মিলটন নবম খণ্ডে শয়তানের ইডেনে প্রবেশকে একজন চোরের সাথে তুলনা করেছেন। এই তুলনা তার কাজের গোপনীয়তা এবং অশ্রদ্ধার দিকটিকে সামনে আনে।

শয়তান সাহসী নায়কের মতো প্রবেশ করে না; বরং সে লুকিয়ে আসে অন্ধকারে, যেমন চোর আসে কারো সম্পদ চুরি করতে।

এভাবে মিলটন দেখিয়েছেন যে শয়তানের কাজ মোটেও মহৎ নয়, বরং কুটিল ও ঘৃণিত।

এছাড়া, চোর সাধারণত এমন সময় আসে যখন সবাই ঘুমিয়ে থাকে। এর মাধ্যমে কবি ইঙ্গিত দেন যে, মানবজাতি ছিল নিরীহ, অজানা এবং অসতর্ক—যার সুযোগ নেয় শয়তান। এই তুলনার মাধ্যমে মিলটন পাঠককে বোঝাতে চান যে মন্দ কাজ কখনো প্রকাশ্যে বা সত্যের আলোয় আসে না, বরং লুকিয়ে আসে অন্ধকারে।

এটি শয়তানের মানসিক অবস্থাকেও তুলে ধরে। সে জানত তার কাজ অবৈধ এবং অসম্মানজনক। তাই সে শক্তি বা মহত্ত্ব নয়, বরং চুপিসারে প্রবেশের পথ বেছে নেয়।

এই প্রতীকী বর্ণনা কবির নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করে—মন্দ কখনোই সম্মানজনক বা প্রকাশ্য নয়, বরং সবসময় গোপন, ভয়ঙ্কর এবং প্রতারণামূলক।

ইভ ভাবে একসাথে কাজ করলে সময় বেশি লাগবে। তাই সে প্রস্তাব করে আলাদা হয়ে কাজ করলে কাজ দ্রুত শেষ হবে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তই বিপদের কারণ হয়। একা থাকার সুযোগে শয়তান তাকে প্রলুব্ধ করে। এখানেই ইভের সরলতা ও অদূরদর্শিতা বোঝা যায়।

শয়তান ইভকে বোঝায় যে, ফল খেলে সে ঈশ্বরের মতো জ্ঞানী হবে। এই মিথ্যা প্রতিশ্রুতিই তাকে প্রলোভনে ফেলে। (Book 9)