A
১৮০০
B
১৮৫৭
C
১৯০৭
D
১৯০৯
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদ
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন। এটি বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম কবিতা/গান কাব্যসংকলন হিসেবে পরিচিত।
-
আদি যুগে লেখা এই পদগুলি মূলত রচনা করেছিলেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ। পদগুলোর বিষয়বস্তুতে বৌদ্ধ ধর্ম অনুযায়ী সাধনা, ভজন এবং আধ্যাত্মিক তত্ত্ব প্রকাশ পেয়েছে।
-
চর্যাপদকে বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত দলিল বলা হয়।
-
১৯০৭ সালে ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন। পরে ১৯১৬ সালে কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে চর্যাপদ আধুনিক লিপিতে প্রকাশিত হয়।
পদসংখ্যা ও প্রাপ্তি
-
চর্যাপদের মোট পদসংখ্যা ৫০টি। তবে গবেষক সুকুমার সেন মনে করেন পদসংখ্যা ৫১টি।
-
আবিষ্কৃত হয়েছে সাড়ে ৪৬টি পদ।
-
অনাবিষ্কৃত বা বিলুপ্ত পদ রয়েছে সাড়ে ৩টি।
-
ভুসুকুপা রচিত ২৩নং পদ অসম্পূর্ণ (৬টি স্তবক পাওয়া গেছে, ৪টি হারিয়ে গেছে)।
-
এছাড়া ২৪নং (কাহ্নপা), ২৫নং (তন্ত্রীপা), এবং ৪৮নং (কুক্কুরীপা) পদগুলো পাওয়া যায়নি।
অনুবাদ ও গবেষণা
-
চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন কীর্তিচন্দ্র। পরে ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
-
প্রথম ধর্মতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ (১৯২৭)।
-
চর্যাপদের ভাষা নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন বিজয়চন্দ্র মজুমদার (১৯২০)।
-
ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত ১৯৪৬ সালে সহজযান ও চর্যাপদের অন্তর্নিহিত দর্শন নিয়ে ব্যাখ্যা দেন।
-
রাহুল সাংকৃত্যায়ন বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্য, সহজযান ও চর্যাগীতিকা নিয়ে হিন্দি ও ইংরেজিতে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন।
উৎস:
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – মাহবুবুল আলম
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 week ago
চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কে?
Created: 1 week ago
A
মুনিদত্ত
B
কীর্তিচন্দ্র
C
কানাহরি দত্ত
D
প্রবোধচন্দ্র বাগচী
• চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
- ১৯৩৮ সালে ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি ভাষার অনুবাদ আবিষ্কার করেন এবং তা প্রকাশ করে চর্যার জট উন্মোচন করেন।
• চর্যাপদ:
- চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/ গানের সংকলন।
- এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
- ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে এটি আবিষ্কার করেন।
- চর্যাপদের চর্যাগুলো রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
- চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের কথা বলা হয়েছে।
- চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
- ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি ভাষার অনুবাদ আবিষ্কার করেন।

0
Updated: 1 week ago
১৮) আধুনিক ছন্দের বিচারে চর্যাপদ কোন ছন্দে রচিত?
Created: 2 weeks ago
A
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
B
স্বরবৃত্ত ছন্দ
C
পদ্যছন্দ
D
মাত্রাবৃত্ত ছন্দ
চর্যাপদের ছন্দ
মূল বৈশিষ্ট্য:
-
চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
-
তবে প্রাচীন কোন ছন্দে রচিত তা নিয়ে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে।
ছন্দের প্রভাব ও মিল:
-
সংস্কৃত পজঝটিকা ছন্দের প্রভাব:
-
প্রতিটি চরণ ষোল মাত্রার
-
চরণে চার পর্ব, প্রতিটি পর্বে চার মাত্রা
-
-
শৌরসেনী প্রাকৃত প্রভাবিত পাদাকুলক ছন্দের সঙ্গেও মিল
-
পাদাকুলক ছন্দের চরণও ষোল মাত্রার, প্রতিটি চরণে চার পর্ব, প্রতি পর্বে চার মাত্রা
-
মন্তব্য:
-
চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত রীতিতে গঠিত হলেও বর্তমান সুনির্দিষ্ট মাত্রাবৃত্ত গণনা পদ্ধতি এতে মানা হয়নি।
-
আধুনিক ছন্দের বিচারে মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অধীনে বিবেচিত।

0
Updated: 2 weeks ago
''দুলি দুহি পিটা ধরণ ন জাই। রুখের তেন্তুলি কুম্ভীরে খাঅ।।'' - পদটির রচয়িতা কে?
Created: 2 weeks ago
A
কুক্কুরিপা
B
ঢেণ্ডণপা
C
ভুসুকুপা
D
লুইপা
চর্যাপদের ২নং পদের রচয়িতা: কুক্কুরি পা
পদটি হলো:
“দুলি দুহি পিটা ধরণ ন জাই।
রুখের তেন্তুলি কুম্ভীরে খাঅ।”
অর্থ:
"মাদী কাছিম দোহন করে দুধ পাত্রে রাখা যাচ্ছে না।
গাছের তেঁতুল কুমিরে খাচ্ছে।"
কুক্কুরি পা সম্পর্কে তথ্য:
-
কুক্কুরি পা মোট ৩টি পদ রচনা করেছেন: ২, ২০ ও ৪৮ নং পদ।
-
তবে ৪৮ নং পদটি এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 weeks ago