'তুমি অধম, তাই বলে আমি উত্তম হব না কেন?' এই প্রবাদটির রচয়িতা কে?
A
মীর মশাররফ হোসেন
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উত্তরের বিবরণ
কপালকুণ্ডলা ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
উল্লেখযোগ্য সংলাপ:
-
“তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?” – এটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি খ্যাতনামা সংলাপ।
কপালকুণ্ডলা উপন্যাস:
-
প্রকাশকাল: ১৮৬৬
-
লেখক: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
এটি তার দ্বিতীয় উপন্যাস।
-
কাহিনি কেন্দ্রিত কপালকুণ্ডলা নামের এক নিগূঢ় নারী চরিত্রের উপর।
-
উপন্যাসে তার সমাজবদ্ধতা, নবকুমারের সঙ্গে বিয়ে, এবং সমাজের সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখানো হয়েছে।
-
মূল থিম: কপালকুণ্ডলার রহস্য উদঘাটন।
-
উল্লেখযোগ্য সংলাপ:
-
“পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ” – বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক সংলাপ হিসেবে গণ্য।
-
“তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?”
-
-
বিশেষত্ব: প্রকৃতির সৌন্দর্য, চরিত্রের রহস্যময়তা, এবং কাহিনির ট্র্যাজিক সমাপ্তি।
-
সংস্করণ: বঙ্কিমচন্দ্র জীবদ্দশায় ৮টি সংস্করণ প্রকাশিত।
-
নাট্য ও উপসংহার রূপান্তর:
-
গিরিশচন্দ্র ঘোষ নাট্যরূপে রূপান্তর (১৮৭৩)।
-
দামোদর মুখোপাধ্যায় উপন্যাসের উপসংহার লিখে ‘মৃন্ময়ী’ নামে প্রকাশ করেন।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
কপালকুণ্ডলা
-
নবকুমার
-
কাপালিক
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়: সংক্ষিপ্ত পরিচয়
-
জন্ম: ১৮৩৮, কাঁঠালপাড়া, চব্বিশ পরগনা জেলা
-
পেশা: ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক, নবজাগরণের গুরুত্বপূর্ণ পুরুষ
-
বাংলা উপন্যাসের জনক হিসেবে পরিচিত
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: ‘ললিতা তথা মানস’ (১৮৫৬)
-
প্রথম উপন্যাস: ‘রাজমোহনস ওয়াইফ’ (ইংরেজিতে)
-
বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস: ‘দুর্গেশনন্দিনী’ (১৮৬৫)
-
প্রখ্যাত ত্রয়ী উপন্যাস: আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী, সীতারাম
-
মৃত্যু: ১৮৯৪
অন্যান্য উপন্যাস:
-
কপালকুণ্ডলা, মৃণালিনী, বিষবৃক্ষ, ইন্দিরা, যুগলাঙ্গুরীয়, চন্দ্রশেখর, রাধারানী, রজনী, কৃষ্ণকান্তের উইল, রাজসিংহ
প্রবন্ধ রচনা:
-
লোকরহস্য, কমলাকান্তের দপ্তর, বিবিধ সমালোচনা, সাম্য, কৃষ্ণচরিত্র, ধর্মতত্ত্ব অনুশীলন ইত্যাদি
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
'ধরি মাছ না ছুঁই পানি' প্রবাদের অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
বুদ্ধির জোরে কষ্ট এড়িয়ে কার্যসিদ্ধি
B
নিজেকে সংশ্লিষ্ট না করা
C
নির্বুদ্ধিতা- চালাকি ধরা পড়া
D
দৃঢ়চিত্ত ব্যক্তি ক্ষতির ভয়ে ভীত হয় না
বাংলা ভাষায় প্রচলিত প্রবচনগুলো সাধারণত বুদ্ধি, অভিজ্ঞতা ও জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষা প্রকাশ করে। এগুলোর মাধ্যমে সমাজের নানা বাস্তবতাকে সংক্ষেপে বোঝানো হয়। নিচে কিছু প্রবচনের অর্থ দেওয়া হলো—
ধরি মাছ না ছুঁই পানি অর্থ বুদ্ধির জোরে কষ্ট এড়িয়ে কার্যসিদ্ধি করা।
কানে দিয়েছি তুলো পিঠে বেঁধেছি কুলো অর্থ কোনো বিষয়ে নিজেকে সম্পূর্ণ অসংশ্লিষ্ট রাখা।
ঠাকুর ঘরে কে? না, আমি কলা খাইনি অর্থ নির্বুদ্ধিতা বা চালাকি ধরা পড়ে যাওয়া।
ভাঙবে তো মচকাবে না অর্থ দৃঢ়চিত্ত ব্যক্তি ক্ষতির ভয়কে তোয়াক্কা করে না।
উৎস:

0
Updated: 1 month ago
অনিষ্ট করতে গিয়ে ভাল করা কে কী বলে?
Created: 1 month ago
A
ভিজে বিড়াল
B
শাপে বর
C
কপাল ফেরা
D
অদৃষ্টের পরিহাস
ভিজে বেড়াল(বাইরে নীরিহ ভেতরে ধূত): ভিজে বেড়ালদের অনেক সময় চেনা যায় না।
শাপে বর(অনিষ্টে ইস্ট লাভ): আমার বড়মামা চাকরি না পেয়ে ব্যবসায়ে ঢুকেছেন, এতে তাঁর শাপে বর হয়েছে।
কপাল ফেরা (সৌভাগ্য লাভ): ছেলেটা হঠৎ বিদেশে চাকরি পাওয়ায় চাচা - চাচির কপাল ফিরেছে।
অদৃষ্টের পরিহাস (ভাগ্যবিড়ম্বনা):অদৃষ্টের পরিহাসে অনেক ধনকুবের পথের ফকির হয়ে গেল।

0
Updated: 1 month ago
'উড়ো খই গোবিন্দায় নমঃ' প্রবাদ প্রবচনের অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
নাগালের বহির্ভূত জিনিস দানে ব্যবহৃত
B
বিপদ বা প্রতিকূল অবস্থা সব সময় থাকে না
C
অল্প বর্ষায় বেশি শীত/অল্প কাজে অধিক লাভ
D
ইচ্ছাশক্তিতে কঠিন কাজ করা সম্ভব
প্রবাদ ও প্রবচনের অর্থ
-
‘উড়ো খই গোবিন্দায় নমঃ’
-
অর্থ: নাগালের বহির্ভূত জিনিস দানে ব্যবহৃত।
-
-
ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়
-
অর্থ: ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে কঠিন কাজও সম্ভব।
-
-
উন বর্ষা দুনো শীত
-
অর্থ: অল্প বর্ষায় বেশি শীত / অল্প কাজে অধিক লাভ।
-
-
এক মাঘে শীত যায় না
-
অর্থ: বিপদ বা প্রতিকূল অবস্থা সব সময় থাকে না।
-
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 1 month ago