A
মাত্রাবৃত্ত
B
স্বরবৃত্ত
C
ছন্দহীন
D
অক্ষরবৃত্ত
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদ
-
ভাষা: চর্যাপদের ভাষাকে বলা হয় ‘সন্ধ্যা’ বা ‘সান্ধ্য ভাষা’, যা কোথাও স্পষ্ট, কোথাও অস্পষ্ট। একে ‘আলো-আঁধারি’ ভাষাও বলা হয়।
-
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মন্তব্য:
"আলো আঁধারি ভাষা, কতক আলো, কতক অন্ধকার, খানিক বুঝা যায়, খানিক বুঝা যায় না। যাঁহারা সাধন-ভজন করেন, তাঁহারাই সে কথা বুঝিবেন, আমাদের বুঝিয়া কাজ নাই।"
-
ছন্দ: চর্যাপদের পদগুলো প্রাচীন ছন্দে রচিত কি না তা বলা সম্ভব নয়; আধুনিক ছন্দ অনুযায়ী এগুলো মাত্রাবৃত্ত ছন্দে বিবেচিত হয়।

0
Updated: 1 week ago
'কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই' - উক্তিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন গল্প থেকে নেয়া?
Created: 1 week ago
A
কাবুলিওয়ালা
B
পোস্টমাস্টার
C
নষ্টনীড়
D
জীবিত ও মৃত
‘জীবিত ও মৃত’ (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
-
রচনাকাল: ১৮৯২ খ্রি.
-
বাংলা ছোটগল্প; রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত।
-
অন্তর্ভুক্ত: ‘গল্পগুচ্ছ’।
-
বৈশিষ্ট্য:
-
অতিপ্রাকৃত গল্প ও ব্যঙ্গাত্মক উপমার মিশ্রণ।
-
যদিও এটি নিখুঁত অতিপ্রাকৃত গল্প নয়।
-
-
প্রধান চরিত্র: কাদম্বিনী।
-
কাদম্বিনীর অস্তিত্ব অতিপ্রাকৃতভাবে চিত্রিত।
-
জীবন ও মৃত্যুর মাঝখানে আটকে থাকার রহস্যই গল্পের মূল বিষয়।
-
-
উল্লেখযোগ্য উক্তি:
“কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।”

0
Updated: 1 week ago
চর্যাপদের ধর্মমত নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন কে?
Created: 2 weeks ago
A
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
C
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী
D
বিজয়চন্দ্র মজুমদার
চর্যাপদের প্রধান আলোচকগণ:
-
১৯০৭ সালে চর্যাপদ আবিষ্কারের পর অনেক পণ্ডিত চর্যাপদ ও এর বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করেন।
-
বিজয়চন্দ্র মজুমদার – ১৯২০ সালে চর্যাপদের ভাষা নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন।
-
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী – চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন এবং ১৯৩৮ সালে প্রকাশ করে চর্যার জট উন্মোচন করেন।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ – ১৯২৭ সালে চর্যাপদের ধর্মতত্ত্ব নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন এবং ১৯৪২ সালে চর্যাপদের সঠিক পাঠ নির্ণয় করে আলোচনার পথ সহজ করেন।
-
ড. শশিভূষণ দাশগুপ্ত – ১৯৪৬ সালে চর্যাগীতির অন্তর্নিহিত তত্ত্বের ব্যাখ্যা প্রকাশ করেন।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 2 weeks ago
চর্যাপদে কোন ধর্মের কথা বলা হয়েছে?
Created: 6 days ago
A
ইসলাম ধর্ম
B
বৌদ্ধ ধর্ম
C
হিন্দু ধর্ম
D
খ্রিষ্টান ধর্ম
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/গানের সংকলন।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদের চর্যাগুলি রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
-
এতে মূলত বৌদ্ধধর্মের উপদেশ তুলে ধরা হয়েছে।
-
আধুনিক ছন্দ বিশ্লেষণে চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
-
চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
-
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ-র মতে চর্যাপদ রচনা হয়েছে খ্রিষ্টাব্দ ৬৫০ সালে, আর সুনীতকুমার চট্টোপাধ্যায়-এর মতে খ্রিষ্টাব্দ ৯৫০–১২০০ সালের মধ্যে।
-
চর্যাপদের সংখ্যা সম্পর্কেও মতভেদ রয়েছে—ড. শহীদুল্লাহর মতে ৫০টি, আর সুনীতকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে ৫১টি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (মাহবুবুল আলম), বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 6 days ago