কোন ধাতু স্বাভাবিক তাপমাত্রায় তরল থাকে?
A
পারদ
B
লিথিয়াম
C
জার্মেনিয়াম
D
ইউরেনিয়াম
উত্তরের বিবরণ
পারদ (Hg – মার্কারি) এমন একটি ধাতু, যা স্বাভাবিক তাপমাত্রাতেই তরল অবস্থায় পাওয়া যায়। এর পারমাণবিক সংখ্যা ৮০। পারদের গলনাঙ্ক হলো –৩৮.৮৩° সেলসিয়াস। অর্থাৎ সাধারণ ঘরের তাপমাত্রায় এটি জমাট বাঁধে না, তরল আকারে থাকে।
অন্যদিকে, সাধারণ তাপমাত্রায় তরল অবস্থায় পাওয়া আরেকটি উপাদান হলো ব্রোমিন। তবে পারদের সাথে পার্থক্য হলো— ব্রোমিন ধাতু নয়, এটি একটি অধাতু।
উৎস: রসায়ন, নবম–দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
বৈদ্যুতিক মিটারে এক ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ বলতে বুঝায়-
Created: 2 months ago
A
এক কিলোওয়াট-ঘণ্টা
B
এক ওয়াট-ঘণ্টা
C
এক কিলোওয়াট
D
এক ওয়াট
কিলোওয়াট-ঘণ্টা (kWh)
-
যখন ১ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্র এক ঘণ্টা কাজ করে, তখন যে পরিমাণ শক্তি ব্যবহার হয় তাকে ১ ওয়াট-ঘণ্টা বলা হয়।
-
বড় ক্ষমতার যন্ত্রের ক্ষেত্রে কিলোওয়াট-ঘণ্টা ব্যবহার করা হয়।
অর্থাৎ, ১ কিলোওয়াট-ঘণ্টা শক্তি = প্রায় ৩.৬ মেগা জুল।
-
আন্তর্জাতিকভাবে, বিদ্যুৎ সরবরাহকে কিলোওয়াট-ঘণ্টা এককে পরিমাপ করা হয়।
-
বাংলাদেশে, বিল দেওয়ার সময় এক ইউনিট বিদ্যুৎ বলতে ১ কিলোওয়াট-ঘণ্টা বোঝানো হয়।
-
সুতরাং, আমাদের বিদ্যুৎ বিল কিলোওয়াট-ঘণ্টা অনুযায়ী হিসাব করা হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 2 months ago
মহাজাগতিক রশ্মির আবিস্কারক-
Created: 1 month ago
A
হেস
B
আইনস্টাইন
C
টলেমি
D
হাবল
মহাজাগতিক রশ্মি ও আবিষ্কার
-
আবিষ্কারক: মহাজাগতিক রশ্মি (Cosmic rays) প্রথম আবিষ্কার করেন ভিক্টর ফ্রান্সিস হেস।
-
মহাজাগতিক রশ্মি কী?
পৃথিবীর বাইরের মহাশূন্য থেকে আসা উচ্চ শক্তিসম্পন্ন কণাগুলো যখন বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, তখন তাদেরকেই মহাজাগতিক রশ্মি বলা হয়। -
কোথা থেকে আসে?
ধারণা করা হয়, ছায়াপথের বাইরে নক্ষত্র বিস্ফোরণ (Supernova) থেকে উৎপন্ন কণাই মূলত মহাজাগতিক রশ্মির প্রধান উৎস। -
গবেষণা ও আবিষ্কার:
ভিক্টর ফ্রান্সিস হেস বেলুনে যন্ত্রপাতি নিয়ে আকাশে পরীক্ষা চালান। তিনি দেখান যে, যে বিকিরণ বায়ুমণ্ডলকে আয়নিত করছে তার উৎস পৃথিবী নয়, বরং মহাশূন্য। এভাবেই মহাজাগতিক রশ্মির উপস্থিতি প্রমাণিত হয়। -
নোবেল পুরস্কার:
এই অসাধারণ আবিষ্কারের জন্য হেস ১৯৩৬ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান। তিনি এই পুরস্কারটি আরেক বিজ্ঞানী কার্ল ডেভিড অ্যান্ডারসন-এর সাথে যৌথভাবে লাভ করেন। -
হেস সম্পর্কে তথ্য:
ভিক্টর ফ্রান্সিস হেস ছিলেন একজন অস্ট্রীয়-মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।
উৎস: এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, নোবেল প্রাইজ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি ভাইরাসের (VIRUS) জন্য সত্য নয়?
Created: 1 month ago
A
ডিএনএ বা আরএনএ থাকে
B
শুধুমাত্র জীবদেহের অভ্যন্তরে সংখ্যাবৃদ্ধি করে
C
স্ফটিক দানায় রূপান্তরিত (CRYSTALIZATION)
D
রাইবোজোম (Ribosome) থাকে
ভাইরাসের জীব বৈশিষ্ট্য
-
ভাইরাসের ভেতরে জেনেটিক উপাদান হিসেবে DNA অথবা RNA থাকে।
-
এরা নিজে থেকে সংখ্যা বাড়াতে পারে না; কেবলমাত্র পোষক জীবের কোষের ভেতর প্রবেশ করলে বৃদ্ধি পায়।
-
ভাইরাসকে স্ফটিক বা ক্রিস্টালে রূপান্তর করা সম্ভব।
-
এদের মধ্যে জেনেটিক রিকম্বিনেশন বা বংশগত উপাদানের বিন্যাস পরিবর্তন হতে দেখা যায়।
-
ভাইরাসে মিউটেশন বা পরিবর্তন ঘটে এবং নতুন নতুন প্রকরণ (ভ্যারাইটি) তৈরি হয়।
-
একবার ভাইরাস সৃষ্টি হলে, সেটি তার মূল বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে অনুরূপ ভাইরাস উৎপন্ন করতে সক্ষম।
ভাইরাসের জড় বৈশিষ্ট্য
-
ভাইরাস আসলে অকোষীয় কণা; এদের সাইটোপ্লাজম, কোষ ঝিল্লি, মাইটোকন্ড্রিয়া, রাইবোসোম বা নিউক্লিয়াসের মতো কোনো কোষীয় গঠন নেই।
-
ভাইরাসের এনজাইম নেই, তাই এরা খাদ্য গ্রহণ, পরিপাক বা শক্তি উৎপাদনের মতো বিপাকীয় কাজ করতে পারে না।
-
ভাইরাস কখনোই নিজের থেকে প্রজনন করতে পারে না; এ কাজের জন্য সবসময় অন্য জীবন্ত কোষের ওপর নির্ভরশীল।
-
এদেরকে রাসায়নিক কণার মতোই কেলাসিত, সেন্ট্রিফিউজ, ব্যাপন, পানিতে মিশিয়ে সাসপেনশন তৈরি এবং তলানি করা যায়।
-
জীবকোষের বাইরে ভাইরাস একেবারে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে।
উৎস: উদ্ভিদবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago