রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন রচিত উপন্যাস কোনটি?
A
মতিচূর
B
অবরোধবাসিনী
C
পদ্মরাগ
D
সবগুলোই
উত্তরের বিবরণ
পদ্মরাগ উপন্যাস ও রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
পদ্মরাগ (উপন্যাস)
-
রচনা করেছেন রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।
-
মুসলিম সমাজের অন্তঃস্থিত সমস্যাগুলো ফুটিয়ে তুলেছে; এমন প্রকাশ সম্ভব হিন্দু লেখকের পক্ষ থেকে সম্ভব ছিল না।
-
উৎসর্গ করা হয়েছে রোকেয়ার জ্যেষ্ঠভ্রাতা আবুল আসাদ ইব্রাহিম।
নারী ও শিশু বিষয়ক প্রবন্ধ
-
রচয়িতা: রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
-
গ্রন্থ: মতিচূর, অবরোধবাসিনী
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন (জীবনী সংক্ষিপ্ত)
-
জন্ম: ৯ ডিসেম্বর ১৮৮০, পায়রাবন্দ গ্রাম, রংপুর।
-
নারীর অধিকার ও শিক্ষার পথিকৃৎ; বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের চিরঅম্লান অবদান।
-
১৯১৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন আঞ্জুমানে খাওয়াতীনে ইসলাম (মুসলিম মহিলা সমিতি)।
-
অনুবাদ গ্রন্থ: ‘Sultana’s Dream’ → সুলতানার স্বপ্ন।
-
প্রতীকী রচনা; Lady Land/নারীস্থান রোকেয়ার স্বপ্নকল্পনার প্রতীক।
-
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
'চারুমুখ চিত্তহারা' রোমিও জুলিয়েটে'র অনুবাদ নাটকটি কার রচনা?
Created: 3 weeks ago
A
রামনারায়ণ তর্করত্ন
B
হরচন্দ্র ঘোষ
C
গিরিশচন্দ্র ঘোষ
D
মনোমোহন বসু
অনুবাদ নাটক বাংলা নাটকের বিকাশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল। এই প্রসঙ্গে হরচন্দ্র ঘোষের অনুবাদ নাটক বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
-
ভানুমতী চিত্তবিলাস (১৮৫২): শেক্সপীয়রের মার্চেন্ট অব ভেনিস এর ভাবানুবাদ।
-
চারুমুখ চিত্তহারা (১৮৬৪): শেক্সপীয়রের রোমিও জুলিয়েট এর ভাবানুবাদ নাটক।

0
Updated: 3 weeks ago
মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রবর্তিত 'অমিত্রাক্ষর ছন্দ’ প্রকৃত পক্ষে বাংলা কোন ছন্দের নব-রূপায়ণ?
Created: 2 weeks ago
A
স্বরবৃত্ত ছন্দ
B
মাত্রাবৃত্ত ছন্দ
C
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
D
গৈরিশ ছন্দ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের একজন অগ্রণী কবি এবং নাট্যকার, যিনি বাংলা কাব্যে নতুন ধারা ও ছন্দের প্রবর্তন ঘটিয়েছেন। তিনি ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদীর তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সনেটের প্রবর্তক এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দের উদ্ভাবক, যা বাংলা সাহিত্যে একটি নতুন সুর এবং ছন্দশৈলী নিয়ে এসেছে।
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত একজন মহাকবি এবং নাট্যকার।
-
তিনি বাংলা সনেট প্রবর্তন করেন, যা বাংলা কবিতায় পশ্চিমা প্রভাবের সঙ্গে মিলিত হয়ে নতুন ধারা সৃষ্টি করে।
-
মাইকেল দত্ত অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক, যা বাংলা অক্ষরবৃত্ত ছন্দকে নবজীবন প্রদান করে।
-
তার সাহিত্যকর্মে বাংলা কাব্যকে সুরমুক্তি এবং ছন্দসমৃদ্ধি প্রদান করা হয়েছে।
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ বাংলা কাব্যের প্রধান ছন্দ, যা অন্য ছন্দের তুলনায় উচ্চারণে স্বাভাবিক এবং গদ্য উচ্চারণভঙ্গির অনুসারী। উনিশ শতকে মাইকেল মধুসূদন দত্তের মাধ্যমে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তন এই ছন্দকে আরও সমৃদ্ধ এবং আধুনিক আকারে পরিণত করে।
-
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ শ্বাসাঘাতপ্রধান নয়, বরং তানপ্রধান। তান হলো স্বরধ্বনি বা সাধারণ উচ্চারণের অতিরিক্ত টান, যা দীর্ঘ পর্বের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ ৮/৬ বা ৮/১০ মাত্রায় রচিত হয়, যা ছন্দের দীর্ঘতা নির্ধারণ করে।
-
অমিত্রাক্ষর ছন্দ আসলে বাংলা অক্ষরবৃত্ত ছন্দের নব সংস্করণ, যা সাহিত্যে নতুন ছন্দের ধারা প্রতিষ্ঠা করে।
-
মহাপয়ার হলো পয়ার ছন্দের একটি বিস্তৃত রূপ, যেখানে সাধারণ পয়ারের ৬ মাত্রার পরিবর্তে ১০ মাত্রা ব্যবহৃত হয়।
-
এভাবে, বাংলা সাহিত্যে অক্ষরবৃত্ত এবং তার নবীন রূপ চিরায়ত কাব্যসমূহকে শ্রেষ্ঠ ছন্দে রূপায়িত করেছে।

0
Updated: 2 weeks ago
গদ্যপদ্যে মিশ্রিত কাব্য কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
B
সেক শুভোদয়া
C
চৈতন্যভাগবত
D
মহাভারত
‘সেক শুভোদয়া’ অন্ধকার যুগের একটি উল্লেখযোগ্য সাহিত্য নিদর্শন। এটি পীর মাহাত্ম্য ব্যঞ্জক চম্পুকাব্য, যেখানে গদ্য ও পদ্য একসঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে। গ্রন্থটিতে ধর্মীয় কাহিনির পাশাপাশি ভাষার প্রাচীন বৈশিষ্ট্যও প্রকাশ পেয়েছে।
-
হলায়ুধ মিশ্র ‘সেক শুভোদয়া’ রচনা করেন। এটি সংস্কৃত গদ্যপদ্যে রচিত চম্পুকাব্য।
-
এখানে অশুদ্ধ বাংলা ও ভুল সংস্কৃত শব্দের ব্যবহার পাওয়া যায় বলে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় একে dog Sanskrit বলেছেন।
-
ড. মুহাম্মদ এনামুল হকের মতে, ‘সেক শুভোদয়া’ খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতকের গোড়ার দিকের রচনা।
-
কাহিনি অনুসারে অলৌকিক শক্তিধর মুসলমান শেখ জালালুদ্দীন তাবরেজি রাজা লক্ষ্মণ সেনের সভায় গল্পটি পরিবেশন করেন।
-
গ্রন্থে বহু বাংলা ছড়া ও বাগধারা ব্যবহৃত হয়েছে।
-
এতে মোট ২৫টি অধ্যায় আছে। ১৩২০-২১ বঙ্গাব্দে মণীন্দ্রমোহন বসু ১৩টি পরিচ্ছেদ বঙ্গানুবাদসহ ‘কায়স্থ’ পত্রিকায় প্রকাশ করেন।
-
১৩৩৪ বঙ্গাব্দে সুকুমার সেন গ্রন্থটির সম্পাদনা করে প্রথম মুদ্রণ করেন।
অন্যদিকে:
-
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বড়ুচণ্ডীদাস রচিত রাধাকৃষ্ণের প্রণয়কথাভিত্তিক আখ্যানকাব্য।
-
চৈতন্যভাগবত (১৫৪৬-১৫৫০) বৃন্দাবন দাসের রচনা এবং এটি বাংলায় চৈতন্যদেবের জীবনীমূলক প্রথম কাব্য।
-
মহাভারত সংস্কৃত ভাষায় রচিত ভারতের প্রাচীন মহাকাব্য, যার রচয়িতা মহর্ষি বেদব্যাস।

0
Updated: 3 weeks ago