১৮) আধুনিক ছন্দের বিচারে চর্যাপদ কোন ছন্দে রচিত?
A
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
B
স্বরবৃত্ত ছন্দ
C
পদ্যছন্দ
D
মাত্রাবৃত্ত ছন্দ
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদের ছন্দ
মূল বৈশিষ্ট্য:
-
চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
-
তবে প্রাচীন কোন ছন্দে রচিত তা নিয়ে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে।
ছন্দের প্রভাব ও মিল:
-
সংস্কৃত পজঝটিকা ছন্দের প্রভাব:
-
প্রতিটি চরণ ষোল মাত্রার
-
চরণে চার পর্ব, প্রতিটি পর্বে চার মাত্রা
-
-
শৌরসেনী প্রাকৃত প্রভাবিত পাদাকুলক ছন্দের সঙ্গেও মিল
-
পাদাকুলক ছন্দের চরণও ষোল মাত্রার, প্রতিটি চরণে চার পর্ব, প্রতি পর্বে চার মাত্রা
-
মন্তব্য:
-
চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত রীতিতে গঠিত হলেও বর্তমান সুনির্দিষ্ট মাত্রাবৃত্ত গণনা পদ্ধতি এতে মানা হয়নি।
-
আধুনিক ছন্দের বিচারে মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অধীনে বিবেচিত।

0
Updated: 2 months ago
৪) 'সান্ধ্য ভাষা' কোন গ্রন্থের সাথে সম্পর্কিত?
Created: 2 months ago
A
চর্যাপদ
B
সেক শুভোদয়া
C
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
D
মঙ্গলকাব্য
চর্যাপদ
-
সংজ্ঞা:
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনযুগের একমাত্র নিদর্শন—চর্যাপদ। অন্য নামে পরিচিত: চর্যাচর্যবিনিশ্চয়, চর্যাগীতিকোষ, চর্যাগীতি। -
ধরন:
বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/গানের সংকলন। -
বিষয়বস্তু:
-
বৌদ্ধ ধর্ম অনুযায়ী সাধনভজনের তত্ত্ব প্রকাশ।
-
চর্যাগুলো রচনা করেছেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
-
চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের চর্চা ও শিক্ষার বিষয়বস্তু উঠে এসেছে।
-
-
আবিষ্কার:
-
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক নেপালের রয়েল লাইব্রেরি থেকে ১৯০৭ সালে আবিষ্কৃত।
-
এটি বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন।
-
-
ভাষা:
-
চর্যাপদের ভাষা: ‘সন্ধ্যা’ বা ‘সান্ধ্য ভাষা’।
-
ভাষা কখনও স্পষ্ট, কখনও অস্পষ্ট, তাই একে ‘আলো-আঁধারি’ ভাষা বলা হয়।
-
-
ছন্দ:
-
চর্যাপদের পদগুলো প্রাচীন ছন্দে রচিত, যা আধুনিক ছন্দের বিচারে মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অধীনে বিবেচ্য।
-
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 2 months ago
চর্যাপদে কোন ধর্মমতের কথা আছে?
Created: 1 month ago
A
খ্রিস্টধর্ম
B
প্যাগনিজম
C
জৈনধর্ম
D
বৌদ্ধধর্ম
চর্যাপদ ও বৌদ্ধধর্ম
-
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন। এটি মূলত বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা বা গানের সংকলন।
-
চর্যাগুলো লিখেছিলেন বৌদ্ধ সহজিয়ারা, তাই এতে বৌদ্ধধর্ম ও তাদের ধর্মমতের উল্লেখ পাওয়া যায়।
-
১৯০৭ সালে ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
পরে ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ উদ্ধার করেন, যা অনুবাদ করেছিলেন কীর্তিচন্দ্র।
-
বাংলা সাহিত্যের আদি যুগে লিখিত একমাত্র নিদর্শন হিসেবেই চর্যাপদকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
চর্যাপদের তিব্বতি ভাষা অনুবাদ করেন কে?
Created: 1 month ago
A
শান্তিদেব
B
কীর্তিচন্দ্র
C
প্রবোধচন্দ্র
D
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ বা গানের সংকলন, যা বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন হিসেবে পরিচিত। ১৯০৭ সালে ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
চর্যাপদের চর্যাগুলো বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন এবং এতে বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কিত চিন্তাধারা প্রতিফলিত হয়েছে। চর্যাপদকে তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র। ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতী ভাষার অনুবাদ আবিষ্কার করেন।

0
Updated: 1 month ago