A
গাজীপুর
B
মধুপুর
C
রাজবাড়ী
D
কুমিল্লার ময়ানমতি পাহাড়ের পাশে
উত্তরের বিবরণ
শালবন বিহার
শালবন বিহার কুমিল্লার ময়নামতিতে খননকৃত গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর একটি। এটি কোটবাড়ির বার্ডেরকাছের লালমাই পাহাড়ের মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থিত। বিহারটির নামকরণ হয়েছে আশেপাশের একসময়কার ঘন শাল-গজারি বন থেকে।
ধারণা করা হয়, খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর শেষ দিক থেকে অষ্টম শতাব্দীর শুরুতে দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব এই বৌদ্ধ বিহারটি নির্মাণ করেছিলেন। শালবন বিহারের প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬৭.৭ মিটার। এখানে ঢোকা বা বের হওয়ার একটাই পথ ছিল। বিহারের ভিতরে মোট ১৫৫টি কক্ষ রয়েছে, যেখানে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা শিক্ষা গ্রহণ ও ধর্মচর্চা করতেন।
প্রত্নতাত্ত্বিক খননের সময় বিহারের ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া গেছে আটটি তাম্রলিপি, প্রায় ৪০০টি স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, প্রচুর পোড়া মাটির ফলক বা টেরাকোটা, সিলমোহর, ব্রোঞ্জ ও মাটির মূর্তি। এগুলো বাংলাদেশের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 2 weeks ago
'বর্ণালী' এবং 'শুভ্রা' কী?
Created: 1 week ago
A
উন্নত জাতের ভুট্টা
B
উন্নত জাতের আম
C
উন্নত জাতের গম
D
উন্নত জাতের চাল
বাংলাদেশে বিভিন্ন ফসলের উন্নত জাত কৃষি গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবন করা হয়েছে। এর মধ্যে ভুট্টার উল্লেখযোগ্য উন্নত জাত হলো ‘বর্ণালী’, ‘শুভ্রা’ ও ‘উত্তরণ’, যা উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।
এছাড়াও অন্য ফসলের বেশ কিছু উন্নত জাত রয়েছে, যেমনঃ
-
ধানের উন্নত জাত: ইরাটম, ব্রি হাইব্রিড–১, চান্দিনা, মালা, বিপ্লব, দুলাভোগ, মোহিনী ও সুফলা।
-
গমের উন্নত জাত: সোনালিকা, আকবর।
-
তামাকের উন্নত জাত: সুমাত্রা, ম্যানিলা।
-
আমের উন্নত জাত: মহানন্দা, ল্যাংড়া, মোহনভোগ।
-
টমেটোর উন্নত জাত: বাহার।
-
মরিচের উন্নত জাত: যমুনা।
-
বেগুনের উন্নত জাত: শুকতারা, নয়নতারা, তারাপুরী, ইসলামপুরী, কাজলা, বিজয়, মুক্তকেশী ও ঝুমকো।
-
আলুর উন্নত জাত: হিরা, আইলসা, পেট্রোনিস, মুল্টা, ডায়ামন্ট, কার্ডিনাল, মন্ডিয়াল, কুফরী সিন্দুরী, চমক, ধীরা, গ্রানোলা, ক্লিওপেট্রা ও চিনেলা।
এভাবে বোঝা যায়, প্রতিটি ফসলের জন্যই কৃষি গবেষণার মাধ্যমে আলাদা আলাদা উন্নত জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে, যা কৃষকদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
উৎস: কৃষি তথ্য সার্ভিস।

0
Updated: 1 week ago
চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ-এর দীক্ষাগুরু কে ছিলেন?
Created: 1 week ago
A
অতীশ দিপঙ্কর
B
শিলভদ্র
C
মা হুয়ান
D
মেগাস্থিনিস
হিউয়েন সাঙ ও তাঁর নালন্দা অধ্যয়ন
হিউয়েন সাঙ ছিলেন চীনা এক বিখ্যাত পরিব্রাজক এবং বৌদ্ধ ভিক্ষু, যিনি ফা-হিয়েনের পরবর্তী তীর্থযাত্রী হিসেবে পরিচিত। তাঁর ভ্রমণলিপি থেকে সাত শতকের দ্বিতীয়ার্ধের বাংলার কিছু ইতিহাস জানা যায়। সে সময় উত্তর ভারতে সম্রাট হর্ষবর্ধন, বাংলায় শশাঙ্ক এবং আসামে ভাস্করবর্মণ শাসন করছিলেন।
ভ্রমণ ও অধ্যয়ন:
-
৬২৯ সালে হিউয়েন সাঙ চীন থেকে যাত্রা শুরু করেন এবং উত্তরের বাণিজ্যপথ হয়ে মধ্য এশিয়ার কুশ হয়ে উত্তর ভারতে পৌঁছান।
-
কনৌজনগরে সম্রাট হর্ষবর্ধনের আতিথ্য লাভ করেন।
-
নালন্দা মহাবিহারে বেশ কিছুদিন অবস্থান করে অধ্যাপকদের কাছ থেকে বৌদ্ধ দর্শন, যুক্তি ও ধর্মশাস্ত্র শিখেন।
-
নালন্দার অধ্যক্ষ আচার্য শীলভদ্র ছিলেন তাঁর প্রধান শিক্ষক। শীলভদ্র নিজে সন্ন্যাস জীবন শুরু করার আগে যুক্তিবিদ্যা, ভাষাতত্ত্ব ও সাংখ্যদর্শন অধ্যয়ন করেছিলেন।
বাংলা ও শশাঙ্ক সম্পর্কিত তথ্য:
-
৬৩৮ সালের দিকে হিউয়েন সাঙ বাংলায় পৌঁছান।
-
তাঁর লেখা থেকে শশাঙ্কের ইতিহাস, হর্ষবর্ধনের সঙ্গে শশাঙ্কের বৈরিতা এবং শশাঙ্কের ধর্মনীতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা যায়।
প্রত্যাবর্তন ও পরবর্তী জীবন:
-
৬৪৫ সালে চীনে ফিরে তিনি উষ্ম সংবর্ধনা পান।
-
৬৬৪ সাল পর্যন্ত বৌদ্ধ রচনাগুলোর চীনা অনুবাদে জীবনের বাকি সময় ব্যয় করেন।
শৈশব ও প্রারম্ভিক শিক্ষা:
-
শৈশব থেকেই ধর্মগ্রন্থ ও প্রাচীন জ্ঞানী লেখকদের পাঠে আগ্রহী ছিলেন।
-
লুওইয়াং নগরে ১৩ বছর বয়সে বৌদ্ধভিক্ষু সম্প্রদায়ে প্রবেশ করেন।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশে রোপা আমন ধান কাটা হয়-
Created: 6 days ago
A
আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে
B
ভাদ্র-আশ্বিন মাসে
C
অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে
D
মাঘ-ফাল্গুন
বাংলাদেশে ধানের মৌসুমভিত্তিক চাষ ও কাটার সময় ভিন্ন ভিন্ন হয়।
আমন ধান
-
আমন ধান দুই প্রকার – রোপা আমন ও বোনা আমন।
-
রোপা আমন হলো সেই ধান, যেখানে আগে আলাদা জমিতে চারা তৈরি করা হয়, পরে তা মূল জমিতে রোপণ করে ধান উৎপন্ন করা হয়।
-
রোপা আমনের বীজ বপন করা হয় আষাঢ় মাসে, আর মূল জমিতে চারা রোপণ হয় শ্রাবণ থেকে ভাদ্র মাসে।
-
সাধারণত রোপা আমন ধান কাটা হয় অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে (ডিসেম্বর – জানুয়ারির শুরুতে)।
আউশ ধান
-
আউশ ধান রোপণ করা হয় মধ্য মার্চ থেকে মধ্য এপ্রিলের মধ্যে।
-
এটি কাটা হয় মধ্য জুলাই থেকে আগস্টের শুরু পর্যন্ত।
বোরো ধান
-
বোরো ধানের চারা রোপণ করা হয় মধ্য নভেম্বর থেকে মধ্য জানুয়ারির মধ্যে।
-
এটি উত্তোলন করা হয় এপ্রিল থেকে মে মাসে।
অর্থাৎ, বাংলাদেশে বছরে মূলত তিন মৌসুমে ধান চাষ হয় – আউশ, আমন ও বোরো।
উৎস: কৃষি তথ্য সার্ভিস ওয়েবসাইট; কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২১ (বিবিএস)।

0
Updated: 6 days ago