A
মীর মুরাদ
B
ইসলাম খান
C
মীর জুমলা
D
শায়েস্তা খান
উত্তরের বিবরণ
হোসেনী দালান
-
অবস্থান: পুরানো ঢাকায়, শিয়া সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইমারত।
-
নির্মাণকাল: মুঘল আমলে; শাহ সুজার শাসনকালে জনৈক মীর মুরাদ প্রথম এ ইমারত নির্মাণ করেন বলে মনে করা হয়।
-
উদ্দেশ্য:
-
প্রতি বছর ৬১ হিজরির ১০ মুহররম তারিখে কারবালার যুদ্ধে আল-হোসেনের শহীদত্ব স্মরণ করা।
-
শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত এই রীতি অনুসরণ করা।
-
-
শাহ সুজা নিজে সুন্নি মুসলমান হলেও শিয়াদের রীতিনীতি পৃষ্ঠপোষকতা করতে আগ্রহী ছিলেন।
-
প্রেরণা: সৈয়দ মুরাদ এক স্বপ্নে আল হোসেনকে একটি ‘তাজিয়াখানা’ নির্মাণ করতে দেখে এবং এই ইমারত নির্মাণে উৎসাহিত হন।
-
নামকরণ: মীর মুরাদ ইমারতের নাম দেন হোসেনী দালান।
-
গঠন: প্রাথমিকভাবে ছোট্ট একটি স্থাপনা।
-
পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার:
-
১৮০৭ ও ১৮১০ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উদ্যোগে সংস্কার।
-
১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পের পর কিছু অংশ নতুন করে পুনর্নির্মাণ।
-
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
পাহাড়পুরের বৌদ্ধ বিহারটি কি নামে পরিচিত ছিল?
Created: 3 months ago
A
সোমপুর বিহার
B
ধর্মপাল বিহার
C
জগদ্দল বিহার
D
শ্রী বিহার
• পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার:
- পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার বা সোমপুর মহাবিহার বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার।
- পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করেছিলেন।
- ১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।
- ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়।
- পাহাড়পুরকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বৌদ্ধবিহার বলা যেতে পারে।
- আয়তনে এর সাথে ভারতের নালন্দা মহাবিহারের তুলনা হতে পারে।
- এটি ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধদের অতি বিখ্যাত ধর্মচর্চা কেন্দ্র ছিল।
- বর্তমান বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার বাদলগাছি উপজেলার পাহারপুর গ্রামে অবস্থিত এই বিহার।
- শুধু উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই নয়, চীন, তিব্বত, মায়ানমার (তদানীন্তন ব্রহ্মদেশ), মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশের বৌদ্ধরা এখানে ধর্মচর্চা ও ধর্মজ্ঞান অর্জন করতে আসতেন।
- খ্রিষ্টীয় দশম শতকে বিহারের আচার্য ছিলে অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান।
- পুন্ড্রবর্ধনের রাজধানী পুন্ড্রনগর (বর্তমান মহাস্থান) এবং অপর শহর কোটিবর্ষ (বর্তমান বানগড়)এর মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত ছিল সোমপুর মহাবিহার।
- এর ধ্বংসাবশেষটি বর্তমান বাংলাদেশের বৃহত্তর রাজশাহীর অন্তর্গত নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত।
উৎস: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন, নওগাঁ জেলার সরকারি ওয়েবসাইট এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি ।

0
Updated: 3 months ago
ঢাকার বিখ্যাত তারা মসজিদ তৈরি করেন-
Created: 3 months ago
A
শায়েস্তা খান
B
নওয়াব সলিমুল্লাহ
C
মির্জা আহমেদ জান
D
খান সাহেব আবুল হাসনাত
• ঢাকার বিখ্যাত তারা মসজিদ তৈরি করেন — 'মির্জা আহমেদ জান'।
• তারা মসজিদ:
- তারা মসজিদ পুরানো ঢাকার আরমানিটোলায় আবুল খয়রাত সড়কে অবস্থিত।
- সাদা মার্বেলের গম্বুজের ওপর নীলরঙা তারায় খচিত এ মসজিদ নির্মিত হয় আঠারো শতকের প্রথম দিকে।
- মির্জা গোলাম পীর (মির্জা আহমদ জান) ঢাকার বিখ্যাত ‘তারা মসজিদ’ তৈরি করেন।
- ১৯২৬ সালে, ঢাকার তৎকালীন স্থানীয় ব্যবসায়ী, আলী জান বেপারী মসজিদটির সংস্কার করেন। সে সময় জাপানের রঙিন চিনি-টিকরি পদার্থ ব্যবহৃত হয় মসজিদটির মোজাইক কারুকাজে।
- মসজিদের বতর্মান দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট (২১.৩৪ মিটার), প্রস্থ ২৬ ফুট (৭.৯৮ মিটার)।
উল্লেখ্য,
- ছোট কাটরা নির্মান করেন শায়েস্তা খান এবং বড় কাটরা নির্মান করেন শাহ সুজা ।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য নওয়াব সলিমুল্লাহ বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য তিনি ঢাকার রমনা এলাকায় নিজ জমি দান করেন।
তথ্যসূত্র - বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন।

0
Updated: 3 months ago