A
গোঁজলা পুট [গুই]
B
হরু ঠাকুর
C
ভবানী ঘোষ
D
নিতাই বৈরাগী
উত্তরের বিবরণ
গোঁজলা গুঁই
-
গোঁজলা গুঁই ছিলেন ১৮শ শতকের একজন প্রখ্যাত কবিওয়ালা।
-
আঠারো শতকে বাংলায় এক ধরনের সঙ্গীতধর্মী সাহিত্য তৈরি হয়েছিল, যা কবিগান নামে পরিচিত। তখন ‘কবিওয়ালা’ নামের পেশাদার গায়করা এসব গান পরিবেশন করতেন। সাধারণ মানুষ থেকে অভিজাত শ্রেণি—সবারই এই গান শোনার আনন্দ হতো। গোঁজলা গুঁইকে কবিগানের প্রথম গুরু হিসেবে ধরা হয়।
-
তিনি পেশাদার কবিদল তৈরি করে ধনিকদের বাড়িতে অর্থের বিনিময়ে গান গাইতেন।
-
গোঁজলা গুঁই টপ্পা রীতিতে গান রচনা করতেন। উদাহরণ:
-
‘এসো এসো চাঁদ বদনি / এ রসে নিরস করো না ধনি’
-
‘প্রাণ, তোরে হেরিয়ে দুখো দূরে গেলো মোর’
এই গানগুলো নায়ক-নায়িকার কথার আকারে লেখা হয়েছিল, যা টপ্পার বৈশিষ্ট্য বহন করে।
-
-
তাঁর শিষ্যরা—লালু, নন্দলাল, কেষ্টা মুচি, রঘুনাথ দাস ও রামজী—কবিগানে নতুন মাত্রা যোগ করে এই ধারাকে আরও প্রসারিত ও জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 weeks ago
বাংলা সাহিত্যের আদি কবি কে?
Created: 1 month ago
A
কাহ্নপা
B
চেণ্ডনপা
C
লুইপা
D
ভূসুকুপা
লুইপা: বাংলা সাহিত্যের প্রথম কবি
-
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম কাব্যগ্রন্থ চর্যাপদ-এর প্রথম কবিতা লুইপা রচনা করেন।
তাই তাকেই বাংলা সাহিত্যের আদি কবি বলা হয়। -
লুইপা ছিলেন একজন প্রবীণ বৌদ্ধ সাধক ও চর্যাপদের একজন কবি।
-
ভাষাবিদ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মনে করেন, লুইপা সম্ভবত ৭৩০ থেকে ৮১০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে জীবিত ছিলেন।
-
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে, লুইপার জন্ম রাঢ় অঞ্চলে (বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের কিছু অংশ)।
-
তিনি চর্যাপদের ১ম ও ২৯তম পদ রচনা করেছেন।
-
তাঁর রচিত প্রথম চর্যার পঙক্তি দুটি হলো:
"কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল।
চঞ্চল চীএ পৈঠা কাল।।"
চর্যাপদ: বাংলা সাহিত্যের সূচনা
-
চর্যাপদ হলো বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে পুরোনো গ্রন্থ।
এটি বাংলা ভাষার প্রথম কবিতা বা গানের সংকলন হিসেবে ধরা হয়। -
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
১৯০৭ সালে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবারের একটি লাইব্রেরি থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
সুকুমার সেন তাঁর 'বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস' গ্রন্থে চর্যাপদের ২৪ জন কবির নাম উল্লেখ করেছেন।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তাঁর Buddhist Mystic Songs গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম দেন।
-
চর্যাপদের সবচেয়ে বেশি কবিতা লিখেছেন কাহ্নপা — তিনি মোট ১৩টি পদ রচনা করেন, যার মধ্যে ১২টি পাওয়া গেছে।
-
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ লিখেছেন ভুসুকুপা — তিনি ৮টি পদ রচনা করেন।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
কোন কবি নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিয়েছেন?
Created: 4 weeks ago
A
গোবিন্দ দাস
B
কায়কোবাদ
C
কাহ্ন পা
D
ভুসুকু পা
ভুসুকুপা - চর্যাপদের একজন প্রাচীন বাঙালি কবি
-
ভুসুকুপা চর্যাগীতি রচয়িতাদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছেন।
-
তিনি মোট ৮টি চর্যাপদ রচনা করেছেন, যা চর্যাপদ গ্রন্থে সংকলিত আছে।
-
অনেকে মনে করেন ‘ভুসুকুপা’ নামটি আসল নয়, এটি তাঁর ছদ্মনাম।
-
তাঁর আসল নাম ছিল শান্তিদেব।
-
ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মনে করেন, শান্তিদেব ওরফে ভুসুকুপা সপ্তম শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জীবিত ছিলেন এবং ৮০০ সালের দিকে তাঁর জীবন শেষ হয়।
-
তিনি পাল রাজা ধর্মপালের (৭৭০-৮০৬ খ্রিষ্টাব্দ) শাসনামলে বেঁচে ছিলেন।
-
ভুসুকুপা নিজেকে বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন তাঁর এক পঙ্ক্তিতে:
“আজি ভুসুকু বাঙ্গালী ভাইলী / নিঅ ঘরিণী চণ্ডালে লেলী”
যার সহজ অর্থ: আজ ভুসুকু বাঙালি হলো। -
তাঁর রচিত একটি চর্যাপদের অংশ:
“কাহৈরি ঘিনি মেলি অচ্ছহু কীস।
বেটিল ডাক পড়অ চৌদীস ॥”
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 4 weeks ago
বিদ্যাপতি কোথাকার কবি ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
নবদ্বীপের
B
মিথিলার
C
বৃন্দাবনের
D
বর্ধমানের
বিদ্যাপতি ছিলেন মিথিলার রাজসভার একজন খ্যাতিমান কবি, যিনি পঞ্চদশ শতকে সাহিত্যচর্চা করে খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর কাব্যগুণে মুগ্ধ হয়ে মিথিলার তৎকালীন রাজা শিবসিংহ তাঁকে 'কবিকণ্ঠহার' উপাধিতে সম্মানিত করেন।
'মৈথিল কোকিল' নামে বিদ্যাপতির পরিচিতি কোকিল পাখির সুরেলা গানের সঙ্গে তুলনীয়। যেমন কোকিল তার সুমধুর কণ্ঠে শ্রোতাদের মোহিত করে, তেমনি বিদ্যাপতিও মৈথিলি ভাষায় রচিত তার গীতিকবিতা ও পদাবলির মাধ্যমে সকলকে বিমুগ্ধ করেছিলেন।
তিনি বৈষ্ণব ভাবধারায় প্রভাবিত ছিলেন এবং বাংলা পদসঙ্গীত ধারার একজন পথিকৃৎ হিসেবে গণ্য হন। বিদ্যাপতির শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকীর্তির মধ্যে অন্যতম হলো ব্রজবুলি ভাষায় রচিত রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক প্রেমময় পদাবলি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago