অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা'র কথা বলা হয়েছে কোন অনুচ্ছেদে?
A
১৩নং অনুচ্ছেদে
B
১৫নং অনুচ্ছেদে
C
১৬নং অনুচ্ছেদে
D
১৭নং অনুচ্ছেদে
উত্তরের বিবরণ
সংবিধানের ১৭ নং অনুচ্ছেদ – অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা
রাষ্ট্র—
-
(ক) একই পদ্ধতির গণমুখী ও সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সকল বালক ও বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
-
(খ) সমাজের প্রয়োজনের সঙ্গে শিক্ষাকে সঙ্গতিপূর্ণ করিবার জন্য এবং সেই প্রয়োজন পূরণের উদ্দেশ্যে যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও সদিচ্ছাপ্রণোদিত নাগরিক সৃষ্টির ব্যবস্থা করবে।
-
(গ) আইনের দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূর করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অন্যদিকে:
-
১৩ নং অনুচ্ছেদ → মালিকানার নীতি।
-
১৫ নং অনুচ্ছেদ → মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা।
-
১৬ নং অনুচ্ছেদ → পল্লী বিদ্যুতায়ন।
সূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন সংবিধানের কত অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গঠিত?
Created: 1 month ago
A
১৩৯
B
১৩৭
C
১৩৮
D
১৪০
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন একটি সাংবিধানিক সংস্থা, যার মূল উদ্দেশ্য হলো সরকারি চাকরিতে সুষ্ঠু নিয়োগ নিশ্চিত করা। শুধু নিয়োগ নয়, কমিশন সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতি, বদলি, শৃঙ্খলা ও আপিল সংক্রান্ত বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বাংলাদেশের সংবিধানে এর গঠন, দায়িত্ব ও কার্যাবলি স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে এবং রাষ্ট্রপতি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ প্রদান করে থাকেন। বর্তমানে মো. সোহরাব হোসাইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
-
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের প্রধান ভূমিকা হলো সরকারি চাকরি ও বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রদান।
-
এটি পদোন্নতি, পদায়ন, বদলি, শৃঙ্খলা ও আপিল সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত।
-
সংবিধানের পাঁচটি অনুচ্ছেদ কমিশনের গঠন ও কার্যাবলি নির্ধারণ করে।
-
রাষ্ট্রপতি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ প্রদান করেন।
সংবিধান অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক অনুচ্ছেদসমূহ হলো:
-
অনুচ্ছেদ ১৩৭: সরকারি কর্ম কমিশনের প্রতিষ্ঠা
-
অনুচ্ছেদ ১৩৮: সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য নিয়োগ
-
অনুচ্ছেদ ১৩৯: সদস্যপদের মেয়াদ
-
অনুচ্ছেদ ১৪০: সরকারি কর্ম কমিশনের দায়িত্ব

0
Updated: 1 month ago
সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ অনুসারে কাউকে নিজের বিপক্ষে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা যাবে না?
Created: 3 weeks ago
A
অনুচ্ছেদ - ৩৪
B
অনুচ্ছেদ - ৩২
C
অনুচ্ছেদ - ৩৫
D
অনুচ্ছেদ - ৩৩
বাংলাদেশের সংবিধান গণপরিষদের মাধ্যমে রচিত হয় এবং এটি দেশের মৌলিক আইন হিসেবে দেশের রাষ্ট্রনীতি ও নাগরিক অধিকার নির্ধারণ করে। সংবিধানটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২, যা ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে কার্যকর হয়।
-
সংগঠন: সংবিধানে মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ এবং ১১টি অধ্যায় রয়েছে।
-
মৌলিক ফৌজদারি ধারা (অনুচ্ছেদ ৩৫ অনুসারে):
-
কেউ কোনো অপরাধ করলে, সেই অপরাধ সংঘটনের সময় কার্যকর আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে; নতুন কোনো কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করা যাবে না।
-
একবার যদি কাউকে কোনো অপরাধের জন্য বিচার ও শাস্তি দেওয়া হয়, তবে একই অপরাধে পুনরায় বিচার বা শাস্তি দেওয়া যাবে না।
-
ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ উঠলে, অভিযুক্ত ব্যক্তি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালতে দ্রুত ও প্রকাশ্যে বিচার পাওয়ার অধিকারী।
-
কাউকে নিজের বিপক্ষে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা যাবে না।
-
কাউকে নির্যাতন করা যাবে না, নিষ্ঠুর বা অমানবিক শাস্তি দেওয়া যাবে না, কিংবা লজ্জাজনক আচরণ করা যাবে না।
-
প্রচলিত আইনে যে শাস্তি বা বিচারপদ্ধতি নির্ধারিত আছে, তা এই অনুচ্ছেদের (৩) বা (৫) দফার দ্বারা প্রভাবিত হবে না।
-
-
প্রধান সংবিধানিক অধিকারসমূহ:
-
অনুচ্ছেদ ৩২: জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার অধিকার সংরক্ষণ।
-
অনুচ্ছেদ ৩৩: গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ।
-
অনুচ্ছেদ ৩৪: জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধকরণ।
-

0
Updated: 3 weeks ago
সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে সকল নাগরিকের আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারের উল্লেখ রয়েছে?
Created: 4 weeks ago
A
৩৪ নং
B
২৭ নং
C
৩২ নং
D
৩১ নং
বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী নাগরিকের আইনের আশ্রয় ও অধিকার:
-
৩১ নং অনুচ্ছেদ: সকল নাগরিকের আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার স্বীকৃত।
-
২৭ নং অনুচ্ছেদ: “সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।”
-
৩২ নং অনুচ্ছেদ: জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষা করা।
-
৩৪ নং অনুচ্ছেদ: জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধকরণ।

0
Updated: 4 weeks ago