A
আঠারো শতকের শেষার্ধে ও উনিশ শতকের প্রথমার্ধে
B
ষোড়শ শতকের শেষার্ধে ও সপ্তদশ শতকের প্রথমার্ধে
C
সপ্তদশ শতকের শেষার্ধে ও সপ্তদশ শতকের প্রথমার্ধে
D
উনিশ শতকের শেষার্ধে ও বিংশ শতকের প্রথমার্ধে
উত্তরের বিবরণ
কবিওয়ালা ও শায়ের
আঠার শতকের শেষ দিকে এবং উনিশ শতকের শুরুতে, কলকাতার সমাজে বড় ধরনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের প্রভাব পড়ে। এই পরিস্থিতিতে হিন্দু সমাজে কবিওয়ালা এবং মুসলিম সমাজে শায়ের উদ্ভব ঘটে।
প্রধান কবিওয়ালদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
-
গোঁজলা গুই
-
হুরু ঠাকুর
-
এন্টনি ফিরিঙ্গি
সূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 2 weeks ago
সাহিত্য পত্রিকা 'কবিতা' এর সম্পাদক ছিলেন-
Created: 2 days ago
A
দীনেশরঞ্জন দাশ
B
বুদ্ধদেব বসু
C
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
D
বিহারীলাল চক্রবর্তী
বাংলা
বাংলা ব্যকরণ
বাংলা ভাষা (ব্যাকরণ)
বাংলা সাহিত্যের প্রথম
বাংলায় বিদেশী সাহিত্যিক ও সাহিত্যকর্ম
No subjects available.
সাহিত্য পত্রিকা ‘কবিতা’
-
সম্পাদক: বুদ্ধদেব বসু
-
অন্যান্য সম্পাদকের নাম: প্রেমেন্দ্র মিত্র, সমর সেন
-
প্রকাশকাল: ১৯৩৫ – ১৯৬১
-
বিষয়বস্তু: কবিতা এবং কবিতা সম্পর্কিত গদ্য
-
বিশেষত্ব: আধুনিক বাঙালি কবিদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা; এই পত্রিকায় লিখেননি এমন উল্লেখযোগ্য কবি কমই আছে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 2 days ago
বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিকের নাম কি?
Created: 1 month ago
A
মোতাহের হোসেন
B
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
C
মীর মশাররফ হোসেন
D
ফররুখ আহমদ
মীর মশাররফ হোসেন: একজন পথপ্রদর্শক সাহিত্যিক
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন একজন বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক। তিনি ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়ার লাহিনীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা সাহিত্যে প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিক হিসেবে তার বিশেষ স্থান রয়েছে। তাঁর সাহিত্যগুরু ছিলেন গ্রামবার্তার সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ।
মশাররফ হোসেনের সাহিত্যজীবন শুরু হয় ছাত্রাবস্থায় যখন তিনি সংবাদ প্রভাকর ও কুমারখালির গ্রামবার্তা পত্রিকার জন্য মফস্বল সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতেন। পরবর্তীতে তিনি ‘আজিজননেহার’ এবং ‘হিতকরী’ নামক দুটি পত্রিকার সম্পাদকত্বও পালন করেন। তিনি উনিশ শতকের বাঙালি মুসলিম লেখকদের মধ্যে অন্যতম প্রভাবশালী গদ্যকার এবং বঙ্কিমচন্দ্র যুগের প্রধান সাহিত্য ব্যক্তিত্ব।
তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মসমূহ:
নাটক
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
প্রহসন
-
টালা অভিনয়
-
এর উপায় কী
-
ফাঁস কাগজ
-
ভাই ভাই এইতো চাই
উপন্যাস
-
বিষাদ-সিন্ধু
আত্মজীবনীমূলক রচনা
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী
অন্যদিকে, মুসলিম পুনর্জাগরণ আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ কবি হিসেবে পরিচিত ছিলেন ফররুখ আহমদ।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
বাংলা সাহিত্যের পঠন-পাঠনের সুবিধার জন্য বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকে তিনটি যুগে ভাগ করা হয়েছে, ____ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ।
Created: 1 week ago
A
৪৫০-৬৫০
B
৬৫০-৮৫০
C
৬৫০-১২০০
D
৬৫০-১২৫০
বাংলা সাহিত্যের যুগবিভাগ
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্-এর মতে
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকে তিনি তিন ভাগে বিভক্ত করেছেন—
-
প্রাচীন যুগ : ৬৫০ খ্রিস্টাব্দ – ১২০০ খ্রিস্টাব্দ
-
মধ্যযুগ : ১২০১ খ্রিস্টাব্দ – ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ
-
আধুনিক যুগ : ১৮০১ খ্রিস্টাব্দ – বর্তমান সময়
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে
তিনিও তিন ভাগে বিভক্ত করেছেন, তবে প্রাচীন যুগের সূচনা সময় নিয়ে তাঁর মত শহীদুল্লাহ্-র থেকে ভিন্ন—
-
প্রাচীন যুগ : ৯৫০ খ্রিস্টাব্দ – ১২০০ খ্রিস্টাব্দ
-
মধ্যযুগ : ১২০১ খ্রিস্টাব্দ – ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ
-
আধুনিক যুগ : ১৮০১ খ্রিস্টাব্দ – বর্তমান সময়
মধ্যযুগের একটি বৈশিষ্ট্য
মধ্যযুগের প্রথম দেড় শতক অর্থাৎ ১২০১ – ১৩৫০ সালকে “অন্ধকার যুগ” বলা হয়।
অন্যান্য গবেষকরা
দীনেশ্চন্দ্র সেন, সুকুমার সেন, গোপাল হালদার, মুহম্মদ এনামুল হকসহ আরও অনেকেই সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের উল্লেখিত যুগবিভাগকে সমর্থন করেছেন।
তবে, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ এক বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন—
তিনি মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগের সময়সীমা সুনীতিকুমারের মতোই মেনে নিলেও প্রাচীন যুগের সীমা তিনি ৬৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে শুরু করেছেন, যা মোট ৫৫০ বছর (৬৫০ – ১২০০ খ্রিস্টাব্দ) হিসেবে গণনা করা হয়।
উৎস : বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 week ago