মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচনা নয় কোনটি?
A
তিলোত্তমা কাব্য
B
মেঘনাদ বধ কাব্য
C
বেতাল পঞ্চবিংশতি
D
বীরাঙ্গনা
উত্তরের বিবরণ
'বেতাল পঞ্চবিংশতি' (১৮৪৭)
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রথম প্রকাশিত বই হলো ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’। এই গ্রন্থ প্রকাশের মধ্য দিয়েই তিনি প্রথম বাংলায় যতি বা বিরামচিহ্ন ব্যবহার করেন।
'তিলোত্তমাসম্ভব' কাব্য
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত একটি প্রসিদ্ধ কাব্য হলো ‘তিলোত্তমাসম্ভব’।
-
এর কাহিনী নেওয়া হয়েছে মহাভারতের সুন্দ ও উপসুন্দের কাহিনী থেকে।
-
এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৬০ সালে গ্রন্থাকারে।
-
এই কাব্যেই মধুসূদন প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহার করেন।
'মেঘনাদবধ কাব্য'
-
মধুসূদনের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্য হলো ‘মেঘনাদবধ কাব্য’।
-
এটি রচিত হয় ১৮৬১ সালের জুন মাসে।
-
মহাকাব্যের কাহিনী নেওয়া হয়েছে রামায়ণ থেকে, তবে কেবল একটি ছোট অংশকে ভিত্তি করে তিনি এ কাব্য রচনা করেন।
-
পুরো কাব্যটি নয় সর্গে রচিত, যেখানে মাত্র তিন দিন দুই রাতের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
-
প্রধান চরিত্রসমূহ হলো: রাবণ, মেঘনাদ, লক্ষ্মণ, রাম, প্রমীলা, বিভীষণ, সীতা, সরমা ইত্যাদি।
-
সর্গগুলোর নাম: অভিষেক, অস্ত্রলাভ, সমাগম, অশোক বন, উদ্যোগ, বধ, শক্তিনির্ভেদ, প্রেতপুরী, সংস্ক্রিয়া।
'বীরাঙ্গনা কাব্য'
-
মাইকেল মধুসূদন দত্তের আরেকটি বিখ্যাত রচনা হলো ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’।
-
এটি পত্রাকারে লেখা কাব্য, যা প্রকাশিত হয় ১৮৬২ সালে।
-
বাংলা সাহিত্যে এই ধরনের পত্রকাব্যের সূচনা মধুসূদনের হাতেই হয়।
-
তিনি এটি রচনা করেছিলেন রোমান কবি ওভিডের ‘হেরোইডাইদ্স’ কাব্যের আদলে।
-
এতে মোট ১১টি পত্র রয়েছে।
-
এই কাব্যে পৌরাণিক নারীরা আধুনিক মনোভাব নিয়ে নিজেদের প্রেম, আকাঙ্ক্ষা ও আবেগ প্রকাশ করেছে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
'সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি' -চরণ দুটির রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
চণ্ডীচরণ মুনশী
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
মদনমোহন তর্কালঙ্কার
‘আমার পণ’ কবিতা ও মদনমোহন তর্কালঙ্কার
‘সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি’—এই পঙ্ক্তিটি মদনমোহন তর্কালঙ্কারের ‘আমার পণ’ কবিতার অংশ।
মদনমোহন তর্কালঙ্কার সম্পর্কে তথ্য:
-
তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার বিল্বগ্রামে।
-
পারিবারিক উপাধি ‘চট্টোপাধ্যায়’, কিন্তু পরিচিতি ‘তর্কালঙ্কার’ হিসেবে।
-
শিশু শিক্ষার জন্য লেখা তাঁর গ্রন্থ শিশু শিক্ষা (তিন খণ্ড, ১৮৪৯ ও ১৮৫৩) শিশুদের জন্য বিশেষ উপযোগী।
-
বিখ্যাত শিশুপাঠ্য ‘পাখী সব করে রব রাতি পোহাইল’ তাঁরই রচনা।
মৌলিক কাব্যগ্রন্থ:
-
রসতরঙ্গিণী (১৮৩৪)
-
বাসবদত্তা (১৮৩৬)
‘আমার পণ’ কবিতার ভাব:
কবিতায় কবি সকালে নিজেকে দৃঢ়সংকল্পের মাধ্যমে স্মরণ করান যে, সারাদিন ভালো কাজ করা, সকলকে ভালোবাসা, সহমর্মিতা, সততা, এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখা—এই সব নিয়ম মেনে চলা উচিত।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
'সন্ধ্যাভাষা' কোন সাহিত্যকর্মের সঙ্গে যুক্ত?
Created: 1 month ago
A
চর্যাপদ
B
পদাবলি
C
মঙ্গলকাব্য
D
রোমান্সকাব্য
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন, যা “চর্যাগীতি” বা “চর্যাগীতিকোষ” নামেও পরিচিত।
-
এটি বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যসংকলন বা গানের সংকলন।
-
চর্যাপদের মূল বিষয়বস্তু বৌদ্ধধর্ম অনুযায়ী সাধনা ও ভজনের তত্ত্ব।
-
চর্যাপদে বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন।
-
১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রয়েল লাইব্রেরি থেকে এটি আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদের ভাষাকে বলা হয় ‘সন্ধ্যা’ বা ‘সান্ধ্য ভাষা’, যা কখনও স্পষ্ট এবং কখনও অস্পষ্ট; তাই একে ‘আলো-আঁধারি ভাষা’ বলাও হয়।
-
প্রাচীন ছন্দে রচিত চর্যাপদের পদগুলোর আধুনিক বিশ্লেষণে মাত্রাবৃত্ত ছন্দ ধরা হয়েছে।
চর্যাপদ বিষয়ে গবেষণা
-
১৯২০ সালে বিজয়চন্দ্র মজুমদার চর্যাপদের ভাষা নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন।
-
১৯২৬ সালে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বৈজ্ঞানিকভাবে চর্যাপদের ধ্বনিতত্ত্ব, ব্যাকরণ ও ছন্দ বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করেন যে, চর্যাপদ বাংলা ভাষায় রচিত।
-
এছাড়াও ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, ড. সুকুমার সেন, ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত চর্যাপদের ভাষা ও বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষণা করেছেন।
-
১৯৪৬ সালে ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত চর্যাপদের সহজিয়ান প্রসঙ্গে অন্তর্নিহিত তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেন।
-
বিহারের পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়ন বৌদ্ধ সিদ্ধাচর্য, বৈদ্ধ সহজান এবং চর্যাগীতিকা নিয়ে ইংরেজি ও হিন্দিতে বিস্তৃত গবেষণা করেছেন।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম।

0
Updated: 1 month ago
শুদ্ধ বাক্য নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
বিদ্বান হলেও তার কোনাে অহংকার নেই।
B
ইশ! যদি পাখির মত পাখা পেতাম।
C
অকারণে ঋণ করিও না।
D
হয়তাে সােহমা আসতে পারে।
অশুদ্ধ বাক্য হলো: অকারণে ঋণ করিও না। এই বাক্যটি গুরুচণ্ডালী দোষে আক্রান্ত হওয়ার কারণে শব্দের যথাযথতা হারিয়েছে। এর শুদ্ধ রূপ হবে: অকারণে ঋণ করো না।
গুরুচণ্ডালী দোষ সম্পর্কিত তথ্যগুলো:
-
গুরুচণ্ডালী দোষ হলো তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশীয় শব্দের ব্যবহার থেকে যে ধরনের ভুল বা অশুদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
-
কখনও কখনও তৎসম এবং দেশীয় শব্দের সংমিশ্রণ শব্দের যোগ্যতা নষ্ট করে এবং তা অশুদ্ধ বা অনুচিত হয়ে যায়।
-
উদাহরণ হিসেবে তৎসম শব্দগুলো হলো: গরুর গাড়ি, শবদাহ, মড়াপোড়া। এগুলোর গঠন এবং অর্থ সঠিক এবং কোনো সমস্যা নেই।
-
কিন্তু যদি তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশীয় শব্দ মিশ্রিত করা হয়, যেমন: গরুর শকট, শবপোড়া, মড়াদাহ, তখন শব্দগুলো গুরুচণ্ডালী দোষে আক্রান্ত হয় এবং তাদের ব্যবহার অনুচিত হয়।

0
Updated: 1 month ago