মহাজাগতিক রশ্মির আবিস্কারক-
A
হেস
B
আইনস্টাইন
C
টলেমি
D
হাবল
উত্তরের বিবরণ
মহাজাগতিক রশ্মি ও আবিষ্কার
-
আবিষ্কারক: মহাজাগতিক রশ্মি (Cosmic rays) প্রথম আবিষ্কার করেন ভিক্টর ফ্রান্সিস হেস।
-
মহাজাগতিক রশ্মি কী?
পৃথিবীর বাইরের মহাশূন্য থেকে আসা উচ্চ শক্তিসম্পন্ন কণাগুলো যখন বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, তখন তাদেরকেই মহাজাগতিক রশ্মি বলা হয়। -
কোথা থেকে আসে?
ধারণা করা হয়, ছায়াপথের বাইরে নক্ষত্র বিস্ফোরণ (Supernova) থেকে উৎপন্ন কণাই মূলত মহাজাগতিক রশ্মির প্রধান উৎস। -
গবেষণা ও আবিষ্কার:
ভিক্টর ফ্রান্সিস হেস বেলুনে যন্ত্রপাতি নিয়ে আকাশে পরীক্ষা চালান। তিনি দেখান যে, যে বিকিরণ বায়ুমণ্ডলকে আয়নিত করছে তার উৎস পৃথিবী নয়, বরং মহাশূন্য। এভাবেই মহাজাগতিক রশ্মির উপস্থিতি প্রমাণিত হয়। -
নোবেল পুরস্কার:
এই অসাধারণ আবিষ্কারের জন্য হেস ১৯৩৬ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান। তিনি এই পুরস্কারটি আরেক বিজ্ঞানী কার্ল ডেভিড অ্যান্ডারসন-এর সাথে যৌথভাবে লাভ করেন। -
হেস সম্পর্কে তথ্য:
ভিক্টর ফ্রান্সিস হেস ছিলেন একজন অস্ট্রীয়-মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।
উৎস: এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, নোবেল প্রাইজ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
বজ্রবৃষ্টির ফলে মাটিতে উদ্ভিদের কোন খাদ্য উপাদান বৃদ্ধি পায়?
Created: 4 weeks ago
A
নাইট্রোজেন
B
পটাশিয়াম
C
অক্সিজেন
D
ফসফরাস
উদ্ভিদের জন্য নাইট্রোজেন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা তাদের বৃদ্ধি ও সবুজায়নের জন্য অপরিহার্য। যদিও বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেনের পরিমাণ শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ, উদ্ভিদ সরাসরি এটিকে গ্রহণ করতে পারে না।
তারা মাটিতে থাকা নাইট্রোজেনের আয়নিত আকার থেকে প্রয়োজনীয় উপাদান সংগ্রহ করে। বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত নাইট্রোজেন সারের মধ্যে ইউরিয়া অন্যতম প্রধান এবং বহুল ব্যবহৃত সার।
-
মাটিতে নাইট্রোজেনের প্রধান উৎস হলো নাইট্রোজেন লবণ।
-
উদ্ভিদ মাটি থেকে আয়নিত অবস্থায় নাইট্রোজেন শোষণ করে।
-
বজ্রপাত একটি প্রাকৃতিক এবং শক্তিশালী সার প্রদানকারী এজেন্ট। প্রতিবার বজ্রপাত ঘটলে, বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন হাইড্রোজেন বা অক্সিজেনের সঙ্গে মিলিত হয়ে অ্যামোনিয়াম ও নাইট্রেট তৈরি করে।
-
এই নাইট্রোজেন বৃষ্টির মাধ্যমে মাটিতে ধুয়ে যায়, যেখানে গাছপালা এটি শোষণ করে এবং বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করে।
-
যেহেতু নাইট্রোজেন ক্লোরোফিলের মূল উপাদান, এটি গাছের সবুজায়নে সরাসরি ভূমিকা রাখে।
-
বায়ুমণ্ডলীয় নাইট্রোজেনের এই প্রক্রিয়া উদ্ভিদের জন্য প্রাকৃতিক সার হিসেবে কাজ করে, যা তাদের স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি ও সবুজ পাতা তৈরি করতে সহায়তা করে।

0
Updated: 4 weeks ago
হার্ট থেকে রক্ত বাইরে নিয়ে যায় যে রক্তনালী-
Created: 1 month ago
A
ভেইন
B
আর্টারি
C
ক্যাপিলারি
D
নার্ভ
ধমনি (Artery): রক্তনালীগুলোর মধ্যে ধমনি হলো সেই নালী, যেগুলোর মাধ্যমে রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পৌঁছায়।
-
শিরা (Vein): শিরার কাজ হলো দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে সাধারণত কার্বন ডাই-অক্সাইডসমৃদ্ধ রক্ত সংগ্রহ করে হৃৎপিণ্ডে ফিরিয়ে আনা।
-
ক্যাপিলারি (Capillary): এটি সবচেয়ে সূক্ষ্ম রক্তনালী, যা ধমনি ও শিরার মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করে এবং রক্তের গ্যাস ও পুষ্টি বিনিময় ঘটায়।
-
নার্ভ (Nerve): নার্ভ বা স্নায়ু হলো স্নায়ুতন্ত্রের অংশ, এটি রক্তনালী নয় এবং কোনোভাবেই রক্ত পরিবহন করে না।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণী

0
Updated: 1 month ago
সানস্ক্রিন লোশন তৈরিতে কোন ন্যানো পার্টিকেল ব্যবহৃত হয়?
Created: 2 weeks ago
A
Na2O
B
ZnO
C
Al2O3
D
CuO
সানস্ক্রিন লোশন তৈরিতে ব্যবহৃত মূল পার্টিকেল হলো Zinc Oxide (ZnO)। এর কার্যকারিতা ন্যানো কণার বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে অনেক বেশি। ন্যানো শব্দের অর্থ হলো very small বা অত্যন্ত ক্ষুদ্র।
যেমন, 1 nm মানে হলো 1 × 10⁻⁹ m। ন্যানোস্কেল সিস্টেমে কণার আকার 1 nm থেকে 50 nm এর মধ্যে হলে তাকে ন্যানো কণা বলা হয়।
ন্যানো কণার শ্রেণিবিভাগ
১. Nano-layer (ন্যানো-লেয়ার): যদি কণার আকার one dimension বা একমাত্রিক হয় এবং আকার 1 nm – 100 nm এর মধ্যে থাকে, তাকে ন্যানো-লেয়ার বলা হয়।
২. Nano-tube (ন্যানো টিউব বা ন্যানো-ওয়্যার): যদি কণার আকার two dimensions বা দ্বিমাত্রিক হয়, তবে তাকে ন্যানো-টিউব বা ন্যানো-ওয়্যার বলা হয়।
৩. Nano-particle (ন্যানো পার্টিকেল): যদি কণার আকার three dimensions বা ত্রিমাত্রিক হয়, এবং 1 nm – 100 nm এর মধ্যে থাকে, তবে তাকে ন্যানো পার্টিকেল বলা হয়।
ন্যানো কণার ভৌত ধর্মের পরিবর্তন
সাধারণ অবস্থায় কোনো পদার্থের আকার ভৌত ধর্মকে তেমন প্রভাবিত করে না। কিন্তু nanoparticle size ছোট বা বড় হলে optical, magnetic, electrical, mechanical বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন দেখা যায়। কারণ surface area অনেক বেশি বেড়ে যায়।
কিছু উদাহরণ:
-
(a) Normal অবস্থায় Gold এর রং সোনালী হলুদ এবং Silicon ধূসর। কিন্তু nano size এ Gold ও Silicon লাল রঙের দেখা যায়।
-
(b) Gold এর গলনাঙ্ক সাধারণ অবস্থায় 1064°C। কিন্তু মাত্র 2.5 nm size হলে গলনাঙ্ক নেমে আসে প্রায় 300°C এ।
-
(c) Photovoltaic cell-এ সৌর রশ্মি শোষণের ক্ষমতা পদার্থের আকারের ওপর নির্ভর করে। Nano কণা যত ছোট, তত বেশি solar radiation absorb করতে পারে।
-
(d) ZnO সাধারণ অবস্থায় UV রশ্মি প্রতিহত করে। কিন্তু nano ZnO আরও বেশি UV রশ্মি প্রতিহত করতে সক্ষম। এজন্যই sunscreen lotion তৈরিতে Nano ZnO ব্যবহার করা হয়।
-
(e) সাধারণত অদ্রবণীয় গুঁড়া কোনো liquid-এ মিশ্রিত করলে তা উপরে ভাসে বা নিচে বসে যায়। কিন্তু Nano-powder সূক্ষ্ম হওয়ায় dispersion force এবং ion-dipole interaction এর মাধ্যমে সাসপেনশন অবস্থায় থাকে।
-
(f) Nano কণার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্ম হলো magnetic property ও electrical conductivity। যেমন, ferroelectric solid যদি 10 nm আকারের হয় তবে room temperature এ superparamagnetism প্রকাশ করে, যা memory storage-এর জন্য উপযোগী নয়। আবার Graphene ও Carbon nanotube সাধারণ graphite-এর তুলনায় অনেক বেশি conductive।
এই কারণে ন্যানো প্রযুক্তি আজকের আধুনিক বিজ্ঞানে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

0
Updated: 2 weeks ago