শীতকালে জলভাগের চেয়ে স্থলভাগ বেশি-
A
শীতল থাকে
B
গরম থাকে
C
সমান তাপমাত্রা থাকে
D
কোনটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
স্থলভাগ ও জলভাগের অবস্থান ও প্রভাব
প্রধান বৈশিষ্ট্য
-
স্থলভাগ দ্রুত উত্তপ্ত ও শীতল হয়; জলভাগ তুলনায় ধীরে উত্তপ্ত ও শীতল।
-
শীতকালে → স্থলভাগ বেশি শীতল; গ্রীষ্মে → স্থলভাগ বেশি গরম।
-
সূর্যরশ্মি স্থলভাগে বেশি প্রতিফলিত হয়।
-
জলভাগে আবহাওয়া মৃদুভাবাপন্ন, স্থলভাগে চরম তাপমাত্রা দেখা দেয়।
প্রভাব
-
স্থল ও জলভাগের অবস্থান আবহাওয়া ও জলবায়ুর পার্থক্য তৈরি করে।
-
পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের ৭১% জলভাগ এবং ২৯% স্থলভাগ এই পার্থক্য সৃষ্টি করে।
-
সমুদ্রের পানির স্রোত ও জোয়ার ভাটা দ্বারা বায়ু উত্তপ্ত হয় এবং পুনঃবণ্টন ঘটে।
-
মূল কারণ: স্থলভাগের আপেক্ষিক তাপ (specific heat) কম, জলভাগের বেশি।

0
Updated: 1 month ago
কোনটি জলবায়ুর নিয়ামক নয়?
Created: 1 week ago
A
সমুদ্রস্রোত
B
অক্ষাংশ
C
বায়ুপ্রবাহ
D
দ্রাঘিমাংশ
জলবায়ু (Climate) হলো কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের কয়েক বছরের গড় আবহাওয়া। এটি পরিবর্তনশীল আবহাওয়ায় তাপমাত্রা, বায়ু চাপ, বায়ুপ্রবাহ, আর্দ্রতা, মেঘাচ্ছন্নতা, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ইত্যাদির ৩০–৪০ বছরের গড় অবস্থাকে নির্দেশ করে।
জলবায়ুর নিয়ামকসমূহ:
-
বিভিন্ন অঞ্চলে জলবায়ুর পার্থক্য ঘটে, যা প্রধানত নিয়ামকসমূহের ওপর নির্ভর করে।
-
নিম্নলিখিত বিষয়গুলো জলবায়ুর নিয়ামক হিসেবে বিবেচিত হয়:
১. অক্ষাংশ
২. উচ্চতা (ভূ-স্হরের উচ্চতা)
৩. সমুদ্র থেকে দূরত্ব
৪. স্থলভাগ ও জলভাগের অবস্থান
৫. সমুদ্রস্রোত
৬. ভূমির ঢাল
৭. ভূ-প্রকৃতি
৮. বায়ুপ্রবাহ
৯. বায়ুর চাপ
১০. বনভূমির অবস্থান
উল্লেখ্য, দ্রাঘিমাংশ জলবায়ুর নিয়ামক নয়।

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোনটি জলবায়ুর নিয়ামক হিসেবে বিবেচিত নয়?
Created: 1 month ago
A
সময় প্রবাহ
B
অক্ষাংশ
C
উচ্চতা
D
সমুদ্রস্রোত
জলবায়ু ও নিয়ামক:
-
জলবায়ু: কোনো অঞ্চলের ৩০–৪০ বছরের গড় আবহাওয়ার অবস্থার ধরন।
-
নিয়ামক: ভৌগোলিক কারণে স্থানভেদে জলবায়ুর পার্থক্য নির্ধারণকারী উপাদান।
-
সময় প্রবাহ জলবায়ুর নিয়ামক নয়।
-
পর্যবেক্ষণ: আবহাওয়া অফিস দীর্ঘকালীন তথ্য পর্যবেক্ষণ করে জলবায়ু নির্ধারণ করে।
প্রধান নিয়ামক:
১. অক্ষাংশ
২. বায়ুপ্রবাহ
৩. সমুদ্রস্রোত
৪. পর্বতের অবস্থান
৫. উচ্চতা
৬. সমুদ্র থেকে দূরত্ব
৭. ভূমির ঢাল
৮. মৃত্তিকার গঠন
৯. বনভূমির অবস্থান

0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোন আপদটি (Hazard) পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যুর প্রধান কারণ?
Created: 1 month ago
A
সড়ক দুর্ঘটনা
B
তামাক ও মাদকদ্রব্য গ্রহণ
C
বায়ু দূষণ
D
ক্যান্সার
বায়ু দূষণ ও আপদ (Hazard)
বায়ু দূষণ পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ।
-
বায়ু দূষণের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং সৃষ্টি হচ্ছে।
-
দূষণকারী প্রধান উপাদান হলো – কার্বন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনো-অক্সাইড, ওজোন, নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহ ও এরোসল।
-
দূষণের মূল উৎস: জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো, যানবাহন ও কারখানার ধোঁয়া, তেজস্ক্রিয় পদার্থ, ইটভাটা, এমনকি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত।
-
শহরাঞ্চলে বায়ুদূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি।
-
এ দূষণ সরাসরি মানুষের স্বাস্থ্যকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
-
দূষিত বাতাস শ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে শ্বাসকষ্ট, কাশি, বুক জ্বালা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
-
সালফারের অক্সাইড ফুসফুসের নানা রোগ সৃষ্টি করে।
-
নাইট্রোজেন অক্সাইড ফুসফুস ফুলে যাওয়া, ফুসফুসে পানি জমা এবং গুরুতর অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
-
দীর্ঘ সময় দূষিত বায়ুতে থাকার ফলে হাঁপানি, শ্বাসনালীর প্রদাহ ও কণ্ঠস্বর ভাঙার মতো রোগ দেখা দেয়।
-
শুধু শ্বাসতন্ত্র নয়, প্রায় প্রতিটি অঙ্গতন্ত্রে জটিলতা তৈরি হয়।
-
ক্যান্সার, নিউমোনিয়া, জন্ডিসসহ নানা রোগের কারণে বিশ্বে মৃত্যুর হার বাড়ছে।
আপদ (Hazard)
-
আপদ হলো এমন একটি অস্বাভাবিক ঘটনা, যা প্রাকৃতিক, মানবসৃষ্ট বা কারিগরি কারণে ঘটে এবং মানুষের জীবন ও জীবিকাকে বিপদে ফেলে।
-
আপদের ফলে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়।
-
যেমন: ভূমিকম্প, বন্যা ইত্যাদির সরাসরি প্রভাব পড়ে অবকাঠামোর ওপর, যার পুনর্নির্মাণ অনেক ব্যয়বহুল।
-
অর্থাৎ, সব ধরনের চরম ঘটনাই আপদ হিসেবে গণ্য হয়।
আপদের ধরন:
-
প্রাকৃতিক আপদ – ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বজ্রঝড়, টর্নেডো, বন্যা, ভূমিকম্প, সুনামি, খরা, নদী ভাঙন ইত্যাদি।
-
মানবসৃষ্ট আপদ – ভবনধ্বস, সড়ক ও নৌ দুর্ঘটনা, অগ্নিকাণ্ড ইত্যাদি।
-
কারিগরি আপদ – বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের অগ্নিকাণ্ড, কলকারখানার দুর্ঘটনা, পারমাণবিক দুর্ঘটনা ইত্যাদি।
উৎসঃ ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago