গারো পাহাড় থেকে নিম্নের কোন নদীর উৎপত্তি?
A
সোমেশ্বরী
B
আত্রাই
C
নিতাই
D
বাঙালি
উত্তরের বিবরণ
গারো পাহাড়
-
বাংলাদেশের বৃহত্তম ও সর্বোচ্চ পাহাড়।
-
অবস্থান: উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশ, পূর্ব-পশ্চিম বরাবর বিস্তৃত।
-
পাদদেশে অবস্থিত জেলা: ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ।
-
মোট আয়তন: প্রায় ৮,১৬৭ বর্গকিমি।
-
সর্বোচ্চ শৃঙ্গ: নকরেক (ভারত অংশে)।
-
উচ্চতা: ৪,৬৫২ ফুট ≈ ১,৪০০ মিটার।
-
প্রধান শহর: তুরা।
-
প্রধান নদী: সোমেশ্বরী/সিমসাং নদী।
সোমেশ্বরী/সিমসাং নদী
-
উৎপত্তি: ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় থেকে।
-
প্রধান ঝর্ণাধারা: বিঞ্চুরীছড়া, বাঙাছড়া; পশ্চিম দিক থেকে রমফা নদী এর স্রোতধারা যুক্ত।
-
বাংলাদেশের প্রবেশ: নেত্রকোণার দুর্গাপুরে।
-
মোড়ল নদীতে মিলন: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে বাউলাই নদী।
-
প্রাচীন নাম: সিমসাং।
অন্যান্য নদী
-
নিতাই নদী: ভারতের পশ্চিম ও দক্ষিণ গারো পাহাড় থেকে উৎপন্ন, বাংলাদেশের ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা দিয়ে প্রবাহিত।
-
বাঙালি নদী: উৎপত্তি নীলফামারী জেলার তিস্তা নদী, পরে গাইবান্ধা ও বগুড়া দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাঙালি নাম ধারণ।

0
Updated: 1 month ago
গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনায় সম্মিলিত নদী অববাহিকার কত শতাংশ বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 4 months ago
A
৪
B
১৪
C
৭
D
৩৩

বাংলাদেশ হিমালয় থেকে উৎসরিত ৩টি বৃহৎ নদী:
গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার পলল দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে। এটি পৃথিবীর একটি অন্যতম বৃহৎ বদ্বীপ।
- নদীগুলোর মধ্যে ৫৭টি হচ্ছে আন্তঃসীমান্ত নদী যার মধ্যে ৫৪টি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন এবং ৩টি বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যে অভিন্ন।
- আবহমানকাল ধরে নদীমাতৃক বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা আবর্তিত হচ্ছে এসকল নদীর পানিকে ঘিরে।
- এ তিনটি নদীর অববাহিকার মোট আয়তন প্রায় — ১.৭২ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার, যার মাত্র — ৭ শতাংশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত। এসকল নদীর অন্যান্য অববাহিকাভূক্ত দেশ হচ্ছে ভারত, নেপাল, ভূটান ও চীন।
উৎস: যৌথ নদী কমিশন ওয়েবসাইট।

0
Updated: 4 months ago
বাংলাদেশের নবীনতম নদী কোনটি?
Created: 1 week ago
A
পদ্মা
B
যমুনা
C
জিঞ্জিরাম
D
মেঘনা
বাংলাদেশে নতুন নদী সৃষ্টি হওয়ার ইতিহাস খুবই সীমিত; বরং নদী ভরাট হয়ে বা সংস্কারের অভাবে ধীরে ধীরে মরতে থাকে। প্রশ্নটি ট্রিকি, কারণ এখানে “নবীনতম নদী” বলতে সর্বশেষ যে নদীর ধারা সৃষ্টি হয়েছে সেটাকেই বোঝানো হয়েছে।
বাস্তবে, বাংলাদেশে নতুন নদী তৈরি হওয়ার ঘটনা প্রায় ২৪০ বছর পূর্বে ১৭৮৭ সালে ঘটে, যখন তীব্র ভূমিকম্প ও বন্যার ফলে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে যমুনা নদীর সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে নতুন নদী তৈরি হওয়ার কোনো উল্লেখযোগ্য ইতিহাস নেই। তাই যমুনা নদীকে বাংলাদেশে নবীনতম নদী হিসেবে ধরা হয়।
-
যমুনা নদী:
-
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা বাংলাদেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী এবং বিশ্বের দীর্ঘতম নদীর মধ্যে অন্যতম। প্রকৃতপক্ষে ব্রহ্মপুত্রের নিম্নপ্রবাহকে যমুনা বলা হয়।
-
১৭৮২-১৭৮৭ সালের মধ্যে সংঘটিত ভূমিকম্প ও প্রবল বন্যার ফলে ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে বর্তমান যমুনা নদীর সৃষ্টি হয়।
-
ব্রহ্মপুত্র নদ হিমালয় পর্বতের কৈলাস শৃঙ্গের একটি হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়ে তিব্বত ও আসামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুড়িগ্রাম জেলার মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
-
ভূমিকম্পের কারণে ব্রহ্মপুত্র ময়মনসিংহের দেওয়ানগঞ্জ এলাকায় দুটি শাখায় বিভক্ত হয় ⎯ একটি যমুনা নামে প্রবাহিত হয়ে গোয়ালন্দে পদ্মার সঙ্গে মিলিত হয়, অপরটি পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নামে ভৈরবের কাছে মেঘনায় পতিত হয়।
-
প্রধান শাখানদী: ধলেশ্বরী, বুড়িগঙ্গা।
-
উপনদীসমূহ: তিস্তা, ধরলা, করতোয়া, আত্রাই, কালজানি, তোরসা, জলঢাকা, নাগর, দুপচাপিয়া, যমুনেশ্বরী, রায়ঢাক, ধবলা, ঘাঘট, বাঙালি, বড়াল, গঙ্গা, নারদ, ধবল বা দুধকুমার, তুলসী গঙ্গা, শিব বরনাই।
-
-
পদ্মা নদী:
-
বাংলাদেশের প্রধান নদী পদ্মা। গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন গঙ্গার অংশ এটি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
-
পদ্মা যমুনার সাথে মিলিত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে চাঁদপুরে মেঘনার সঙ্গে মিশেছে।
-
শাখানদী: মধুমতি, আড়িয়াল খাঁ, ভৈরব, মাথাভাঙ্গা, কুমার, কপোতাক্ষ, শিবসাত, পশুর, বড়াল, গড়াই, ইছামতি।
-
উপনদী: মহানন্দা, টাঙ্গন, নাগর, পুনর্ভবা, কুলিক।
-
-
জিঞ্জিরাম নদী:
-
বাংলাদেশ-ভারতের আন্তঃসীমান্ত নদী।
-
কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও জামালপুর জেলায় প্রবাহিত। দৈর্ঘ্য প্রায় ২৫ কিলোমিটার।
-
-
মেঘনা নদী:
-
বাংলাদেশের প্রশস্ত ও গভীরতম নদী। উৎপত্তিস্থল ভারতের আসামের বরাক নদী।
-
বরাক নদী দুটি শাখায় বিভক্ত হয়ে সিলেটের সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে ⎯ সুরমা ও কুশিয়ারা।
-
কিশোরগঞ্জের ভৈরববাজারের কাছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গে মিলিত হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত।
-
চাঁদপুরে পদ্মার সঙ্গে মিলিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত।
-
উপনদীসমূহ: মনু, বাউলাই, গোমতী, তিতাস, কাসনি।
-
শাখানদী: জাঙ্গালিয়া, ডাকাতিয়া।
-

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশে ঢোকার পর গঙ্গা নদী, ব্রহ্মপুত্র-যমুনার সাথে নিম্নোক্ত একটা জায়গায় মেশে-
Created: 3 months ago
A
গোয়ালন্দ
B
বাহাদুরাবাদ
C
ভৈরববাজার
D
নারায়ণগঞ্জ
পদ্মা নদী বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান এবং বৃহৎ নদী। এটি মূলত মধ্য হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন গঙ্গা নদীর প্রবাহ, যা বাংলাদেশের সীমান্তে প্রবেশ করে পদ্মা নামে পরিচিত। রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দ এলাকায় পদ্মা নদী যমুনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়।
এই মিলিত স্রোত দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে চাঁদপুরে মেঘনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়। এরপর গঙ্গা, যমুনা ও মেঘনার ঐক্যবদ্ধ স্রোত মেঘনা নামে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পতিত হয়।
বাংলাদেশের গঙ্গা-পদ্মা নদীবিধৌত এলাকার আয়তন প্রায় ৩৪,১৮৮ বর্গকিলোমিটার।
পদ্মার শাখানদীসমূহ এর মধ্যে কুমার, ভৈরব, গড়াই, মাথাভাঙ্গা, ইছামতি ও আড়িয়াল খাঁ নদী উল্লেখযোগ্য।
পদ্মার উপনদী হিসেবে প্রধানত মহানন্দা নদী পরিচিত। মহানন্দার উপনদীগুলোর মধ্যে পুনর্ভবা, নাগর, কুলিক, ট্যাংগন ও পাগলা নদী গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্যসূত্র:
ভূগোল (১ম পত্র), নবম-দশম শ্রেণি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 3 months ago