A
নাটক
B
ছোট গল্প
C
প্রবন্ধ
D
গীতি কবিতা
উত্তরের বিবরণ
গীতিকবিতা
গীতিকবিতা এমন এক ধরনের কবিতা যেখানে কবির হৃদয়ের অন্তর্নিহিত অনুভূতি সুর ও সঙ্গীতের ছন্দে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। এখানে ব্যক্তিগত আবেগ, কামনা-বাসনা, আনন্দ ও বেদনার প্রকাশ ঘটে আবেগঘন ভাষায়।
যেসব কবিতায় কবির অন্তরের গভীর অনুভূতি সঙ্গীততাড়িত কণ্ঠে প্রকাশিত হয় এবং যে ভাবাবেগ পূর্ণতা নিয়ে প্রকাশ পায়—তাকেই গীতিকবিতা বলা হয়।
গীতিকবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য
-
আন্তরিক আবেগের প্রকাশ
-
সংক্ষিপ্ত রচনার গঠন
-
সঙ্গীতধর্মী ছন্দ ও সুরেলা ভাষা
-
গতিময়তা ও স্বচ্ছন্দ গতি
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, গীতিকাব্য হলো বক্তার অন্তর্দাহ ও আবেগের উচ্ছ্বাসপূর্ণ প্রকাশমাত্র, যার উদ্দেশ্য একান্তই হৃদয়ের ভাবের প্রকাশ। যেহেতু এই অনুভূতিগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয় না, তাই গীতিকবিতাও সাধারণত ছোট হয়।
তবে গীতিকবিতার ভাববস্তুর ব্যাপ্তি কখনো কখনো বড় হতে পারে, আবার কখনো তা হয় অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। এ কারণে গীতিকবিতার নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য নির্ধারণ সম্ভব নয়।
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে বৈষ্ণব পদাবলির মধ্য দিয়ে গীতিকবিতার রূপ প্রথম স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়। যদিও কাব্যধারা প্রাচীন ও মধ্যযুগে শুরু হয়েছিল, গীতিকবিতা আসলে আধুনিক যুগেই সম্পূর্ণতা লাভ করে।
আধুনিক বাংলা সাহিত্যে গীতিকবিতা হয়ে উঠেছে সবচেয়ে সমৃদ্ধ ও জনপ্রিয় ধারাগুলোর একটি।
উল্লেখযোগ্য তথ্য
-
মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে সমৃদ্ধ ধারা ছিল বৈষ্ণব সাহিত্য।
উৎস
-
বাংলাপিডিয়া
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর)
-
লাল নীল দীপাবলী (হুমায়ুন আজাদ)

0
Updated: 2 months ago
বাংলা গীতি কবিতায় ভোরের পাখি কে?
Created: 2 months ago
A
বিহারীলাল চক্রবর্তী
B
প্যারীচাঁদ মিত্র
C
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
D
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
• 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর'- বিহারীলাল চক্রবর্তীকে গীতি কাব্য-ধারার 'ভোরের পাখি' উপাধিতে আখ্যায়িত করেছেন।
• 'ভোরের পাখি' বলার কারণ:
- বিহারীলালই প্রথম বাংলায় ব্যক্তির আত্মলীনতা, ব্যক্তিগত অনুভূতি ও গীতোচ্ছ্বাস সহযোগে কবিতা রচনা করেন।
- এক্ষেত্রে তিনি ছিলেন প্রথম। তাই তাকে 'ভোরের পাখি' বলা হয়েছে।
----------------------------
• বিহারীলাল চক্রবর্তী:
- বিহারীলাল চক্রবর্তী আধুনিক বাংলা গীতিকবিতার অন্যতম পুরোধা এবং রবীন্দ্রনাথের কাব্যগুরু হিসেবে পরিচিত।
- বাংলা গীতিকবিতার জনক হিসেবে পরিচিত বিহারীলাল চক্রবর্তী।
- তিনি আধুনিক বাংলা গীতিকাব্যের প্রথম ও প্রধান কবি।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিহারীলাল চক্রবর্তীকে 'ভোরের পাখি' উপাধিতে আখ্যায়িত করেন।
- বিহারীলাল চক্রবর্তীর প্রথম সার্থক গীতিকবিতা ‘বঙ্গসুন্দরী’।
- তার শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ: সারদামঙ্গল।
• বিহারীলাল চক্রবর্তী রচিত অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ:
- স্বপ্নদর্শন,
- সঙ্গীত শতক,
- বঙ্গসুন্দরী,
- নিসর্গ সন্দর্শন,
- বন্ধু বিয়োগ,
- সারদামঙ্গল।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
'পল্লিজননী' কবিতার রচয়িতা কে?
Created: 2 months ago
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
C
জসীম উদ্দীন
D
জীবনানন্দ দাশ
• 'পল্লিজননী' কবিতাটি জসীম উদ্দীন রচিত 'রাখালী' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
- এটি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
- এটি ১৯২৭ সালে প্রকাশিত হয়।
- বিখ্যাত কবর কবিতাটিও এই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
• জসীম উদ্দীন:
- তিনি ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন।
- তিনি পল্লিকবি হিসেবে পরিচিত।
- তাঁর রচিত 'নক্সী কাঁথার মাঠ' একটি বিখ্যাত গাথাকাব্য। এটি ১৯২৯ সালে প্রকাশিত হয়।
- ১৯৭৬ সালের ১৩ মার্চ তিনি ঢাকায় মারা যান।
• তাঁর রচিত জনপ্রিয় খণ্ড কবিতার সংকলন:
- রাখালী,
- বালুচর,
- রূপবতী,
- ধানখেত,
- মাটির কান্না,
- সুচয়নী।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 2 months ago
'সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা' রবীন্দ্রনাথের কোন কাব্যের কবিতা?
Created: 1 week ago
A
বলাকা
B
সোনারতরী
C
চিত্রা
D
পুনশ্চ
• 'সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'বলাকা' কাব্যগ্রন্থের একটি কবিতা।
• 'বলাকা' কাবগ্রন্থ:
- বলাকা ১৯১৬ সালে রচিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গতিচেতনা বিষয়ক কাব্য।
- কাব্যটি রবীন্দ্র কবি মানসের বিবর্তন ধারাপথে আত্মপ্রকাশ করেছে।
- এ কাব্যের ভাষা তীক্ষ্ণ, দীপ্ত, শাণিত ও উজ্জ্বল।
- এ কাব্যের ছন্দের গতিময়তা ও ভাষার সংহতি এবং নবতর বক্তব্যকে রূপ দেওয়ার কারণে এর আঙ্গিক একটি বিশিষ্টরূপ লাভ করেছে।
- কাব্যটি রচনার পশ্চাতে তিনটি বিষয় কবিকে অনুপ্রাণিত করেছে;
ক. কবির ইউরোপ ভ্রমণ, খ. কবির নোবেল পুরস্কার লাভ, গ. সমকালীন বিশ্বপরিস্থিতি ও প্রথম মহাযুদ্ধ।
----------------------
সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা- কবিতা,
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা
আঁধারে মলিন হল--যেন খাপে-ঢাকা
বাঁকা তলোয়ার;
দিনের ভাঁটার শেষে রাত্রির জোয়ার
এল তার ভেসে-আসা তারাফুল নিয়ে কালো জলে;
অন্ধকার গিরিতটতলে
দেওদার তরু সারে সারে;
মনে হল সৃষ্টি যেন স্বপ্নে চায় কথা কহিবারে,
বলিতে না পারে স্পষ্ট করি,
অব্যক্ত ধ্বনির পুঞ্জ অন্ধকারে উঠিছে গুমরি।
উৎস: সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা, বলাকা- কাব্য; বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago