’মনসামঙ্গল’ কাব্যের আদি কবি কে?
A
কানা হরিদত্ত
B
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
C
মানিক দত্ত
D
দ্বিজ রামদেব
উত্তরের বিবরণ
মনসামঙ্গল কাব্য
-
বিষয়: সাপের দেবী মনসার স্তব, স্তুতি ও কাহিনি
-
ধরন: এক ধরনের পদ্মপুরাণ
-
উৎস: বাংলার প্রাকৃত জীবন ও লৌকিক জীবনাচার
-
আদি কবি: কানা হরিদত্ত
প্রধান চরিত্র:
-
সাপের দেবী মনসা
-
চাঁদ সওদাগর
-
বেহুলা
-
লখিন্দর
-
সনকা
অন্য কাব্য ও কবি:
-
চণ্ডীমঙ্গল → আদি কবি: মানিক দত্ত, প্রধান বা শ্রেষ্ঠ কবি: মুকুন্দরাম চক্রবর্তী

0
Updated: 2 months ago
বাইশা কী?
Created: 5 days ago
A
বাইশনল গ্রামের বাসিন্দা একজন কবি
B
মধ্যযুগের কাব্যে বাসিন্দা অর্থে ব্যবহৃত শব্দ
C
মৈমনসিংহ গীতিকায় ভেসে আসা অর্থে ব্যবহৃত শব্দ
D
বাইশ কবির মনসামঙ্গল কাব্য
বাইশা বলতে বোঝায় এমন একটি সংকলন যেখানে বাইশজন কবি রচিত মনসামঙ্গলের বিভিন্ন অংশ একত্রিত করা হয়েছে। এটি মূলত মনসামঙ্গলের নানা রূপ ও আঞ্চলিক বৈচিত্র্যকে একই জায়গায় উপস্থাপন করে।
-
“বাইশা” শব্দটি এসেছে “বাইশ” অর্থাৎ সংখ্যা ২২ থেকে, যা সংকলনের কবিদের সংখ্যাকে নির্দেশ করে।
-
এতে প্রতিটি কবির রচিত অংশে মনসার পূজা, জীবনকাহিনি ও ভক্তদের বিভিন্ন উপাখ্যান বর্ণিত হয়েছে।
-
এই সংকলনের মাধ্যমে বাংলা কাব্যধারায় মনসামঙ্গলের বৈচিত্র্যপূর্ণ আখ্যান ও আঞ্চলিক রূপ সংরক্ষিত হয়েছে।

0
Updated: 5 days ago
একটি সম্পূর্ণ মঙ্গলকাব্যের সাধারণত কয়টি অংশ থাকে?
Created: 1 month ago
A
২টি
B
৪টি
C
৫টি
D
৬টি
মঙ্গলকাব্য:
- মঙ্গলকাব্য মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের এক বিশেষ ধারা। দেবমাহাত্ম্যমূলক সমাজচিত্রভিত্তিক এ কাব্যই বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও নিজস্ব কাহিনীকাব্য। এ কাব্য পাঠ বা শ্রবণ করলে সকল প্রকার অকল্যাণ নাশ ও সর্ববিধ মঙ্গল লাভ হয় এরূপ ধারণা থেকেই এর নাম হয়েছে মঙ্গলকাব্য।
- পনের থেকে আঠারো শতকের শেষ অবধি এই ধারার কাব্য বাংলায় রচিত হয়।- মঙ্গলকাব্যের প্রধান শাখা ৩টি। যথা: মনসামঙ্গল, চণ্ডীমঙ্গল, অন্নদামঙ্গল।
একটি সম্পূর্ণ মঙ্গলকাব্যে সাধারণত ৫টি অংশ থাকে।
যথা:
- বন্দনা,
- আত্মপরিচয়,
- দেবখণ্ড,
- মর্ত্যখণ্ড,
- শ্রুতিফল।

0
Updated: 1 month ago
মঙ্গলকাব্যের কবি হচ্ছেন -
Created: 1 month ago
A
ঘনরাম চক্রবর্তী
B
দ্বিজমাধম
C
কানাহারি দত্ত
D
সবগুলোই
মঙ্গলকাব্য হলো দেবমাহাত্ম্যমূলক ও সমাজচিত্রভিত্তিক কাব্য, যা বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিজস্ব কাহিনীকাব্য হিসেবে পরিচিত। ধারণা করা হয়, পনেরো থেকে আঠারো শতকের শেষ অবধি এই ধারার কাব্য বাংলায় রচিত হয়। এই কাব্য রচনার মূল কারণ, প্রায় সব কবিই স্বপ্নে দেবতাদের নির্দেশ পেয়ে রচনা করেছেন।
মঙ্গলকাব্যের প্রধান শাখা তিনটি: মনসামঙ্গল, চণ্ডীমঙ্গল ও ধর্মমঙ্গল। এর প্রধান দেবতারা হলেন মনসা, চণ্ডী ও ধর্মঠাকুর, যেখানে মনসা ও চণ্ডী দেবীর প্রাধান্য বেশি। একটি সার্থক মঙ্গলকাব্য সাধারণত পাঁচটি অংশে বিন্যস্ত থাকে: বন্দনা, আত্মপরিচয়, দেবখণ্ড, মর্ত্যখণ্ড ও শ্রুতিফল।
মঙ্গলকাব্যে ৬২ জন কবি পরিচিত, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য: কানাহারি দত্ত, মানিক দত্ত, ভারতচন্দ্র, দ্বিজমাধম ও ঘনরাম চক্রবর্তী। দেবী মনসা ও চণ্ডী সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ এবং এঁরা মূলত অনার্যদের দেব-দেবী।

0
Updated: 1 month ago