কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধ কোনটি?
A
রুদ্রমঙ্গল
B
যুগবাণী
C
তুর্কমহিলার ঘোমটা খোলা
D
ব্যথার দান
উত্তরের বিবরণ
• কাজী নজরুল ইসলামের যা কিছু প্রথম:
- প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধ- 'তুর্কমহিলার ঘোমটা খোলা'।
- প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস - বাঁধন হারা।
- প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধগ্রন্থ- 'যুগবাণী'।
- প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ- 'ব্যথার দান'। (প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থও এটি।)
- প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ- 'অগ্নি-বীণা'।
- প্রথম প্রকাশিত কবিতার নাম- 'মুক্তি'।
- প্রথম প্রকাশিত-গল্প "বাউণ্ডলের আত্মকাহিনী"।
- প্রথম প্রকাশিত নাটক - ঝিলিমিলি।
• কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ:
- রাজবন্দীর জবানবন্দি,
- দুর্দিনের যাত্রী,
- যুগবাণী,
- রুদ্র মঙ্গল।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 month ago
কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধ কোনটি?
Created: 5 months ago
A
রুদ্রমঙ্গল
B
যুগবাণী
C
তুর্কমহিলার ঘোমটা খোলা
D
ব্যথার দান
• কাজী নজরুল ইসলামের যা কিছু প্রথম:
- প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধ- 'তুর্কমহিলার ঘোমটা খোলা'।
- প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস - বাঁধন হারা।
- প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধগ্রন্থ- 'যুগবাণী'।
- প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ- 'ব্যথার দান'। (প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থও এটি।)
- প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ- 'অগ্নি-বীণা'।
- প্রথম প্রকাশিত কবিতার নাম- 'মুক্তি'।
- প্রথম প্রকাশিত-গল্প "বাউণ্ডলের আত্মকাহিনী"।
- প্রথম প্রকাশিত নাটক - ঝিলিমিলি।
• কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ:
- রাজবন্দীর জবানবন্দি,
- দুর্দিনের যাত্রী,
- যুগবাণী,
- রুদ্র মঙ্গল।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 5 months ago
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের 'মতিচূর' কোন ধরনের রচনা?
Created: 1 month ago
A
প্রবন্ধ
B
উপন্যাস
C
নাটক
D
আত্মজীবনী
‘মতিচূর’ প্রবন্ধগ্রন্থ
-
মতিচূর হলো বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের উদ্দেশ্যমূলক প্রবন্ধগ্রন্থ।
-
যেমন ঘৃতপক্ক মিষ্টান্নের ছোট ছোট দানা ‘মতিচূর’, তেমনই রোকেয়ার প্রবন্ধগুলো স্বাদে ও ভাবনায় মনোমুগ্ধকর।
-
এই গ্রন্থ দুটি খণ্ডে বিভক্ত, যেখানে মোট ১৭টি প্রবন্ধ সংকলিত।
-
প্রথম খণ্ডে ৭টি প্রবন্ধ রয়েছে: ‘পিপাসা’, ‘স্ত্রীজাতির অবনতি’, ‘নিরীহ বাঙালি’, ‘অর্ধাঙ্গী’, ‘সুগৃহিণী’, ‘বোরকা’ এবং ‘গৃহ’।
-
দ্বিতীয় খণ্ডে ১০টি প্রবন্ধ রয়েছে।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
-
বেগম রোকেয়া ছিলেন খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক, সমাজ সংস্কারক এবং মুসলিম নারীর অধিকার আন্দোলনের পথিকৃৎ।
-
তিনি মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত।
-
জন্ম: ৯ ডিসেম্বর ১৮৮০, পায়রাবন্দ, রংপুর জেলা।
-
স্বামীর উৎসাহে সাহিত্যচর্চা শুরু করেন এবং সমকালীন সমাজের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লিখেছেন।
-
তিনি সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল এবং আনজুমান-ই-খাওয়াতীন-ই-ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে মুসলিম নারীদের শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে এগিয়ে আসার সুযোগ করে দেন।
উল্লেখযোগ্য রচনা:
-
প্রবন্ধ: মতিচূর
-
নকশাধর্মী রচনা: Sultana’s Dream, অবরোধবাসিনী
-
উপন্যাস: পদ্মরাগ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
‘একাত্তরের দিনগুলি’ কোন ধরনের রচনা?
Created: 1 week ago
A
উপন্যাস
B
প্রবন্ধ
C
নাটক
D
দিনলিপি
‘একাত্তরের দিনগুলি’ জাহানারা ইমাম রচিত এক অনন্য ডায়েরি বা দিনলিপি, যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বাস্তব অভিজ্ঞতা, বেদনা ও সংগ্রামের দলিল হিসেবে ইতিহাসে স্থান পেয়েছে। এটি শুধু একটি সাহিত্যকর্ম নয়, বরং একজন মায়ের চোখে দেখা জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের মর্মস্পর্শী বিবরণ।
-
‘একাত্তরের দিনগুলি’ গ্রন্থটি জাহানারা ইমামের সর্বাধিক খ্যাতিপ্রাপ্ত রচনা, যা দিনপঞ্জি বা ডায়েরির আকারে লেখা।
-
এতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাঙালির দৈনন্দিন জীবন, যুদ্ধের ভয়াবহতা, পাকিস্তানি সেনাদের নির্মমতা ও মুক্তিকামী মানুষের ত্যাগ নিখুঁতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
-
এটি মূলত লেখিকার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বর্ণনা, যেখানে যুদ্ধকালীন দিনগুলির ঘটনাবলি একদিকে যেমন বেদনাদায়ক, অন্যদিকে তেমনি অনুপ্রেরণাদায়ক।
-
তাঁর একমাত্র পুত্র রুমী মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং শহীদ হন—এই ব্যক্তিগত শোককে লেখিকা দেশের সংগ্রাম ও ত্যাগের প্রতীকে পরিণত করেছেন।
-
‘একাত্তরের দিনগুলি’ বাংলা সাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধের শিহরণময়, মর্মস্পর্শী ও দলিলসম মূল্যবান রচনা হিসেবে বিবেচিত।
-
এতে সমাজ, পরিবার ও মানবিক অনুভূতির গভীর প্রকাশের পাশাপাশি স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামী জাতির অদম্য মানসিক শক্তি প্রতিফলিত হয়েছে।
জাহানারা ইমাম (১৯২৯–১৯৯৪):
-
জন্ম: ১৯২৯ সালের ৩ মে, অবিভক্ত বাংলার মুর্শিদাবাদ জেলার সুন্দরপুর গ্রামে।
-
পরিচিতি: ‘শহীদ জননী’ নামে খ্যাত, কারণ তাঁর পুত্র রুমী মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।
-
তিনি ছিলেন ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি’র আহ্বায়ক, এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে জাতীয় আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।
-
১৯৮১ সালে মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং দীর্ঘ চিকিৎসার পর ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন, আমেরিকার মিশিগান স্টেটের ডেট্রয়েটে মৃত্যুবরণ করেন।
-
মৃত্যুর পর তাঁর দেহ ঢাকায় এনে সমাহিত করা হয়।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
১. একাত্তরের দিনগুলি
২. গজকচ্ছপ
৩. সাতটি তারার ঝিকিমিকি
৪. অন্য জীবন
৫. বুকের ভিতর আগুন
৬. শেক্সপিয়রের ট্রাজেডি
৭. নাটকের অবসান
৮. নিঃসঙ্গ পাইন
৯. ক্যান্সারের সঙ্গে বসবাস
১০. প্রবাসের দিনগুলি
জাহানারা ইমামের ‘একাত্তরের দিনগুলি’ কেবল একটি সাহিত্যকর্ম নয়—এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক জীবন্ত দলিল, যেখানে এক নারীর চোখ দিয়ে দেখা স্বাধীনতার সংগ্রাম চিরকাল পাঠকের হৃদয়ে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

0
Updated: 1 week ago