A
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান
B
ভাষা আন্দোলন
C
মুক্তিযুদ্ধ
D
জুলাই গণঅভ্যুত্থান
উত্তরের বিবরণ
শ্রাবণ বিদ্রোহ
-
‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’ একটি তথ্যচিত্র।
-
এটি নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশের ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত কোটা সংস্কার আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে।
-
এ তথ্যচিত্রে জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরা হয়েছে।
উৎস: বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বিএসএস)

0
Updated: 1 week ago
ঢাকার বাহিরে অপারেশন সার্চলাইটের দায়িত্বে ছিলেন কে?
Created: 3 months ago
A
রাও ফরমান আলী
B
টিক্কা খান
C
খাদিম হোসেন রাজা
D
মোহাম্মদ নিয়াজী
অপারেশন সার্চলাইটের পরিকল্পনা:
- পাকিস্তানি সেনারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পূর্ব পাকিস্তানে যে গণহত্যামূলক অভিযান চালিয়েছিল তার নাম দিয়েছিল ‘অপারেশন সার্চ লাইট’।
- পাকিস্তান বাহিনীর ১৪ ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা এবং ৫৭ ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী খান ১৯৭১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি অপারেশন সার্চলাইট নামে একটি সামরিক অভিযানের বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছেন।
- ১৭ মার্চ চীফ অব স্টাফ জেনারেল আবদুল হামিদ খানের নির্দেশে জেনারেল রাজা পরদিন ঢাকা সেনানিবাসে জিওসি অফিসে অপারেশন সার্চলাইট পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন।
- এই অপারেশন সার্চ লাইট অনুযায়ী ঢাকা শহরের গণহত্যার মূল দায়িত্ব দেওয়া হয় জেনারেল রাও ফরমান আলীকে।
- ঢাকার বাহিরে এ অপারেশনের দায়িত্ব পান জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা।
- এ পরিকল্পনার সার্বিক তত্ত্বাবধান অর্থাৎ মূল দায়িত্বে ছিলেন জেনারেল টিক্কা খান।
তথ্যসূত্র - বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি এবং বিবিসি।

0
Updated: 3 months ago
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ গণহত্যাটি কোথায় হয়?
Created: 3 months ago
A
আসামিড্যা
B
মেহেরপুর বিধবা পল্লী
C
চুকনগর
D
রায়ের বাজার
১৯৭১ সালের ২০ মে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের চুকনগর গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণহত্যা ঘটে। এতে এক ব্যাটালিয়ন পাকিস্তানি সেনা ব্রাশফায়ার করে ৪ ঘণ্টায় অন্তত ১২ হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। উল্লেখ্য, চুকনগরের পাশে ভদ্রা নদীর পানিতে গণহত্যায় নিহত অনেক লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয়।

0
Updated: 3 months ago
মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়?
Created: 1 month ago
A
আট
B
দশ
C
এগার
D
পনের
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিবাহিনীর কার্যক্রম পরিচালনা এবং সংগঠিত করার জন্য পুরো দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল।
সেক্টরভিত্তিক অঞ্চলসমূহ:
-
সেক্টর ১: ফেনী নদী থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি এবং ফেনী জেলার অন্তর্ভুক্ত অঞ্চল।
-
সেক্টর ২: ঢাকা, কুমিল্লা, আখাউড়া–ভৈরব রেলপথ ঘিরে নোয়াখালী ও ফরিদপুরের কিছু এলাকাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
সেক্টর ৩: আখাউড়া–ভৈরব রেলপথের পূর্ব দিকসহ কুমিল্লার কিছু অংশ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ এবং ঢাকার কিছু এলাকাকে নিয়ে গঠিত।
-
সেক্টর ৪: সিলেট জেলার নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত ছিল এই সেক্টরে।
-
সেক্টর ৫: বৃহত্তর ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল ও সিলেটের অংশবিশেষ এই সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
সেক্টর ৬: ঠাকুরগাঁও মহকুমা ও ব্রহ্মপুত্র নদ ঘেঁষা এলাকাগুলো বাদে পুরো রংপুর অঞ্চল এই সেক্টরের আওতাভুক্ত ছিল।
-
সেক্টর ৭: রাজশাহী, পাবনা, বগুড়ার বেশিরভাগ এলাকা, দিনাজপুরের দক্ষিণ অংশ এবং রংপুরের কিছু অংশ নিয়ে এই সেক্টরের গঠন।
-
সেক্টর ৮: কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনার দৌলতপুর-সাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত অঞ্চল এবং ফরিদপুরের কিছু অংশ এই সেক্টরের অন্তর্গত।
-
সেক্টর ৯: বরিশাল, পটুয়াখালী এবং খুলনার কিছু অঞ্চলকে নিয়ে গঠিত হয় ৯ নম্বর সেক্টর।
-
সেক্টর ১০: এই সেক্টরটি ছিল বিশেষ; সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল, নৌ-কমান্ডো এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথ নিয়ন্ত্রণে এ সেক্টরের কাজ ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
-
সেক্টর ১১: ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয়েছিল ১১ নম্বর সেক্টর।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা, ২৬ মার্চ ২০২৩

0
Updated: 1 month ago