A
2H2O2
B
H2O
C
D2O
D
HD2O2
উত্তরের বিবরণ
পানি
-
পানির রাসায়নিক সংকেত হলো H₂O।
-
যখন পানির হাইড্রোজেনের পরিবর্তে ডিউটেরিয়াম থাকে, তখন সেটিকে ভারী পানি বলে। এর সংকেত হলো D₂O।
-
ভারী পানির রাসায়নিক নাম ডিউটেরিয়াম অক্সাইড।
-
সাধারণ পানিতে থাকে প্রোটিয়াম (H এর সাধারণ রূপ) ও অক্সিজেন।
-
কিন্তু ভারী পানিতে থাকে ডিউটেরিয়াম ও অক্সিজেন।
-
হাইড্রোজেনের তিনটি প্রধান আইসোটোপ হলো: প্রোটিয়াম, ডিউটেরিয়াম ও ট্রিটিয়াম।
-
সাধারণভাবে হাইড্রোজেন বলতে আমরা আসলে প্রোটিয়ামকেই বুঝি।
উৎস: মাধ্যমিক রসায়ন (নবম-দশম শ্রেণি)

0
Updated: 2 weeks ago
রঙিন টেলিভিশন থেকে ক্ষতিকর রশ্মি বের হয়?
Created: 4 weeks ago
A
গামা রশ্মি
B
বিটা রশ্মি
C
কসমিক রশ্মি
D
রঞ্জন রশ্মি
রঙিন টেলিভিশন ও রঞ্জন রশ্মি
রঙিন টেলিভিশন থেকে সামান্য পরিমাণে ক্ষতিকর রঞ্জন রশ্মি (X-ray জাতীয়) বের হতে পারে। তবে এই পরিমাণ খুবই কম, যা সাধারণভাবে মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয় এবং উপেক্ষাযোগ্য।
রঙিন টেলিভিশনে সাদাকালো টেলিভিশনের মতো একই ধরণের প্রধান যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। শুধু রঙিন ছবি দেখানোর জন্য এতে কিছু বাড়তি যন্ত্র যুক্ত থাকে।
রঙিন ছবি ধারণের জন্য টেলিভিশনের ক্যামেরায় লাল, সবুজ ও নীল রঙের জন্য আলাদা আলাদা ইলেকট্রন টিউব থাকে।
এছাড়া, রঙিন টিভির স্ক্রিনেও এই তিনটি রঙের (লাল, সবুজ, নীল) জন্য তিনটি ইলেকট্রন গান (electron gun) থাকে, যা স্ক্রিনে রঙিন ছবি তৈরি করে।
পর্দায় থাকে তিন রকম ফসফর দানা, যেগুলো আলাদা আলাদা রঙের আলো তৈরি করে।
যখন ইলেকট্রন গান থেকে বের হওয়া ইলেকট্রন এই দানাগুলোতে পড়ে, তখন প্রত্যেক ফসফর দানা তার নির্দিষ্ট রঙের আলো তৈরি করে। এইভাবে স্ক্রিনে লাল, সবুজ, নীল বিন্দু ফুটে ওঠে এবং সেগুলোর মিশ্রণে আমরা রঙিন ছবি দেখতে পাই।
তবে যখন ইলেকট্রন ফসফরের উপর আঘাত করে, তখন খুবই সামান্য পরিমাণে রঞ্জন রশ্মি নির্গত হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
উৎস: বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 4 weeks ago
এন্টিবায়োটিকের কাজ-
Created: 2 weeks ago
A
রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা
B
জীবাণু ধ্বংস করা
C
ভাইরাস ধ্বংস করা
D
দ্রুত রোগ নিরাময় করা
এন্টিবায়োটিক
-
এন্টিবায়োটিক এমন এক ধরনের ঔষধি উপাদান যা সাধারণত ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক (ফাঙ্গাস) থেকে তৈরি হয়।
-
এর কাজ হলো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাককে ধ্বংস করা অথবা তাদের বৃদ্ধি থামিয়ে দেওয়া।
-
তবে মনে রাখতে হবে—এন্টিবায়োটিক কেবল ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে, ভাইরাসের ক্ষেত্রে একেবারেই কার্যকর নয়।
এন্টিবায়োটিকের ক্ষতিকর দিক
১. এন্টিবায়োটিক অতি মাত্রায় ব্যবহার করলে শরীরে রাসায়নিক ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়।
২. এটি অন্ত্রে থাকা অনেক উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। এর ফলে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং অগ্ন্যাশয়ের কার্যক্ষমতা কমে গিয়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
ক্ষতিকর দিক এড়াতে করণীয়
১) সাধারণ রোগে ভুগলেই নিজে থেকে এন্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত নয়, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
২) ডাক্তারের নির্দেশ মতো সঠিক ডোজ ও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে।
৩) প্রেসক্রিপশনে কোন ঔষধ কেন দেয়া হয়েছে সে সম্পর্কে চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নেয়া ভালো।
৪) মেয়াদোত্তীর্ণ এন্টিবায়োটিক কখনোই খাওয়া উচিত নয়।
উৎস: প্রাণিবিজ্ঞান, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি।

0
Updated: 2 weeks ago
বাংলাদেশের সুন্দরবনে কতো প্রজাতির হরিণ দেখা যায়?
Created: 1 week ago
A
১
B
২
C
৩
D
৪
বাংলাদেশের সুন্দরবন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব-দ্বীপের অংশ। এর আয়তন প্রায় ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার। এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম লবণাক্ত জলাভূমি এবং সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যের জন্য একটি অমূল্য ইকোসিস্টেম।
এখানে রয়েছে প্রায় ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ ও ৩৭৫ প্রজাতির প্রাণী। এর মধ্যে—
-
৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ,
-
৩১৫ প্রজাতির পাখি,
-
৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো রয়েল বেঙ্গল টাইগার, যা সুন্দরবনের বিশ্বখ্যাত প্রাণী।
সরীসৃপের মধ্যে পাওয়া যায়—
-
নোনা পানির কুমির,
-
অজগর,
-
গোখরা,
-
গুইসাপ,
-
সামুদ্রিক সাপ,
-
গিরগিটি,
-
কচ্ছপ প্রভৃতি।
হরিণের প্রজাতি
বাংলাদেশের সুন্দরবনে মূলত দুটি প্রজাতির হরিণ দেখা যায়—
-
চিত্রা হরিণ (সংখ্যায় বেশি),
-
মায়া হরিণ (সংখ্যায় খুব কম)।
এছাড়াও দেশে আরও তিনটি হরিণ প্রজাতি পাওয়া যায়, তবে সেগুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে—
-
সাম্বার হরিণ,
-
বারোশিঙা বা সোয়াম্প হরিণ,
-
হগ হরিণ।
বিশেষ তথ্য
-
সুন্দরবনের প্রধান বৃক্ষ হলো সুন্দরী গাছ।
-
১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান (World Heritage Site) হিসেবে ঘোষণা করে।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ (নবম-দশম শ্রেণি), বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago