”দিবসহি বহূড়ী কাউহি ডর ভাই। রাতি ভইলে কামরু জাই”- পঙক্তিটির রচিতা কে?
A
কাহ্নপা
B
কুক্কুরীপা
C
বিরুপা
D
ভুসুকুপা
উত্তরের বিবরণ
কুক্কুরীপা
-
সময়কাল: ৮ম শতক
-
বাসিন্দা: তিব্বতের কাছে কোনো অঞ্চল
-
পদসংখ্যা: ২টি
-
বিশেষ মন্তব্য: ড. সুকুমার সেন মনে করেন কুক্কুরীপার ভাষার সঙ্গে নারীর ভাষার মিল আছে, তবে নিশ্চিত প্রমাণ নেই যে তিনি মহিলা কবি ছিলেন
-
উল্লেখযোগ্য পঙ্ক্তি:
“দিবসহি বহূড়ী কাউহি ডর ভাই। রাতি ভইলে কামরু জাই”

0
Updated: 2 months ago
দিগদর্শন' - প্রথম সংখ্যাটি কত সালের প্রকাশিত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
১৮১৮ সালে
B
১৮২৮ সালে
C
১৮৩৮ সালে
D
১৮৪৮ সালে
দিগদর্শন পত্রিকা:
বঙ্গভূমিতে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সাময়িক পত্রিকা।
দিগ্দর্শনের প্রথম সংখ্যাটি ১৮১৮ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত হয়।
এটি ছিল মাসিক পত্রিকা।
পত্রিকাটি শ্রীরামপুরের ব্যাপটিস্ট মিশন থেকে প্রকাশিত হয়।
বিখ্যাত খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারক জোশুয়া মার্শম্যান-এর পুত্র জন ক্লার্ক মার্শম্যান সম্পাদিত মাসিক সাময়িকী ছিল।
কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ গ্রন্থাগারে দিগ্দর্শনের কপিসমূহ সংরক্ষিত আছে।

0
Updated: 3 weeks ago
নিম্নের কোন গ্রন্থটি কাশীরাম দাস অনুবাদ করেছেন?
Created: 1 month ago
A
রামায়ণ
B
মহাভারত
C
ভাগবত
D
গীতা
মহাভারতের শ্রেষ্ঠ বাংলা অনুবাদক হিসেবে কাশীরাম দাস বিশেষভাবে স্বীকৃত। তিনি মহাভারত অনুবাদ করে বাংলা সাহিত্যে অমূল্য সংযোজন ঘটান। তাঁর অনুবাদকৃত মহাভারত ‘ভারত পাঁচালী’ নামে পরিচিত।
• কাশীরাম দাস
-
কাশীরাম দাসের অনুবাদকৃত মহাভারতের নাম ছিল ‘ভারত পাঁচালী’। যোগেশচন্দ্র বিদ্যানিধির মতে, এর রচনাকাল প্রায় ১৬০২-০৪ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে।
-
তিনি সম্পূর্ণ মহাভারত রচনা শেষ করতে পারেননি। কেবল আদি, সভা, বন ও বিরাট পর্ব রচনা করার পরই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
-
প্রচলিত মতে, কবির অসমাপ্ত কাব্য পরবর্তীতে তাঁর পুত্র, ভ্রাতুষ্পুত্র ও শিষ্যরা সমাপ্ত করেন।
• মহাভারত
-
মহাভারত সংস্কৃত ভাষায় রচিত এক মহাকাব্য, যার মূল রচয়িতা ছিলেন কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাসদেব।
-
বাংলায় প্রথম অনুবাদ করেন কবীন্দ্র পরমেশ্বর।
-
তিনি পরাগল খাঁর অনুরোধে অনুবাদ করেছিলেন বলে তাঁর অনুবাদকৃত সংস্করণটি পরাগলী মহাভারত নামে পরিচিত হয়।
-
কবীন্দ্র পরমেশ্বর অনুবাদকৃত গ্রন্থটির নাম ছিল বিজয়পান্ডবকথা অথবা ভারতপাঁচালী।
-
তবে মহাভারতের বাংলা অনুবাদে সর্বাধিক সার্থকতা অর্জন করেন কাশীরাম দাস, যিনি শ্রেষ্ঠ অনুবাদক হিসেবে খ্যাত।
-
তাঁর অনুবাদে মহাভারতের আদি, সভা, বন ও বিরাট পর্ব পাওয়া যায়, যা বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য সংযোজন।

0
Updated: 1 month ago
লোকসাহিত্য কাকে বলে?
Created: 2 months ago
A
গ্রামীণ নরনারীর প্রণয় সংবলিত উপাখ্যানকে
B
লোক সাধারণের কল্যাণে দেবতার স্তুতিমূলক রচনাকে
C
লোকের মুখে মুখে প্রচলিত কাহিনী, গান, ছড়া ইত্যাদিকে
D
গ্রামীণ অশিক্ষিত ও অখ্যাত লোকের সৃষ্ট রচনাকে
মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়া কাহিনী, গান, ছড়া ইত্যাদির সংকলনই হলো লোকসাহিত্যের বিভিন্ন ধারা।
লোকসাহিত্য
লোকসাহিত্য হলো এমন এক ধরনের মৌখিক সাহিত্য, যা পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য ও সমকালীন বাস্তবতার সংমিশ্রণে জন্ম নেয়। এটি কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষের সম্মিলিত মনন ও অভিজ্ঞতার প্রকাশ।
সাধারণত গ্রামীণ জনগোষ্ঠী, যাদের মধ্যে লেখাপড়ার সুযোগ সীমিত, তারা স্মৃতি ও শ্রবণশক্তির মাধ্যমে এই সাহিত্য রক্ষা ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছে দেয়। যদিও এর সূচনা কোনো একজন মানুষের সৃষ্টির মাধ্যমে হতে পারে, তবুও দীর্ঘকাল ধরে সমাজের সম্মিলিত অংশগ্রহণে এটি সমৃদ্ধ ও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়। ফলে লোকসাহিত্য হয়ে ওঠে সমাজের ঐতিহ্য, ভাবনা, অনুভব এবং নৈতিক মূল্যবোধের ধারক ও বাহক।
লোকসাহিত্য কেবল সাহিত্যের এক ধারা নয়, এটি একটি জাতির সংস্কৃতির জীবন্ত নিদর্শন। এর মধ্য দিয়েই জাতির অন্তরাত্মার ধ্বনি প্রতিফলিত হয়।
এই কারণেই বিশ্বকবির ভাষায়, লোকসাহিত্য হলো "জনপদের হৃদয়-কলরব"।
লোকসাহিত্যকে সাধারণভাবে আটটি প্রধান ধারায় শ্রেণিবদ্ধ করা যায়— যেমন:
লোকগান, গীতিকা, লোককথা, লোকনাট্য, উপকথা, ধাঁধা, ছড়া ও প্রবাদ।
উৎস: বাংলাপিডিয়া ও মাহবুবুল আলমের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস

0
Updated: 2 months ago