(তৎকালীন সাম্প্রতিক তথ্যের প্রশ্ন। বর্তমানে অপ্রয়োজনীয়) বাংলাদেশের কোন ছবি সম্প্রতি 'কোলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভাল' পুরস্কার লাভ করে?
A
ওরা এগার জন
B
গেরিলা
C
আবার তোরা মানুষ হ
D
স্টপ জেনোসাইড
উত্তরের বিবরণ
[এটি তৎকালীন সাম্প্রতিক প্রশ্ন যা বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ নয়। পরিবর্তনশীল তথ্যগুলো অনুগ্রহ করে সাম্প্রতিক তথ্য থেকে দেখে নিন। সাম্প্রতিক আপডেট তথ্য জানার জন্য Live MCQ ডাইনামিক ইনফো প্যানেল, সাম্প্রতিক সমাচার বা অথেনটিক সংবাদপত্র দেখুন।]
ওরা ১১ জন:
- মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম চলচ্চিত্র 'ওরা ১১ জন'।
- এর পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম।
- প্রযোজক মাসুদ পারভেজ সোহেল।
- এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন রাজ্জাক, শাবানা, নূতন, হাসান ইমাম, এ টি এম শামসুজ্জামান, খলিল উল্লাহ প্রমুখ।
- সিনেমায় অভিনয় করা ১১ জন মুক্তিযোদ্ধার ১০ জনই সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেন।
- তাঁদের মধ্যে আছেন খসরু, মুরাদ, হেলাল, নান্টু।
- মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয় এবং ১৯৬৮-৬৯ সালে ছাত্ররা ১১ দফার ভিত্তিতে আন্দোলন করে।
- এখান থেকে ছবির নামকরণ হয়েছে ‘ওরা ১১ জন'।
গেরিলা চলচ্চিত্র:
- গেরিলা ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র।
- নাসির উদ্দিন ইউসুফ পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত।
- সৈয়দ শামসুল হকের 'নিষিদ্ধ লোবান' উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ করা হয়েছে চলচ্চিত্রটি।
- যৌথভাবে চিত্রনাট্য রচনা করেছেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ ও এবাদুর রহমান।
- এটি ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার' পেয়েছে।
আবার তোরা মানুষ হ (১৯৭৩):
- চলচ্চিত্রটির পরিচালক খান আতাউর রহমান।
- এ চলচ্চিত্রে যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও অবক্ষয়ের চিত্র উঠে এসেছে।
- বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারুক, রাইসুল ইসলাম আসাদ, ববিতা, রোজী আফসারী, রওশন জামিলসহ অনেকে।
- এখানে আছে উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র ও তরুণদের কার্যকলাপ এবং একজন আদর্শবাদী অধ্যক্ষের দৃঢ়তা।
Stop Genocide:
- মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র Stop Genocide.
- Stop Genocide নির্মাণ করেন জহির রায়হান।
- মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের মে/জুন মাসে এটি প্রথম কলকাতায় প্রদর্শিত হয়।
- মূলত বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া স্টক ফুটেজ ও নিউজ রিলের ছবির ওপর নির্ভর করেই তৈরি হয় স্টপ জেনোসাইড।
- একজন চলচ্চিত্র-নির্মাতা হিসেবে জহির রায়হান দুনিয়ার মানুষকে বাংলাদেশে চলতে থাকা গণহত্যার খবর জানান দেওয়ার এক বড় দায়িত্ব কাঁধে নেন।
- বিভিন্ন জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রসঙ্গে লেনিনের একটি বক্তব্য দিয়ে শুরু হয় ছবিটি।
- ২০ মিনিটের এই ছবিতে বাংলাদেশের মানুষ আছে, এর প্রকৃতি আছে, আছে পাকিস্তানিদের অত্যাচার, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগের দৃশ্য।
উৎস: প্রথম আলো।

0
Updated: 1 month ago
বঙ্গভঙ্গ রদ হয় কোন সালে?
Created: 1 month ago
A
১৯১১ সালে
B
১৯১২ সালে
C
১৯০৮ সালে
D
১৯০৯ সালে
বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)
-
১৯০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর বঙ্গভঙ্গের ঘোষণা দেওয়া হয় এবং তা কার্যকর হয় ১৫ অক্টোবর থেকে।
-
এটি ভারতীয় উপমহাদেশের জাতীয়তাবাদ ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
-
পূর্ববঙ্গের মুসলমান সমাজ একে আশীর্বাদ মনে করে স্বাগত জানায়।
-
কিন্তু হিন্দু সমাজ, বিশেষ করে বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক নেতারা, একে কোনোভাবেই মেনে নেয়নি।
-
তারা নানা প্রতিবাদ, আন্দোলন ও ষড়যন্ত্র শুরু করে, যা ধীরে ধীরে সহিংস রূপ নেয়।
-
তাদের চাপের মুখে পড়ে অবশেষে ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গ রদ করতে বাধ্য হয় এবং আবার পূর্ববঙ্গকে পশ্চিমবঙ্গের সাথে একত্রিত করে।
বঙ্গভঙ্গ রদ (১৯১১)
-
১২ ডিসেম্বর ১৯১১ সালে, সম্রাট পঞ্চম জর্জ দিল্লির অভিষেক অনুষ্ঠানে বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা দেন।
-
ফলে পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গকে আবার একত্রিত করা হয়।
বঙ্গভঙ্গ রদের ফলাফল
-
এর ফলে হিন্দু–মুসলমান সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং সাম্প্রদায়িকতার প্রসার ঘটে।
-
ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদ জোরদার হতে শুরু করে।
-
মুসলমানদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা ও স্বাতন্ত্র্যবোধ বৃদ্ধি পায়।
-
তারা উপলব্ধি করে যে শুধু আপস নয়, বরং সংগ্রামের মাধ্যমেই উন্নতি ও স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব।
-
তাই মুসলমান সমাজ তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
উচ্চ ফলনশীল ভুট্টার জাত কোনটি?
Created: 1 week ago
A
শুভ্রা
B
ময়না
C
প্রভাতী
D
প্রগতি
উচ্চ ফলনশীল ফসলের বিভিন্ন জাতের মধ্যে বাছাই কৃষির উন্নত প্রযুক্তি এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ফসলের জন্য কিছু উল্লেখযোগ্য উচ্চ ফলনশীল জাত নিচে দেওয়া হলো:
-
ভুট্টা: বর্ণালি, শুভ্রা, খই, মোহর।
-
কলা: সিঙ্গাপুরী, কাবুলী, মেহের সাগর, অমৃত সাগর, সবরি, অনুপম, মালভোগ, মর্তমান, চাঁপা, অগ্নিশ্বর, কবরী।
-
আলু: হীরা, আইলসা, ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, চমক, মরিনী, সুন্দরী, কুফরী, মুলটা।
-
গম: কাঞ্চন, আকবর, অঘ্রাণী, প্রতিভা, সৌরভ, গৌরব।
-
পেঁয়াজ: সুখ সাগর, ঝিটকা, কৈলাসনগর, তাহেরপুরী, ভাতি।
-
বাঁধাকপি: গ্রীন এক্সপ্রেস, ড্রামহেড, গোল্ডেন ক্রস, প্রভাতী, অগ্রদূত।
-
ধান: বিপ্লব, হিরা, মালা, ইরাটম, ময়না, চান্দিনা, হরিধান, নারিফা, সুফলা, প্রগতি।
-
আম: মহানন্দা, ল্যাংড়া, ফজলি, হাড়িভাঙ্গা, আম্রপালি, গোপালভোগ, সূর্যপুরী, হিমসাগর, মোহনভোগ।
এই জাতগুলি উচ্চ ফলন, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং মানসম্পন্ন ফসল উৎপাদনের জন্য পরিচিত, যা কৃষকদের জন্য লাভজনক।

0
Updated: 1 week ago
বেনাপোল স্থলবন্দর সংলগ্ন ভারতীয় স্থলবন্দর-
Created: 1 month ago
A
পেট্রাপোল
B
কৃষ্ণনগর
C
ডাউকি
D
মোহাদিপুর
বেনাপোল স্থলবন্দর ও বাংলাদেশের অন্যান্য স্থলবন্দর
বেনাপোল স্থলবন্দর:
-
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর।
-
অবস্থিত যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বেনাপোল সীমান্তে।
-
বিস্তৃত এলাকা: ৮৬.৬৮ একর।
-
ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর এর সঙ্গে সংযুক্ত।
-
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে মহত্বপূর্ণ পণ্য আমদানি ও রপ্তানি কেন্দ্র।
-
দেশের স্থল বাণিজ্যের প্রায় ৯০% এই বন্দরের মাধ্যমে হয়।
-
এছাড়া, তল্লাশী ও আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর হিসেবে পরিচিত।
বাংলাদেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর ও সংলগ্ন ভারতের বন্দর:
বাংলাদেশের বন্দর | অবস্থান | সংলগ্ন ভারতীয় বন্দর |
---|---|---|
দর্শনা | চুয়াডাঙ্গা | কৃষ্ণনগর (পশ্চিমবঙ্গ) |
তামাবিল | সিলেট | ডাউকি (মেঘালয়) |
সোনা মসজিদ | চাঁপাইনবাবগঞ্জ | মোহাদিপুর (পশ্চিমবঙ্গ) |
বিভিন্ন স্থলবন্দর ও তাদের অবস্থান:
-
বেনাপোল: শার্শা, যশোর
-
বুড়িমারী: পাটগ্রাম, লালমনিরহাট
-
আখাউড়া: আখাউড়া, বাহ্মনবাড়িয়া
-
নাকুগাঁও: নালিতাবাড়ী, শেরপুর
-
তামাবিল: গোয়াইনঘাট, সিলেট
-
সোনাহাট: ভুরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম
-
দর্শনা: দামুরহুদা, চুয়াডাঙ্গা
-
বিলোনিয়া: বিলোনিয়া, ফেনী
উৎস: বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ

0
Updated: 1 month ago