মারমা সমাজের ‘সার্কেল’ প্রধানকে কী বলা হয়?
A
কারবারি
B
হেডম্যান
C
রাজা
D
মোড়ল
উত্তরের বিবরণ
মারমাদের প্রশাসনিক সর্বোচ্চ স্তরের প্রধানকে “রাজা” বলা হয়।
• মারমা নৃগোষ্ঠী:
-
মারমা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
-
তাদের অধিকাংশ পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলা—রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে বসবাস করে।
-
মারমারা মঙ্গোলয়েড বর্ণগোষ্ঠীর অন্তর্গত।
-
তাদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে।
-
ভাষাতত্ত্ববিদদের মতে, মারমাদের ভাষা ‘ভোট বর্মী’ শাখার বর্মী দলভুক্ত একটি ভাষা। বর্ণমালার নাম ম্রাইমাজা।
-
বাম থেকে ডানদিকে লেখার রীতি অনুসরণ করে এবং এটি উপমহাদেশীয় প্রাচীন ব্রাহ্মী লিপি থেকে উদ্ভূত।
-
মারমা সমাজে তিন স্তরবিশিষ্ট প্রথাগত রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা বিদ্যমান।
-
এই কাঠামোর সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্বে থাকেন ‘সার্কেল প্রধান’, যাকে ‘রাজা’ বলা হয়।
-
সার্কেল প্রধান মূলত একটি বৃহৎ এলাকার (যেমন একটি উপজেলাভিত্তিক অঞ্চল) প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন।
-
তার অধীনে মৌজা পর্যায়ে হেডম্যান এবং গ্রাম পর্যায়ে কারবারি কাজ করে।
-
সার্কেল প্রধানের প্রধান দায়িত্ব হলো জুম ট্যাক্স সংগ্রহ করা।
সূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
মারমারা কোন কোন জেলায় বেশি বসবাস করে?
Created: 1 month ago
A
কক্সবাজার ও সিলেট
B
বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি
C
সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা
D
ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা
মারমা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আদিবাসী জনগোষ্ঠী, যারা পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলায় বসবাস করে এবং তাদের নিজস্ব ভাষা, ধর্ম ও সামাজিক প্রথা রয়েছে। সাংগ্রাই উৎসব মারমা সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব হিসেবে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
আদিবাসী সংখ্যা অনুযায়ী স্থান: দ্বিতীয় বৃহত্তম
-
বাসস্থান: রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি জেলায়
-
ভাষা: নিজস্ব ভাষা
-
ধর্ম: বৌদ্ধ
-
সর্ববৃহৎ উৎসব: সাংগ্রাই, যা মূলত বৌদ্ধ নববর্ষ উদ্যাপনের রূপ এবং এপ্রিল মাসে পালিত হয়
-
প্রথাগত প্রশাসনিক ব্যবস্থা:
-
গ্রাম পর্যায়ের প্রধান: কারবারি
-
মৌজা পর্যায়ের প্রধান: হেডম্যান
-
সার্কেল পর্যায়ের প্রধান: রাজা
-

0
Updated: 1 month ago
মারমাদের সবচেয়ে বড় উৎসবের নাম কী?
Created: 1 week ago
A
বিজু
B
রাশ
C
সাংগ্রাই
D
বাইশু
মারমা জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় উৎসবের নাম হলো সাংগ্রাই, যা মূলত তাদের বর্ষবরণ উৎসব। এটি শুধু একটি উৎসব নয়, বরং তাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সামাজিক বন্ধনের প্রতীক হিসেবে পালন করা হয়।
বৈসাবি উৎসব সম্পর্কে মূল তথ্য:
-
পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর কাছে বর্ষবরণ উৎসব সবচেয়ে বড় সামাজিক অনুষ্ঠান।
-
বাংলাদেশের তিনটি বড় নৃগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসবকে একত্রে বৈসাবি বলা হয়।
-
ত্রিপুরা সম্প্রদায় তাদের উৎসবকে বলে বৈসুখ/বৈসু/বাইশু,
-
মারমা সম্প্রদায় বলে সাংগ্রাই,
-
চাকমা সম্প্রদায় বলে বিজু।
-
এই তিনটি উৎসব মিলে গড়ে ওঠে “বৈসাবি”।
-
সাধারণত বছরের শেষ দুইদিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় এই উৎসব পালিত হয়।
মারমা জনগোষ্ঠী ও সাংগ্রাই উৎসবের বিস্তারিত:
-
মারমা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
-
এদের অধিকাংশই রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় বসবাস করে।
-
তারা মঙ্গোলয়েড বর্ণগোষ্ঠীর অন্তর্গত এবং তাদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে, যা ভোট বর্মী শাখার বর্মী দলভুক্ত একটি ভাষা।
-
মারমা সমাজে তিন স্তরের প্রথাগত প্রশাসনিক ব্যবস্থা আছে:
-
গ্রাম পর্যায়ের প্রধান – কারবারি
-
মৌজা পর্যায়ের প্রধান – হেডম্যান
-
সার্কেল প্রধান – রাজা
-
-
সাংগ্রাই শব্দটি এসেছে “সাক্রাই” থেকে, যার অর্থ সংক্রান্তি।
-
এই উৎসব সাধারণত বছরের শেষ দুইদিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হয়।
-
উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হলো পানিখেলা বা জলোৎসব, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা নৌকা বা বড় পাত্রে পানি রেখে একে অপরকে পানি ছিটিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
অন্যদিকে, রাস হলো মণিপুরি সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব, যা শরতের পূর্ণিমায় পালিত হয়।

0
Updated: 1 week ago
'মারমারা' পূর্বে কী নামে পরিচিত ছিল?
Created: 3 weeks ago
A
মগ
B
মান্দি
C
বোডো
D
ডাইংনেট
মারমা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আদিবাসী জাতি হিসেবে পরিচিত। তাদের ঐতিহ্য, ধর্ম, প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং সংস্কৃতি পার্বত্য অঞ্চলের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে বিশেষ স্থান অধিকার করে।
-
মারমা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আদিবাসী।
-
তারা মূলত রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি জেলার তিনটি পার্বত্য জেলায় বসবাস করে।
-
মারমারা মূলত মায়ানমারের আরাকানিদের বংশধর।
-
তারা মঙ্গোলয়েড বর্ণগোষ্ঠীর অন্তর্গত।
-
বহু পূর্বে মারমারা ‘‘মগ’’ নামে পরিচিত ছিল, বর্তমানে নিজেদের মারমা বলে অভিহিত করে।
-
‘মারমা’ শব্দটি মারমাজা বা ম্রাইমাচা নামক উপমহাদেশীয় প্রাচীন ব্রাহ্মী হস্তাক্ষর লিপি থেকে উদ্ভূত।
-
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে সরকারিভাবে মারমা জনগোষ্ঠী স্বতন্ত্র উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
-
মারমারা মূলত বৌদ্ধ ধর্মালম্বী।
-
তাদের বর্ষবরণ উৎসবের নাম ‘সাংগ্রাই’।
-
মারমা সম্প্রদায়ের মধ্যে তিন স্তরবিশিষ্ট প্রথাগত রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা বিদ্যমান:
-
গ্রাম পর্যায়ের প্রধান: কারবারি
-
মৌজা পর্যায়ের প্রধান: হেডম্যান
-
সার্কেল প্রধান: রাজা
-
-
গ্রামের কারবারি, মৌজার হেডম্যান এবং সার্কেল প্রধানের মূল দায়িত্ব হলো জুম ট্যাক্স সংগ্রহ করা।
-
মারমাদের গ্রামকে রোয়া বলা হয়।

0
Updated: 3 weeks ago