কোন বাক্যটি শুদ্ধ?
A
তোমার গোপন কথা শোনা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
B
দরিদ্রতা আমাদের প্রধান সমস্যা।
C
সলজ্জিত হাসি হেসে মেয়েটি উত্তর দিল।
D
সর্ব বিষয়ে বাহুল্যতা বর্জন করা উচিত।
উত্তরের বিবরণ
• শুদ্ধ বাক্য: দরিদ্রতা আমাদের প্রধান সমস্যা।
অশুদ্ধ বাক্যগুলোর শুদ্ধরূপ-
• তোমার গোপনীয় কথা শোনা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
• সলজ্জ হাসি হেসে মেয়েটি উত্তর দিল।
• সর্ব বিষয়ে বাহুল্য বর্জন করা উচিত।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 1 month ago
কোন বাক্যটি শুদ্ধ?
Created: 1 week ago
A
আমি সন্তুষ্ট হলাম।
B
মেয়েটি সুকেশৈলী ও সুহাসি।
C
অধ্যাপনাই ছাত্রদের তপস্যা।
D
তোমাকে দেখে সে আশ্চর্য হয়েছে।
শুদ্ধ বাংলা বাক্যরীতি অনুসারে “আমি সন্তুষ্ট হলাম” বাক্যটি সঠিক। বাংলা ভাষায় শব্দের অর্থ, ব্যাকরণ ও ব্যবহারিক প্রেক্ষাপটের যথাযথ প্রয়োগে শুদ্ধতা নির্ধারিত হয়। নিচে কয়েকটি অশুদ্ধ ও শুদ্ধ বাক্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ দেওয়া হলো।
অশুদ্ধ ও শুদ্ধ বাক্যের উদাহরণ:
-
অশুদ্ধ: মেয়েটি সুকেশৈলী ও সুহাসি।
শুদ্ধ: মেয়েটি সুকেশী ও সুহাসিনী।
কারণ: “সুকেশী” ও “সুহাসিনী” শব্দদ্বয়ই বিশেষণরূপে নারীবাচক এবং যথাযথ প্রমিত রূপ। -
অশুদ্ধ: তোমাকে দেখে সে আশ্চর্য হয়েছে।
শুদ্ধ: তোমাকে দেখে সে আশ্চর্যান্বিত হয়েছে।
কারণ: “আশ্চর্যান্বিত” শব্দটি “আশ্চর্য” বিশেষণের ক্রিয়াপদে রূপান্তরিত রূপ, যা বাংলা ব্যাকরণ অনুযায়ী সঠিক। -
অশুদ্ধ: অধ্যাপনাই ছাত্রদের তপস্যা।
শুদ্ধ: অধ্যয়নই ছাত্রদের তপস্যা।
কারণ: “অধ্যাপন” মানে শিক্ষা দেওয়া, কিন্তু ছাত্ররা শিক্ষা গ্রহণ করে, তাই “অধ্যয়ন” শব্দটি যথার্থ।
সুতরাং প্রমিত ব্যাকরণ অনুযায়ী:
“আমি সন্তুষ্ট হলাম” এবং উপরোক্ত শুদ্ধ বাক্যগুলোই বাংলা ভাষার শুদ্ধরূপে গ্রহণযোগ্য।

0
Updated: 1 week ago
"শুক্রবার বিদ্যালয় বন্ধ থাকে"- বাক্যে 'বিদ্যালয়' শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
Created: 1 week ago
A
কর্তায় শূন্য
B
কর্মে শূন্য
C
অপাদানে শূন্য
D
অধিকরনে শূন্য
বাক্যটিতে ‘বিদ্যালয়’ শব্দটি কর্তৃকারক এবং এতে শূন্য বিভক্তি ব্যবহৃত হয়েছে, কারণ এখানে বিদ্যালয় নিজেই বন্ধ থাকার কাজটি করছে, অর্থাৎ ক্রিয়ার কার্যসম্পাদনকারী বিষয় হিসেবে এটি কর্তা। স্থান যখন নিজেই কাজটি সম্পাদন করে, তখন তাকে কর্ম-কর্তৃবাচ্যের কর্তা বা কর্তাকারক বলা হয়।
তথ্যসমূহ:
-
কর্তৃকারক: যে ব্যক্তি, বস্তু বা স্থান কোনো কাজ সম্পাদন করে বা যার সম্বন্ধে কিছু বলা হয়, তাকে কর্তৃকারক বলা হয়। এই বাক্যে “বিদ্যালয়” নিজেই “বন্ধ থাকার” কাজটি করছে, তাই এটি কর্তা হিসেবে গণ্য।
-
শূন্য বিভক্তি: কোনো শব্দে যদি বিভক্তি চিহ্ন না থাকে, অর্থাৎ কোনো প্রত্যয় যুক্ত না হয়, তবে তাকে শূন্য বিভক্তি বলা হয়। এখানে “বিদ্যালয়” শব্দের সঙ্গে কোনো বিভক্তি চিহ্ন নেই, তাই এটি শূন্য বিভক্তি ধারণ করেছে।
-
কর্ম-কর্তৃবাচ্যের কর্তা: যখন ক্রিয়ার কার্য নিজেই কোনো বস্তুর বা স্থানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, তখন সেটিকে কর্ম-কর্তৃবাচ্যের কর্তা বলা হয়। “বিদ্যালয় বন্ধ আছে”—এই বাক্যে বিদ্যালয় নিজেই বন্ধ অবস্থায় রয়েছে, তাই এটি এই শ্রেণিতে পড়ে।

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোনটি প্রত্যয়ের অপপ্রয়োগজনিত অশুদ্ধ?
Created: 2 months ago
A
উৎকর্ষ
B
চঞ্চলতা
C
অধীরতা
D
বৈচিত্র্যতা
প্রত্যয়ের অপপ্রয়োগ
অশুদ্ধ রূপ : বৈচিত্র্যতা
শুদ্ধ রূপ : বৈচিত্র্য
শুদ্ধ বানান : অধীরতা, চঞ্চলতা, উৎকর্ষ
আরও উদাহরণ
দারিদ্র্যতা → দারিদ্র্য বা দরিদ্রতা
সৌজন্যতা → সৌজন্য
উৎকর্ষতা → উৎকৃষ্টতা বা উৎকর্ষ
দৈন্যতা → দীনতা বা দৈন্য

0
Updated: 2 months ago