শালবন বিহার কোথায়?
A
গাজীপুর
B
মধুপুর
C
রাজবাড়ী
D
কুমিল্লার ময়ানমতি পাহাড়ের পাশে
উত্তরের বিবরণ
শালবন বিহার
শালবন বিহার কুমিল্লার ময়নামতিতে খননকৃত গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর একটি। এটি কোটবাড়ির বার্ডেরকাছের লালমাই পাহাড়ের মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থিত। বিহারটির নামকরণ হয়েছে আশেপাশের একসময়কার ঘন শাল-গজারি বন থেকে।
ধারণা করা হয়, খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর শেষ দিক থেকে অষ্টম শতাব্দীর শুরুতে দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব এই বৌদ্ধ বিহারটি নির্মাণ করেছিলেন। শালবন বিহারের প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬৭.৭ মিটার। এখানে ঢোকা বা বের হওয়ার একটাই পথ ছিল। বিহারের ভিতরে মোট ১৫৫টি কক্ষ রয়েছে, যেখানে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা শিক্ষা গ্রহণ ও ধর্মচর্চা করতেন।
প্রত্নতাত্ত্বিক খননের সময় বিহারের ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া গেছে আটটি তাম্রলিপি, প্রায় ৪০০টি স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, প্রচুর পোড়া মাটির ফলক বা টেরাকোটা, সিলমোহর, ব্রোঞ্জ ও মাটির মূর্তি। এগুলো বাংলাদেশের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 1 month ago
'Let There Be light ' - বিখ্যাত ছবিটি পরিচালনা করেন-
Created: 1 month ago
A
আমজাদ হোসেন
B
জহির রায়হান
C
খান আতাউর রহমান
D
শেখ নিয়ামত আলী
জহির রায়হান ও তাঁর চলচ্চিত্র
‘Let There Be Light’
-
এটি জহির রায়হানের নির্মাণাধীন একটি চলচ্চিত্র।
-
ছবিটি অসমাপ্ত থেকে যায়, কারণ চলচ্চিত্র শেষ হওয়ার আগেই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়।
জহির রায়হান সম্পর্কে
-
জন্ম: ১৯৩৫ সালে ফেনী জেলায়।
-
তিনি ছিলেন একাধারে কথাসাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক ও খ্যাতনামা চলচ্চিত্র পরিচালক।
-
প্রকৃত নাম: মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ।
তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র সাফল্য
-
বাংলাদেশের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র ‘সঙ্গম’ তাঁর সৃষ্টি।
-
পরিচালিত প্রথম ছবি ‘কখনো আসেনি’।
-
দেশের প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র ‘বাহানা’।
-
‘কাঁচের দেয়াল’ চলচ্চিত্রটি নিগার পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়।
অন্যান্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে:
-
Let There Be Light
-
Stop Genocide
-
কখনো আসেনি
-
কাজল
-
কাঁচের দেয়াল
-
বেহুলা
-
আনোয়ারা
-
সঙ্গম
-
বাহানা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলাপিডিয়া, প্রথম আলো

0
Updated: 1 month ago
২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ কোন দেশ থেকে পণ্য রপ্তানি বাবদ সবচেয়ে বেশি আয় করেছে?
Created: 1 week ago
A
যুক্তরাষ্ট্র
B
যুক্তরাজ্য
C
জার্মানী
D
স্পেন
২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে। এই সময়কাল অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের মূল উৎস, প্রধান পণ্য, এবং দেশভিত্তিক অবস্থান নিম্নরূপ।
-
২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি আয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে, রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৬,৪৩৯.৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
-
মোট পণ্য রপ্তানি (FOB) ছিল ৩৭,০৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৯.৫৬% বৃদ্ধি পেয়েছে।
-
তৈরি পোশাক খাত (নীট ওয়্যার ও তৈরি পোশাক) থেকে আয় হয়েছে ৩১,৩৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪.৫৮%।
-
একক পণ্য হিসাবে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে নীট ওয়্যার, যার পরিমাণ ১৭,০৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, এবং এটি রপ্তানি আয়ের ৪৬.০১% অবদান রাখে।
দেশভিত্তিক রপ্তানি আয়:
-
অঞ্চল ভিত্তিতে, বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে।
-
একক দেশ হিসাবে, সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় যুক্তরাষ্ট্রে, আর এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে জাপান।
দেশভিত্তিক রপ্তানি আয় পরিমাণ:
-
যুক্তরাষ্ট্র
-
রপ্তানি পরিমাণ: ৬,৪৩৯.৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
-
রপ্তানি হার: ১৭.৩৭%
-
-
জার্মানি
-
রপ্তানি পরিমাণ: ৪,৯০৬.১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
-
রপ্তানি হার: ১৩.২৩%
-
-
যুক্তরাজ্য
-
রপ্তানি পরিমাণ: ৩,৫৪৭.৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
-
রপ্তানি হার: ৯.৫৭%
-
-
জাপান (বিশ্বে সপ্তম ও এশিয়ার মধ্যে শীর্ষ)
-
রপ্তানি পরিমাণ: ১,২৮৫.৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
-
রপ্তানি হার: ৩.৪৭%
-

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশে তৈরি জাহাজ 'স্টেলা মেরিস' রপ্তানি হয়েছে-
Created: 1 month ago
A
ফিনল্যান্ডে
B
ডেনমার্কে
C
নরওয়েতে
D
সুইডেনে
জাহাজ রপ্তানি: বাংলাদেশ
বাংলাদেশ থেকে জাহাজ রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৮ সালে, যখন ঢাকার আনন্দ শিপইয়ার্ড ডেনমার্কের জন্য ছোট আকারের “স্টেলা মরিস” জাহাজ রপ্তানি করে। প্রতিষ্ঠানটি সেই বছর ডেনমার্কে অত্যাধুনিক কন্টেইনার জাহাজ “স্টেলা মেরিস” রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য জাহাজ রপ্তানির নতুন পথ উন্মুক্ত করে এবং দেশটিকে জাহাজ রপ্তানিকারক হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি দেয়।
বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণ শিল্প সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাত হিসেবে বিবেচিত। এর পর চট্টগ্রামের ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড জার্মানির গ্রোনা শিপিং কোম্পানি থেকে ৮৫ মিলিয়ন ডলারের জন্য ৮টি জাহাজ নির্মাণের অর্ডার পায়।
বাংলাদেশে নির্মিত জাহাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ও উচ্চ গতিসম্পন্ন জাহাজ হলো ‘এনজিয়ান’, যা জার্মান ক্রেতা প্রতিষ্ঠান জার্মান কমরোসকি মারিটিম জিএমবিএইচ-এর প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উৎস: আনন্দ শিপইয়ার্ড ওয়েবসাইট, বাংলাপিডিয়া, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা রিপোর্ট।

0
Updated: 1 month ago