A
কাহ্নপা
B
কুক্কুরীপা
C
বিরুপা
D
ভুসুকুপা
উত্তরের বিবরণ
কুক্কুরীপা
-
সময়কাল: ৮ম শতক
-
বাসিন্দা: তিব্বতের কাছে কোনো অঞ্চল
-
পদসংখ্যা: ২টি
-
বিশেষ মন্তব্য: ড. সুকুমার সেন মনে করেন কুক্কুরীপার ভাষার সঙ্গে নারীর ভাষার মিল আছে, তবে নিশ্চিত প্রমাণ নেই যে তিনি মহিলা কবি ছিলেন
-
উল্লেখযোগ্য পঙ্ক্তি:
“দিবসহি বহূড়ী কাউহি ডর ভাই। রাতি ভইলে কামরু জাই”

0
Updated: 2 weeks ago
মৈমনসিংহ গীতিকা সম্পাদনা করেন কে?
Created: 2 weeks ago
A
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
B
ড. সুকুমার সেন
C
ড. দীনেশচন্দ্র সেন
D
ড. মমতাজ উদ্দিন
মৈমনসিংহ গীতিকা
-
বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের প্রচলিত গানসমূহ
-
সংগ্রহকারী: চন্দ্রকুমার দে, আগ্রহ: ড. দীনেশচন্দ্র সেন
-
প্রকাশ: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯২৩, সম্পাদনা: ড. দীনেশচন্দ্র সেন
-
বিশ্বের ২৩টি ভাষায় অনূদিত
মৈমনসিংহ অঞ্চলের জনপ্রিয় পালা:
-
মহুয়া
-
মলুয়া
-
চন্দ্রাবতী ও জয়চন্দ্র
-
কমলা
-
দেওয়ান ভাবনা
-
দস্যু কেনারাম
-
রূপবতী
-
কঙ্ক ও লীলা
-
কাজলরেখা
-
দেওয়ান মদিনা

0
Updated: 2 weeks ago
লোকসাহিত্য কাকে বলে?
Created: 1 month ago
A
গ্রামীণ নরনারীর প্রণয় সংবলিত উপাখ্যানকে
B
লোক সাধারণের কল্যাণে দেবতার স্তুতিমূলক রচনাকে
C
লোকের মুখে মুখে প্রচলিত কাহিনী, গান, ছড়া ইত্যাদিকে
D
গ্রামীণ অশিক্ষিত ও অখ্যাত লোকের সৃষ্ট রচনাকে
মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়া কাহিনী, গান, ছড়া ইত্যাদির সংকলনই হলো লোকসাহিত্যের বিভিন্ন ধারা।
লোকসাহিত্য
লোকসাহিত্য হলো এমন এক ধরনের মৌখিক সাহিত্য, যা পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য ও সমকালীন বাস্তবতার সংমিশ্রণে জন্ম নেয়। এটি কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষের সম্মিলিত মনন ও অভিজ্ঞতার প্রকাশ।
সাধারণত গ্রামীণ জনগোষ্ঠী, যাদের মধ্যে লেখাপড়ার সুযোগ সীমিত, তারা স্মৃতি ও শ্রবণশক্তির মাধ্যমে এই সাহিত্য রক্ষা ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছে দেয়। যদিও এর সূচনা কোনো একজন মানুষের সৃষ্টির মাধ্যমে হতে পারে, তবুও দীর্ঘকাল ধরে সমাজের সম্মিলিত অংশগ্রহণে এটি সমৃদ্ধ ও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়। ফলে লোকসাহিত্য হয়ে ওঠে সমাজের ঐতিহ্য, ভাবনা, অনুভব এবং নৈতিক মূল্যবোধের ধারক ও বাহক।
লোকসাহিত্য কেবল সাহিত্যের এক ধারা নয়, এটি একটি জাতির সংস্কৃতির জীবন্ত নিদর্শন। এর মধ্য দিয়েই জাতির অন্তরাত্মার ধ্বনি প্রতিফলিত হয়।
এই কারণেই বিশ্বকবির ভাষায়, লোকসাহিত্য হলো "জনপদের হৃদয়-কলরব"।
লোকসাহিত্যকে সাধারণভাবে আটটি প্রধান ধারায় শ্রেণিবদ্ধ করা যায়— যেমন:
লোকগান, গীতিকা, লোককথা, লোকনাট্য, উপকথা, ধাঁধা, ছড়া ও প্রবাদ।
উৎস: বাংলাপিডিয়া ও মাহবুবুল আলমের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস

0
Updated: 1 month ago
বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন কোনটি?
Created: 3 months ago
A
চর্যাপদ
B
শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্য
C
বঙ্গবাণী
D
অন্যমঙ্গল কাব্য
চর্যাপদ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আদি নিদর্শন।
- এটি মূলত গানের সংকলন।
- ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে এর পুথি আবিষ্কার করেন।
- চর্যাপদ রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ। সহজিয়াগণ হচ্ছেন বৌদ্ধ সহজযান পন্থি।
- চর্যাপদের পদ সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধ আছে। সুকুমার সেনের হিসাবে ৫১টি পদ এবং মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন ৫০টি পদ। চর্যাপদ ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া যাওয়ায় এই মতান্তরের সৃষ্টি।
- চর্যাপদের কবির সংখ্যা ২৩ মতান্তরে ২৪ জন।
- চর্যাপদের পদগুলো প্রাচীন কোন ছন্দে রচিত তা আজ বলা সম্ভবপর নয়। তবে আধুনিক ছন্দের বিচারে এগুলো মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অধীন বিবেচ্য।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 3 months ago