটকটি কাকে উৎসর্গ করেন?
Created: 1 month ago
A
কাজী নজরুল ইসলামকে
B
মহাত্মা গান্ধীকে
C
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে
D
ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোকে
'তাসের দেশ' — নাটক
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
ধরন: রূপক নাট্য
-
প্রকাশ: ১৯৩৩
-
ভিত্তি: রবীন্দ্রনাথের এক আষাঢ়ে গল্প নামক গল্পের কাহিনি
-
কাহিনী: রাজপুত্র এবং সদাগর পুত্র এক অপরিচিত দ্বীপে পৌঁছায়, যেখানে জীবন শাসিত হয় যান্ত্রিক নিয়মানুবর্তিতায়, যুক্তি ও হৃদয়হীন শাসনতন্ত্রের আনুগত্যে। রাজপুত্র এবং সদাগর এই নিয়মবন্দি জীবনে বিদ্রোহ নিয়ে আসেন।
-
উৎসর্গ: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে
-
উদ্দেশ্য: উপনিবেশ শাসিত ভারতীয়দের জড়ত্ব ঘোচাতে রবীন্দ্রনাথ মুক্তিদূত রূপী রাজপুত্রের আগমন কামনা করেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক অন্যান্য উৎসর্গকৃত গ্রন্থ:
-
তাসের দেশ — নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু
-
পূরবী — ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো
-
বসন্ত — কাজী নজরুল ইসলাম
-
খেয়া — জগদীশচন্দ্র বসু
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা; বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
'নীল দর্পণ' নাটক কত সালে প্রকাশিত হয়?
Created: 4 months ago
A
১৮৬০ সালে
B
১৮৬৩ সালে
C
১৮৬৪ সালে
D
১৮৬৬ সালে
‘নীল-দর্পণ’ (১৮৬০) দীনবন্ধু মিত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাটক ও রচনা। এটি ১৮৬০ সালে প্রকাশ পায়। নাটকের মূল বিষয় ছিল তৎকালীন নীলচাষি কৃষক ও নীলকর শাসকদের অবিচার এবং শাসক শ্রেণীর পক্ষপাতমূলক আচরণ।
এই নাটক তৎকালীন সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এবং কৃষকদের নীল বিদ্রোহে প্রেরণা যুগিয়েছিল।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ‘A Native’ ছদ্মনামে এর ইংরেজি অনুবাদ করেন, যার শিরোনাম ছিল ‘Nil Darpan or The Indigo Planting Mirror’ (১৮৬১)। এই অনুবাদ প্রকাশের কারণে পাদ্রি জেমস লং আদালত থেকে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘নীল-দর্পণ’কে মার্কিন ‘Uncle Tom’s Cabin’ নাটকের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।
১৮৬০ সালে ‘কস্যচিৎ পথিকস্য’ ছদ্মনামে নাটকটি প্রথম ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় এবং ১৮৭২ সালের ৭ ডিসেম্বর ‘নীল-দর্পণ’ দিয়েই শুরু হয় সাধারণ রঙ্গালয়ের অভিনয়।
দীনবন্ধু মিত্রের অন্যান্য নাটকগুলো হলো:
-
নবীন তপস্বিনী,
-
লীলাবতী,
-
কমলে কামিনী।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 4 months ago