'এমারেল্ড ট্রায়াঙ্গল' কোন তিনটি দেশের সীমান্তে অবস্থিত?
A
কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম
B
কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড ও লাওস
C
থাইল্যান্ড, লাওস ও মায়ানমার
D
কম্বোডিয়া, লাওস ও মায়ানমার
উত্তরের বিবরণ
এমারেল্ড ট্রায়াঙ্গল
-
অবস্থান: 'এমারেল্ড ট্রায়াঙ্গেল' হলো কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড ও লাওসের সীমান্তবর্তী অঞ্চল।
-
সীমান্ত দ্বন্দ্ব: কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ শত বছরেরও বেশি পুরনো।
-
নামকরণ: সীমান্তে বিরোধপূর্ণ অঞ্চলটি ‘এমারেল্ড ট্রায়াঙ্গল’ নামে পরিচিত।
-
ঐতিহাসিক ঘটনা: এই অঞ্চলে ১১ শতকের মোয়ান থম মন্দির নিয়ে ২০০৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড শত্রুতা বৃদ্ধি পায়।
-
পরবর্তী সংঘাত: এরপরের বছরগুলিতে সীমান্ত সংঘাতে দুই দেশে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
উৎস:
i) The Economic Times
ii) প্রথম আলো

0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বকালের সবচেয়ে প্রলয়ংকরী সাইক্লোন কোন বছর ঘটে ছিল?
Created: 3 weeks ago
A
১৯৬১ সালে
B
১৯৭০ সালে
C
১৯৮৫ সালে
D
২০০৭ সালে
সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় হলো একটি প্রাকৃতিক প্রপঞ্চ যেখানে বাতাস নিম্নচাপের কারণে প্রচণ্ড গতিবেগে ঘুরতে থাকে। এটি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন নামে পরিচিত হলেও মূলত একই ধরনের আবহাওয়ার ঘটনা। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান এবং পরিবেশগত বৈশিষ্ট্যের কারণে দেশটি সাইক্লোনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
-
সাইক্লোন শব্দের উৎস: গ্রিক শব্দ "Kyklos" থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো Coil of Snakes বা সাপের কুণ্ডলী।
-
নাম ভিন্নতা: দক্ষিণ এশিয়ায় এটি সাইক্লোন, আমেরিকাতে হ্যারিকেন (Hurricane), এবং দূরপ্রাচ্যের দেশগুলোতে টাইফুন (Typhoon) নামে পরিচিত।
-
ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য: বাংলাদেশের উত্তরে হিমালয় পর্বত, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং মাঝখানে ফানেল আকৃতির উপকূলীয় এলাকা রয়েছে।
-
ঝুঁকিপূর্ণতা: ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ সাইক্লোনের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
-
ঐতিহাসিক সাইক্লোন: ১৯৬০ সাল থেকে অসংখ্য সাইক্লোন আঘাত এনেছে, বিশেষ করে ১৯৬০, ১৯৬১, ১৯৬৩, ১৯৬৫, ১৯৭০, ১৯৮৫, ১৯৯১, ২০০৭ ও ২০০৯ সালের সাইক্লোনগুলো প্রলয়ংকরী ছিল।
-
সর্বকালের প্রলয়ংকরী সাইক্লোন: ১৯৭০ সালের সাইক্লোনকে পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বকালের সবচেয়ে প্রলয়ংকরী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
-
সর্বাধিক শক্তিশালী সাইক্লোন: বাংলাদেশে সবচেয়ে শক্তিশালী সাইক্লোন হয়েছিল ১৯৯১ সালে, যখন বাতাসের গতি ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার ছিল।

0
Updated: 3 weeks ago
নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস কোনটি?
Created: 1 month ago
A
কয়লা
B
খনিজ তেল
C
বায়ু শক্তি
D
প্রাকৃতিক গ্যাস
নবায়নযোগ্য শক্তি (Renewable Energy)
-
সংজ্ঞা:
-
বারবার ব্যবহারযোগ্য শক্তি
-
পরিবেশবান্ধব, তাই গ্রীন শক্তিও বলা হয়
-
-
উৎসসমূহ:
১. সৌরশক্তি (Solar Energy):-
সূর্য থেকে প্রাপ্ত শক্তি
-
পৃথিবীর প্রায় সব শক্তির উৎস সূর্য
-
জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকৃতপক্ষে বহু দিনের সঞ্চিত সৌরশক্তি
২. জলবিদ্যুৎ (Hydropower): -
পানির স্রোত ও জোয়ার-ভাটা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন
-
পানিতে আছে গতি শক্তি ও বিভব শক্তি
৩. বায়ু শক্তি (Wind Energy): -
পৃথিবী পৃষ্ঠের তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে বায়ু প্রবাহিত হয়
-
বায়ু প্রবাহজনিত গতিশক্তি তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তর করা যায়
-
যন্ত্র: বায়ুকল (Wind turbine)
৪. বায়োমাস শক্তি (Biomass Energy): -
সৌর শক্তি গাছপালার মাধ্যমে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়
-
বায়োমাস থেকে বায়োগ্যাস ও বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব
-
-
অ-নবায়নযোগ্য শক্তি:
-
কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, নিউক্লিয় শক্তি
-

0
Updated: 1 month ago
মরীচিকায় কোন ঘটনা ঘটে?
Created: 2 months ago
A
আলোর প্রতিফলন
B
আলোর বিচ্ছুরণ
C
আলোর প্রতিসরণ
D
আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন
মরীচিকা:
-
মরীচিকা হলো আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের ফল।
-
-
উৎপত্তি ও কারণ:
-
আলোকরশ্মি যখন ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে প্রবেশ করে, প্রতিসরণের কারণে আলো অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যায়।
-
যখন আলো ক্রান্তি কোণের চেয়ে বড় মানের কোণে বিভেদ তলে আপতিত হয়, তখন তা প্রতিসরিত হয়ে প্রথম মাধ্যমেই ফিরে আসে।
-
এই প্রক্রিয়াকেই বলা হয় পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন, এবং এর ফলে সৃষ্টি হয় মরীচিকা।
-
-
লক্ষণ ও প্রভাব:
-
সাধারণত মরুভূমিতে দিনের বেলায় দেখা যায়।
-
এটি এক ধরনের দৃষ্টিভ্রম, যেখানে পথিক মনে করে সামনেই পানি আছে, কিন্তু কাছে গেলে দেখা যায় সেখানে কোনো পানি নেই।
-
পথিক কখনোই সেই অলীক পানির কাছে পৌঁছাতে পারে না।
-
উৎস:
i) Britannica
ii) পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 2 months ago