'মোদের গরব, মোদের আশা/আ-মরি বাংলা ভাষা' রচিয়তা-
A
রামনিধি গুপ্ত
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
অতুল প্রসাদ সেন
D
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
উত্তরের বিবরণ
🔹 ‘মোদের গরব মোদের আশা / আ-মরি বাঙলা ভাষা’ — এই অনুপ্রেরণাদায়ী গানটি রচনা করেছিলেন অতুলপ্রসাদ সেন। ষাটের দশকে পূর্ব বাংলায় বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সময় এই গানটি আন্দোলনকারীদের মধ্যে প্রবল উদ্দীপনা জাগিয়েছিল।
🔹 অতুলপ্রসাদ সেন (জন্ম: ১৮৭১, ঢাকা):
-
তিনি একজন বিশিষ্ট কবি, গীতিকার ও সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন।
-
বাংলা গানে তিনিই প্রথম ঠুমরির প্রয়োগ করেন।
-
‘মোদের গরব, মোদের আশা, আমরি বাংলা ভাষা’ তাঁর বিখ্যাত দেশাত্মবোধক গান।
-
তাঁর গানের সংকলনগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘কয়েকটি গান’ ও ‘গীতিগুচ্ছ’।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 5 months ago
'তুমি মা কল্পতরু, আমরা সব পোষাগরু'- এই কবিতাংশটির রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
B
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
C
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
D
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত উনিশ শতকের প্রথমার্ধের একজন কবি ছিলেন, যিনি তাঁর কবিতায় হালকা ব্যঙ্গ-বিদ্রুপকে প্রধান করে তুলেছিলেন। তাঁর লেখায় কল্পনার স্থান তেমন বড় নয়,
এবং তিনি আধুনিকতার প্রভাব অনুভব করলেও সেটিকে সম্পূর্ণভাবে গ্রহণ করতে পারেননি। তিনি শুধু একজন কবি নন, বরং সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
-
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ছিলেন 'সংবাদ প্রভাকর' পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। এটি বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম দৈনিক পত্রিকা।
-
১৮৩১ সালে তিনি 'সংবাদ প্রভাকর' নামক সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেন।
-
১৮৩৯ সাল থেকে এটি দৈনিক পত্রিকায় রূপান্তরিত হয়।
-
তিনি আরও কিছু পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন, যেমন:
-
সংবাদ রত্নাবলী
-
পাষণ্ডপীড়ণ
-
সংবাদ সাধুরঞ্জন
-
তাঁর কবিতা "নীলকর"-এ তিনি মহারানী ভিক্টোরিয়াকে সম্বোধন করে বলেন:
"তুমি মা কল্পতরু আমরা সব পোষা গরু
শিখিনি শিং বাঁকানো
কেবল খাবো খোল বিচিলি ঘাষ...
আমরা ভুসি পেলেই খুশি হব
ঘুষি খেলে বাঁচব না।"
এই কবিতার মাধ্যমে তিনি সমকালীন সমাজ ও রাজতন্ত্রের প্রতি ব্যঙ্গাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন।
0
Updated: 1 month ago
'তুরস্ক-ভ্রমণ' কার লেখা?
Created: 1 month ago
A
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
B
সৈয়দ মুজতবা আলী
C
আবু জাফর শামসুদ্দীন
D
শামসুদ্দীন আবুল কালাম
সঠিক উত্তর হলো ক) ইসমাইল হোসেন সিরাজী। ‘তুরস্ক ভ্রমণ’ গ্রন্থটি সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী রচিত একটি ভ্রমণকাহিনি। তিনি ১৯১০ সালে বঙ্গীয় প্রতিনিধি হিসেবে তুরস্ক ভ্রমণ করেন এবং সেই অভিজ্ঞতাগুলো এই গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছেন।
গ্রন্থটি তৎকালীন তুরস্কের সংস্কৃতি, সমাজ ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে এবং এটি তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাগুলোর মধ্যে একটি।
• সাহিত্যিক সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ছিলেন লেখক, বাগ্মী ও কৃষক নেতা।
-
তিনি ১৮৮০ সালের ১৩ জুলাই সিরাজগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
-
জন্মস্থানের কারণে তিনি নামের সঙ্গে ‘সিরাজী’ উপাধি যুক্ত করেন।
-
সিরাজগঞ্জে কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
-
জমিদার ও মহাজন বিরোধী আন্দোলনে কৃষকদের সংগঠিত করেছেন।
-
তিনি ১৯৩১ সালের ১৭ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।
• রচিত কাব্যগ্রন্থ:
-
অনল প্রবাহ
-
আকাঙ্ক্ষা
-
উচ্ছ্বাস
-
উদ্বোধন
-
নব উদ্দীপনা
-
স্পেন বিজয় কাব্য
• রচিত উপন্যাস:
-
রায়নন্দিনী
-
তারা-বাঈ
-
ফিরোজা বেগম
-
নূরুদ্দীন
• অন্যান্য অপশন বিশ্লেষণ:
-
(খ) সৈয়দ মুজতবা আলী: ‘দেশে বিদেশে’ নামে ভ্রমণকাহিনি রচনা করেছেন, যা কাবুলে অবস্থানের অভিজ্ঞতা ও অন্তরঙ্গ উপলব্ধি ভিত্তিক।
-
(গ) আবু জাফর শামসুদ্দীন: ‘অল্পদর্শী’ ছদ্মনামে কলাম লিখতেন। তাঁর উপন্যাসের মধ্যে আছে ভাওয়াল গড়ের উপাখ্যান, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, সংকর সংকীর্তন।
-
(ঘ) শামসুদ্দীন আবুল কালাম: কথাশিল্পী হিসেবে পরিচিত, গল্প ও উপন্যাস রচনা করেছেন। উল্লেখযোগ্য রচনাগুলো: গল্পগ্রন্থ অনেক দিনের আশা, ঢেউ, পথ জানা নাই, শাহের বানু, পুঁই ডালিমের কাব্য; উপন্যাস: আলমনগরের উপকথা, কাশবনের কন্যা, কাঞ্চনমালা, কাঞ্চনগ্রাম।
0
Updated: 1 month ago
'গীতগোবিন্দ' কাব্যের রচয়িতা জয়দেব কার সভাকবি ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
শশাঙ্কদেবের
B
লক্ষ্মণ সেনের
C
যশোবর্মনের
D
হর্ষবর্ধনের
জয়দেব ছিলেন বার’শ শতকের এক খ্যাতনামা সংস্কৃত ভাষার কবি। তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন মত থাকলেও তাঁর সাহিত্যকীর্তি ও অবদান ভারতীয় সাহিত্যে বিশেষভাবে স্মরণীয়।
-
তাঁর জন্মস্থান নিয়ে বিতর্ক আছে। অধিকাংশের মতে তিনি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার অজয়নদের তীরবর্তী কেন্দুবিল্ব বা কেঁদুলি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তবে কেউ কেউ তাঁকে মিথিলা বা উড়িষ্যার অধিবাসী বলেও মনে করেন।
-
তিনি বাংলার শেষ হিন্দু রাজা লক্ষ্মণ সেনের রাজসভার পঞ্চরত্নের অন্যতম সদস্য ছিলেন।
-
পঞ্চরত্নের অন্য চারজন কবি হলেন—
১. গোবর্ধন আচার্য
২. শরণ
৩. নধোয়ী
৪. উমাপতিধর -
অনেকের মতে, তিনি কিছু সময় উৎকলরাজের সভাপণ্ডিত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
-
বাংলার সাহিত্য ইতিহাসে তাঁকে বৈষ্ণব পদাবলির প্রথম পদকর্তা বলা হয়।
-
তাঁর শ্রেষ্ঠ কাব্য ‘গীতগোবিন্দম্’, যেখানে রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলা অবলম্বনে পদ রচনা করা হয়েছে। এটি আদি বৈষ্ণব পদাবলির নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত।
-
এই কাব্যে মোট ১২ সর্গ, ২৮৬টি শ্লোক এবং ২৪টি গীত রয়েছে।
0
Updated: 1 month ago