’গোরক্ষবিজয়’ কাব্যগ্রন্থের লেখক কে?
A
সৈয়দ হামজা
B
গোঁজলা গুই
C
আলাওল
D
শেখ ফয়জুল্লাহ
উত্তরের বিবরণ
শেখ ফয়জুল্লাহ
-
মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের কবি (১৬শ শতক)
-
জন্মস্থান: বিভিন্ন মতানুসারে পশ্চিমবঙ্গের বারাসত, দক্ষিণ রাঢ় বা কুমিল্লা
-
প্রধান কাব্যগ্রন্থ:
-
সত্যপীরবিজয়
-
গোরক্ষবিজয়
-
গাজীবিজয়
-
-
অন্যান্য রচনা: জয়নবের চৌতিশা, সুলতান জমজমা, রাগমালা, পদাবলী

0
Updated: 2 months ago
'শ্যামলী' - কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেন কে?
Created: 1 week ago
A
নির্মলেন্দু গুণ
B
বন্দে আলী মিয়া
C
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
মীর মশাররফ হোসেন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শ্যামলী’ কাব্যগ্রন্থ ১৯৩৬ সালে প্রকাশিত হয়। এটি তাঁর শেষ পর্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংকলন, যেখানে কাব্যরস, দার্শনিকতা ও জীবনের প্রতি উদাসীন মনোভাব বিশেষভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
-
‘শ্যামলী’ নামটি এসেছে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের নির্মিত মাটির ঘরের নাম থেকে।
-
এতে মোট বাইশটি কবিতা সংকলিত হয়েছে, যা মূলত গদ্যকবিতা আকারে রচিত।
-
এই কাব্যগ্রন্থের ভাব ও শৈলীতে ‘পুনশ্চ’ কাব্যের সঙ্গে মিল লক্ষ্য করা যায়।
-
এর অন্তর্ভুক্ত পরিচিত কবিতাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘আমারই চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ’, ‘বাঁশিওয়ালা’, এবং ‘হঠাৎ দেখা’।
-
কাব্যটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো রবীন্দ্রনাথের নিরলঙ্কার ভাষা, উদাসীনতা, এবং জীবনের প্রতি আসক্তির বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি, যা তাঁর কাব্যজীবনের পরিণত ভাবনার প্রতিফলন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে —
মানসী, সোনার তরী, চিত্রা, কল্পনা, ক্ষণিকা, গীতাঞ্জলি, বলাকা, পূরবী, পুনশ্চ, পত্রপূট, সেঁজুতি, শেষলেখা, ও কবি-কাহিনী প্রভৃতি।

0
Updated: 1 week ago
মধ্যযুগের ব্যতিক্রমী সাহিত্যধারা-
Created: 4 weeks ago
A
জীবনী সাহিত্য
B
বৈষ্ণব সাহিত্য
C
লোক সাহিত্য
D
মঙ্গলকাব্য
মধ্যযুগের ব্যতিক্রমী সাহিত্যধারা হলো লোকসাহিত্যধারা। বাংলা সাহিত্যে ১২০১ থেকে ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্তকালকে মধ্যযুগ বলা হয়। এই সময়ের সাহিত্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ধর্মকেন্দ্রিকতা, যেখানে মানবতার গুরুত্ব তুলনামূলকভাবে গৌণ।
মধ্যযুগের প্রধান সাহিত্যধারা:
-
বৈষ্ণব সাহিত্য
-
মঙ্গলকাব্য
-
শাক্তপদ
-
অনুবাদ সাহিত্য
-
নাথ সাহিত্য
-
জীবনী সাহিত্য বা চরিত সাহিত্য
-
লোকসাহিত্যধারা
বৈশিষ্ট্য:
-
বৈষ্ণব সাহিত্যধারা পরিমাণ ও গুণের দিক থেকে সমৃদ্ধ।
-
লোকসাহিত্যধারা ব্যতিক্রমী, কারণ এতে ধর্ম বা দেব-দেবীর চেয়ে মানুষের গুরুত্ব বেশি এবং মানবিক প্রণয় ও কামনাকে প্রধান বিবেচনা করা হয়েছে।
উৎস:

0
Updated: 4 weeks ago
"শূণ্যপুরান' কোন ধরনের রচনা?
Created: 5 days ago
A
চম্পুকাব্য
B
বিরহ সংগীত
C
রাগ-তাল বিষয়ক শাস্ত্রীয় গ্রন্থ
D
গীতি সংকলন
‘শূন্যপুরাণ’ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন ধর্মতাত্ত্বিক ও দার্শনিক গ্রন্থগুলোর মধ্যে অন্যতম, যা অন্ধকার যুগের সাহিত্য নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত। এটি রামাই পণ্ডিত রচিত একটি ধর্মীয় তত্ত্বগ্রন্থ, যেখানে মূলত বৌদ্ধ ধর্মের দর্শন ও শূন্যবাদ তত্ত্ব বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
গ্রন্থটি ধর্মপূজা পদ্ধতি নির্ভর, যেখানে শূন্যতত্ত্ব তথা অদ্বৈত ও অনিত্য দর্শনকে ধর্মীয় আচারব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।
-
এটি গদ্য ও পদ্য মিশ্রিত রচনা, অর্থাৎ এক ধরনের চম্পুকাব্য, যা বাংলা ভাষার প্রারম্ভিক সাহিত্যরীতির এক অনন্য নিদর্শন।
-
‘শূন্যপুরাণ’ গ্রন্থটি মোট ৫১টি অধ্যায়ে বিভক্ত, যার প্রথম পাঁচটি অধ্যায়ে সৃষ্টিতত্ত্ব আলোচিত হয়েছে।
-
ভাষা ও বিষয়বস্তুর বিশ্লেষণ থেকে ধারণা করা হয়, গ্রন্থটি ত্রয়োদশ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যে রচিত।
-
এটি প্রথমে নামহীন পুথি আকারে পাওয়া গিয়েছিল। পরবর্তীতে বিশ্বকোষ প্রণেতা নাগেন্দ্রনাথ বসু তিনটি পুথির পাঠ সংগ্রহ করে ১৩১৪ বঙ্গাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে ‘শূন্যপুরাণ’ নামে প্রকাশ করেন।
-
গ্রন্থে বৌদ্ধ ধর্মের তত্ত্বকথা ও আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে, যা বাংলা ধর্মীয় সাহিত্যের প্রাচীন ধারা ও দর্শনচেতনার সাক্ষ্য বহন করে।

0
Updated: 5 days ago