অয়ন
বায়ুর অপর নাম কী?
A
মেরু
বায়ু
B
পশ্চিমা
বায়ু
C
বানিজ্য
বায়ু
D
মৌসুমী
বায়ু
উত্তরের বিবরণ
• অয়ন বায়ু:
- নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় থেকে উষ্ণ ও হালকা বায়ু উপরে উঠে গেলে কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে শীতল ও ভারী বায়ু নিরক্ষীয় অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়।
- ফেরেলের সূত্র অনুসারে এ বায়ু উত্তর গোলার্ধে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়ে থাকে।
- প্রাচীনকালে পরিচালিত বাণিজ্য জাহাজগুলো এ বায়ুপ্রবাহের দিক অনুসরণে যাতায়াত করত বলে এগুলোকে অয়ন বায়ু বা বাণিজ্য বায়ু বলে।
- উত্তর গোলার্ধে এটি উত্তর-পূর্ব অয়ন বায়ু এবং দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন বায়ু নামে পরিচিত।
উল্লেখ্য,
- নিয়ত বায়ু পৃথিবীর চাপ বলয়গুলো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে বছরের সকল সময় একই দিকে প্রবাহিত হয়।
- এই বায়ু তিন প্রকারের। যথা- অয়ন বায়ু, পশ্চিমা বায়ু ও মেরু বায়ু।

0
Updated: 1 month ago
'Climatology' শব্দটি সর্ব প্রথম কে ব্যবহার করেন?
Created: 3 days ago
A
ইরাটেসথিনিস
B
কার্ল-রিটার
C
ইমানুয়েল কান্ট
D
আলেকজান্ডার ভন হামবোল্ড
‘Climatology’ (জলবায়ুবিদ্যা) শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন আলেকজান্ডার ভন হামবোল্ড (Alexander von Humboldt)। তিনি ছিলেন একজন জার্মান প্রকৃতিবিজ্ঞানী, ভূগোলবিদ ও অভিযাত্রী, যিনি আধুনিক ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
-
অবদান: হামবোল্ড পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের তাপমাত্রা, উদ্ভিদবিন্যাস ও ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করেন।
-
গুরুত্ব: তিনি প্রথম বিজ্ঞানীদের মধ্যে একজন, যিনি জলবায়ুকে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর প্রভাবের ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করেন, যা পরবর্তীতে আধুনিক জলবায়ুবিদ্যার ভিত্তি তৈরি করে।
-
উপাধি: আলেকজান্ডার ভন হামবোল্ডকে প্রায়ই “আধুনিক ভূগোলের জনক” (Father of Modern Geography) বলা হয়।

0
Updated: 3 days ago
নিচের কোনটি আবহাওয়া ও জলবায়ুর নিয়ামক নয়?
Created: 1 month ago
A
ভূ-প্রকৃতি
B
অক্ষাংশ
C
বায়ুপ্রবাহ
D
দ্রাঘিমাংশ
আবহাওয়া ও জলবায়ু বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিক উপাদানের দ্বারা প্রভাবিত হয়, তবে এই নিয়ামকগুলো সমানভাবে সকল স্থানে কাজ করে না। নিচে আবহাওয়া ও জলবায়ুর প্রধান নিয়ামকসমূহ তুলে ধরা হলো:
-
অক্ষাংশ: পৃথিবীর বিভিন্ন অক্ষাংশে সূর্যের তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে আবহাওয়া এবং জলবায়ু ভিন্ন হয়।
-
উচ্চতা: উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা কমে এবং বৃষ্টিপাতের ধরন পরিবর্তিত হয়।
-
সমুদ্র থেকে দূরত্ব: সমুদ্রের নিকটে অবস্থান করলে তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকে, আর অভ্যন্তরীণ স্থানে তা বেশি থাকে।
-
স্থলভাগ ও জলভাগের অবস্থান: ভূমি ও জলাভাগের অনুপাত আবহাওয়া ও আর্দ্রতায় প্রভাব ফেলে।
-
সমুদ্রস্রোত: উষ্ণ ও শীতল স্রোত তাপমাত্রা ও আর্দ্রতায় পরিবর্তন আনে।
-
ভূমির ঢাল: ঢালান এলাকার জলবায়ু এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণে প্রভাব ফেলে।
-
ভূ-প্রকৃতি: পর্বত, সমতল বা উপত্যকার উপস্থিতি আবহাওয়ার বৈচিত্র্য সৃষ্টি করে।
-
বায়ুপ্রবাহ: স্থল ও সমুদ্রের বায়ুপ্রবাহ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতায় পরিবর্তন আনে।
-
বায়ুর চাপ: উচ্চ ও নিম্নচাপের অঞ্চল আবহাওয়ার ধরন এবং মৌসুমী পরিবর্তন নির্ধারণ করে।
-
বনভূমির অবস্থান: বনভূমি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে এবং আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

0
Updated: 1 month ago
গর্জনশীল চল্লিশা' কি?
Created: 3 days ago
A
বায়ুপ্রবাহ
B
সমুদ্রস্রোত
C
হিমবাহ
D
ভূমিধ্বস্
গর্জনশীল চল্লিশা (Roaring Forties) বলতে দক্ষিণ গোলার্ধের ৪০° থেকে ৫০° দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে প্রবাহিত শক্তিশালী পশ্চিমা বায়ুপ্রবাহকে বোঝায়। এই বায়ুসমূহ মূলত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ওপর দিয়ে বাধাহীনভাবে প্রবাহিত হয়, ফলে এদের গতি অত্যন্ত প্রবল ও ঝড়ো প্রকৃতির হয়।
তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
অবস্থান: দক্ষিণ গোলার্ধের ৪০°–৫০° দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে।
-
বায়ুর দিক: এটি একটি পশ্চিমা বায়ুপ্রবাহ (Westerlies), যা পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়।
-
কারণ: এই অঞ্চলে ভূমির উপস্থিতি খুব কম হওয়ায় বায়ুপ্রবাহের ওপর কোনো বাধা থাকে না, ফলে এর গতি বাড়ে।
-
বিশেষত্ব: প্রবাহের সময় এই বায়ু যে তীব্র শব্দ বা গর্জনের মতো আওয়াজ সৃষ্টি করে, তার ফলেই এদের নাম হয়েছে “গর্জনশীল চল্লিশা” (Roaring Forties)।
-
গুরুত্ব: এটি দক্ষিণ মহাসাগরে নৌ চলাচল ও আবহাওয়া পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।

0
Updated: 3 days ago