মধুসূদন দত্ত রচিত 'বীরাঙ্গনা'-
A
মহাকাব্য
B
পত্রকাব্য
C
গীতিকাব্য
D
আখ্যানকাব্য
উত্তরের বিবরণ
‘বীরাঙ্গনা কাব্য’
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ একটি পত্রকাব্য, যা বাংলা সাহিত্যে এই ধরনের প্রথম রচনা।
-
এটি ১৮৬২ সালে প্রকাশিত হয়।
-
এই কাব্যগ্রন্থটি রোমান কবি ওভিড-এর ‘Heroides’ কাব্যের অনুসরণে রচিত হয়েছে।
-
এতে মোট ১১টি চিঠির আকারে কবিতা রয়েছে, যেখানে পৌরাণিক নারীরা আধুনিক চেতনায় নিজেদের প্রেম, আবেগ ও কামনার কথা ব্যক্ত করেছে।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
তিনি ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দ ও সনেটের প্রবর্তক হিসেবে তিনি প্রসিদ্ধ।
-
প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রয়োগ করেন তাঁর নাটক ‘পদ্মাবতী’-তে (দ্বিতীয় অঙ্ক, দ্বিতীয় গর্ভাঙ্কে)।
-
অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ কাব্যগ্রন্থ হলো ‘তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য’।
-
তাঁর রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘The Captive Lady’ (ইংরেজিতে রচিত)।
📖 তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:
-
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
-
মেঘনাদবধ কাব্য
-
ব্রজাঙ্গনা কাব্য
-
বীরাঙ্গনা কাব্য (পত্রকাব্য)
-
চতুর্দশপদী কবিতাবলী
📚 উল্লেখযোগ্য গদ্য অনুবাদ:
-
‘হেক্টরবধ’ (গদ্যে রচিত অনুবাদ)
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা - ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 months ago
'চন্দ্রাবতী' কী?
Created: 2 weeks ago
A
নাটক
B
কাব্য
C
পদাবলী
D
পালাগান
চন্দ্রাবতী কাব্য:
-
রচয়িতা: কোরেশী মাগন ঠাকুর।
-
কাল ও প্রেক্ষাপট: মধ্যযুগে আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্যচর্চা শুরু হয়।
-
কোরেশী মাগন ঠাকুর ছিলেন আরাকান রাজসভার প্রধান উজির। তার পৃষ্ঠপোষকতায় রাজসভায় বাংলা সাহিত্যের বিকাশ ঘটে।
-
তিনি বিখ্যাত কবি আলাওলকে দুটি কাব্য, ‘পদ্মাবতী’ ও ‘সয়ফুলমুলক বদিউজ্জামান’, রচনায় উৎসাহিত করেন।
-
উল্লেখযোগ্য আরাকান রাজসভার কবি: আলাওল, দৌলত কাজী, কোরেশী মাগন ঠাকুর।
অন্যান্য চন্দ্রাবতী সম্পর্কিত তথ্য:
-
ময়মনসিংহের একজন নারী গীতিকার চন্দ্রাবতী প্রথম রামায়ণ বাংলায় অনুবাদ করেন।
-
ময়মনসিংহ-গীতিকায় নয়নচাঁদ ঘোষ নামে এক কবির ‘চন্দ্রাবতী’ সম্পর্কিত পালা আছে। এটি বিভিন্ন নামে পরিচিত, যেমন:
-
‘জয়-চন্দ্রাবতী’
-
‘চন্দ্রাবতী চরিত’
-
‘চন্দ্রাবতী উপাখ্যান’
-
-
১৯৩২ সালে দীনেশচন্দ্র সেন চন্দ্রাবতীর রামায়ণ প্রকাশ করেন। এটি পূর্ববঙ্গ-গীতিকার চতুর্থ খণ্ডের দ্বিতীয় ভাগে স্থান পেয়েছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 weeks ago
কোনটি কাব্যগ্রন্থ?
Created: 2 months ago
A
শেষ প্রশ্ন
B
শেষ লেখা
C
শেষের কবিতা
D
শেষের পরিচয়
‘শেষলেখা’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষজীবনের এক গভীর আত্মস্মরণ ও দার্শনিক বোধের কাব্যগ্রন্থ। এই গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৪১ সালে, কবির মৃত্যুর পর। জীবনের অন্তিম প্রহরে রচিত এই কবিতাগুলি যেন তাঁর অন্তরের নীরব প্রতিধ্বনি।
বিষয়টি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এই কারণে যে, এই গ্রন্থের নাম ‘শেষলেখা’ কবি নিজে নির্ধারণ করে যেতে পারেননি। তাঁর মৃত্যুর পর এই নামকরণ করা হয়।
এখানে অন্তর্ভুক্ত অধিকাংশ কবিতা তিনি লিখেছেন মৃত্যুর মাত্র কয়েকদিন আগে, আর কিছু কবিতা রচিত হয়েছিল মুখে মুখে—যার সাক্ষী ছিলেন তাঁর সেবক ও সঙ্গীরা।
এই কাব্যগ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন:
"রূপ-নারায়ণের কূলে,
জেগে উঠিলাম;
জানিলাম এ জগৎ
স্বপ্ন নয়।"
এই কয়েকটি চরণ যেন তাঁর চেতন ও অবচেতন জগতের মিলনবিন্দু, যা তাঁকে জীবনের শেষ মুহূর্তেও আলোর পথে এগিয়ে রাখে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্মে 'শেষ' শব্দটি বহুভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন:
-
‘শেষ কথা’ — একটি প্রখ্যাত ছোটগল্প, যেখানে সম্পর্ক, সমাজ ও মানবিক দ্বন্দ্ব চিত্রিত হয়েছে।
-
‘শেষের কবিতা’ — একটি দর্শনভিত্তিক উপন্যাস, যেখানে প্রেম, বুদ্ধিবৃত্তি ও আত্মনিরীক্ষার মোহজাল তুলে ধরা হয়েছে।
অন্যদিকে, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘শেষ’ শব্দ ব্যবহার করে লিখেছেন দুটি বিখ্যাত উপন্যাস:
-
‘শেষ প্রশ্ন’ — যেখানে ব্যক্তিগত ও সামাজিক প্রশ্নে টানাপোড়েন তুলে ধরা হয়েছে।
-
‘শেষের পরিচয়’ — একটি সম্পর্কের শেষ ধাপে গঠিত জটিলতার প্রতিচ্ছবি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 2 months ago
জসীমউদ্দীনের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
রাখালী
B
সোজন বাদিয়ার ঘাট
C
নক্শী কাঁথার মাঠ
D
বালুচর
রাখালী কাব্যগ্রন্থ ও কবি জসীমউদ্দীন
বাংলা সাহিত্যের পল্লিকবি হিসেবে পরিচিত জসীমউদ্দীনের সাহিত্যিক যাত্রা শুরু হয় তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘রাখালী’ দিয়ে।
১৯২৭ সালে প্রকাশিত এই কাব্যগ্রন্থে মোট ১৯টি কবিতা অন্তর্ভুক্ত ছিল, যার মধ্যে তাঁর সর্বাধিক পরিচিত কবিতা ‘কবর’ অন্যতম। কলেজে অধ্যয়নকালেই রচিত এই কবিতাটি তাঁকে সাহিত্যে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়।
জসীমউদ্দীন জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি, ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে তাঁর মাতুলালয়ে। তাঁর পৈতৃক ঠিকানা একই জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে অবস্থিত। কর্মজীবনে তিনি প্রথমে গ্রামীণ জীবনের সাহিত্য সংগ্রাহক হিসেবে কাজ শুরু করেন।
বাংলার মাটি ও মানুষের প্রাণস্পর্শী চিত্র ফুটিয়ে তোলা এই কবির উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে— বালুচর, রূপবতী, রাখালী, নক্সী কাঁথার মাঠ, ধানখেত, সোজন বাদিয়ার ঘাট, মাটির কান্না এবং মা যে জননী কান্দে।
তাঁর লেখনীতে গ্রামীণ বাংলার চিরন্তন রূপ, মানুষের আবেগ, সুখ-দুঃখ ও জীবনের বাস্তবতা নিপুণভাবে উঠে এসেছে, যা বাংলা সাহিত্যের ভান্ডারকে করেছে সমৃদ্ধ ও হৃদয়গ্রাহী।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago