আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন' সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদের বিষয়?
A
২৭নং অনুচ্ছেদ
B
২৫নং অনুচ্ছেদ
C
২৯নং অনুচ্ছেদ
D
২৬নং অনুচ্ছেদ
উত্তরের বিবরণ
সংবিধানের ২৫ নং অনুচ্ছেদ – আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন
-
বাংলাদেশের রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরিচালনায়:
-
জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও সমতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে,
-
অন্যান্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করবে,
-
আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান নিশ্চিত করবে, এবং
-
আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদে বর্ণিত নীতিসমূহের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবে।
-
-
রাষ্ট্র এই নীতিগুলোর ভিত্তিতে:
-
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগ পরিহার ও সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের জন্য প্রচেষ্টা চালাবে,
-
প্রত্যেক জাতির নিজস্ব সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা নির্ধারণের স্বাধীন অধিকার সমর্থন করবে, এবং
-
সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতাবাদ ও বর্ণবৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে নিপীড়িত জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের প্রতি সমর্থন জানাবে।
-
অন্যদিকে:
-
২৭ নং অনুচ্ছেদ – আইনের দৃষ্টিতে সমতা
-
২৯ নং অনুচ্ছেদ – সরকারি নিয়োগ লাভে সুযোগের সমতা
-
২৬ নং অনুচ্ছেদ – মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসমঞ্জস আইন বাতিল
সূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 2 months ago
সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদের আলােকে বাংলাদেশে বৈদেশিক নীতি পরিচালিত হয়?
Created: 1 month ago
A
অনুচ্ছেদ ২২
B
অনুচ্ছেদ ২৩
C
অনুচ্ছেদ ২৪
D
অনুচ্ছেদ ২৫
বাংলাদেশের সংবিধানের পররাষ্ট্রনীতি (দ্বিতীয় অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ২৫)
বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বিতীয় অধ্যায়ের ২৫ নং অনুচ্ছেদে দেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভিত্তি হবে কয়েকটি মূল নীতি:
-
আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতি উন্নয়ন: বিশ্বের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা।
-
জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও সমতার প্রতি শ্রদ্ধা: অন্য দেশের স্বাধীনতা ও সমতা মেনে চলা।
-
অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা।
-
আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান ও আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের নীতির প্রতি শ্রদ্ধা।
এই নীতিগুলোর ভিত্তিতে রাষ্ট্র তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবে:
-
(ক) আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তি ব্যবহার এড়ানো এবং সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের প্রচেষ্টা চালানো।
-
(খ) প্রত্যেক জাতির স্বাধীনভাবে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার অধিকার সমর্থন করা।
-
(গ) সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতাবাদ বা বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে নিপীড়িত জনগণের ন্যায্য সংগ্রাম সমর্থন করা।
সংক্ষেপে, এই অনুচ্ছেদটি বাংলাদেশকে একটি শান্তিপ্রিয়, ন্যায়পরায়ণ ও সমমর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক নীতি অনুসরণের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
সংযুক্ত অন্যান্য অনুচ্ছেদ:
-
অনুচ্ছেদ ২২: নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ।
-
অনুচ্ছেদ ২৩: জাতীয় সংস্কৃতি সংরক্ষণ।
-
অনুচ্ছেদ ২৪: জাতীয় স্মৃতি নিদর্শনের সংরক্ষণ।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ ভাগের বিষয়বস্তু কী?
Created: 2 months ago
A
মৌলিক অধিকার
B
বিচার বিভাগ
C
নির্বাহী বিভাগ
D
নির্বাচন
সংবিধানের ভাগ
-
প্রথম ভাগ: প্রজাতন্ত্র
-
দ্বিতীয় ভাগ: রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
-
তৃতীয় ভাগ: মৌলিক অধিকার
-
চতুর্থ ভাগ: নির্বাহী বিভাগ
-
পঞ্চম ভাগ: আইনসভা
-
ষষ্ঠ ভাগ: বিচার বিভাগ
-
সপ্তম ভাগ: নির্বাচন
-
অষ্টম ভাগ: মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
-
নবম ভাগ: বাংলাদেশের কর্মবিভাগ
-
দশম ভাগ: সংবিধান-সংশোধন
-
একাদশ ভাগ: বিবিধ
সূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কত অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন গঠিত হয়?
Created: 2 months ago
A
১৩৭
B
১৩৮
C
১৪৭
D
১৫০
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন
-
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন হল একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠান, যা সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেয়।
-
এটি সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতি, বদলি, শৃঙ্খলা এবং আপিলের মত বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়।
-
সংবিধানের একটি অধ্যায়ে এই কমিশনের গঠন ও কাজের নিয়ম বর্ণনা করা হয়েছে, যেখানে মোট ৫টি অনুচ্ছেদ আছে।
-
রাষ্ট্রপতি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ দেন।
-
প্রধান বিচারপতি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের শপথ গ্রহণ করান।
সংবিধানের ৫টি অনুচ্ছেদে সরকারি কর্ম কমিশন সংক্রান্ত বিষয়গুলো আছে:
-
অনুচ্ছেদ ১৩৭: সরকারি কর্ম কমিশন প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।
-
অনুচ্ছেদ ১৩৮: সদস্য নিয়োগের নিয়ম।
-
অনুচ্ছেদ ১৩৯: সদস্যদের মেয়াদ।
-
অনুচ্ছেদ ১৪০: কমিশনের দায়িত্ব।
-
অনুচ্ছেদ ১৪১: কমিশনের বার্ষিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার নিয়ম।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 2 months ago