'মা ছিল না বলে কেউ তার চুল বেঁধে দেয়নি।' এটি একটি-
A
জটিল বাক্য
B
যৌগিক বাক্য
C
সরল বাক্য
D
মিশ্র বাক্য
উত্তরের বিবরণ
১. সরল বাক্য
যে বাক্যে শুধুমাত্র একটি সমাপিকা ক্রিয়া থাকে, তাকে সরল বাক্য বলা হয়।
উদাহরণ:
-
পাখিগুলো নীল আকাশে উড়ছে।
-
তিনি ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন।
মুল বিষয়: একটিমাত্র ক্রিয়া থাকলে বাক্যটি সরল।
২. জটিল বাক্য
জটিল বাক্যে একটি বাক্য অন্য বাক্যের সঙ্গে নির্ভরশীল বা সাপেক্ষ থাকে।
এক্ষেত্রে কখনো কখনো ‘বলে’ বা অন্যান্য ক্রিয়াজাত অনুসর্গ যেমন: করে, থেকে, দিয়ে, ধরে, হতে ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।
মুল নিয়ম: ‘বলে’ যদি ক্রিয়া বোঝায় না, তবে এটি ক্রিয়াজাত অনুসর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে এবং বাক্যটি জটিল।
উদাহরণ:
-
মা ছিল না বলে কেউ তার চুল বেঁধে দেয়নি।
-
তুমি আসবে বলে আমি অপেক্ষা করছি।
-
তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা, সাকিনা বিবির কপাল ভাঙল।
মন্তব্য: অনেকেই জটিল ও মিশ্র বাক্যকে একেরূপ ধরে নেন। ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় মিশ্র বাক্যকে জটিলের সমার্থক বলেছেন, কিন্তু এটি পরীক্ষায় গ্রহণযোগ্য নয়।
ক্রিয়াজাত অনুসর্গের উদাহরণ:
-
ভালো করে পড়াশোনা করো।
-
মন দিয়ে কাজ করো।
৩. যৌগিক বাক্য
যখন দুই বা ততোধিক নিরপেক্ষ বাক্য (সরল বা মিশ্র) একত্রিত হয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বাক্য গঠন করে, তখন তাকে যৌগিক বাক্য বলা হয়।
সাধারণত এই বাক্যগুলোকে সংযুক্ত করতে ব্যবহৃত হয় সংযোজক অব্যয় যেমন: এবং, ও, কিন্তু, অথবা, অথচ, কিংবা, বরং, তথাপি ইত্যাদি।
উদাহরণ:
-
ত্যাগ এবং জ্ঞান মানুষকে মুক্তির পথে পরিচালিত করে।
-
এখানে দুটি স্বতন্ত্র বাক্য আছে:
১. ত্যাগ মানুষকে মুক্তির পথে পরিচালিত করে।
২. জ্ঞান মানুষকে মুক্তির পথে পরিচালিত করে। -
সংযোজক: ‘এবং’
-
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 2 months ago
'তার বয়স বেড়েছে কিন্তু বুদ্ধি বাড়েনি'- এটা কোন ধরনের বাক্য?
Created: 3 months ago
A
যৌগিক বাক্য
B
সাধারণ বাক্য
C
মিশ্র বাক্য
D
সরল বাক্য
যখন দুটি বা তার বেশি স্বাধীন বাক্য (যেগুলো একা একা সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করতে পারে) যোজকের সাহায্যে একত্রিত হয়ে একটি বাক্যে রূপ নেয়, তখন সেটিকে যৌগিক বাক্য বলা হয়।
যৌগিক বাক্যে ব্যবহৃত যোজক
যৌগিক বাক্য গঠনে সাধারণত নিচের যোজক শব্দগুলো ব্যবহৃত হয়:
-
এবং, ও, আর,
-
অথবা, বা, কিংবা,
-
কিন্তু, অথচ,
-
সেজন্য, ফলে ইত্যাদি।
এছাড়াও, কমা (,), সেমিকোলন (;), কোলন (:), ড্যাশ (−) ইত্যাদি যতিচিহ্ন কখনো কখনো যোজকের কাজ করে যৌগিক বাক্য গঠনে সহায়তা করে।
যৌগিক বাক্যের উদাহরণ
-
তিনি আমাকে দশ টাকা দিলেন, এবং বাড়ি যেতে বললেন।
-
তার বয়স বেড়েছে, কিন্তু বুদ্ধি বাড়েনি।
-
হামিদ বই পড়ছে, আর সীমা রান্না করছে।
-
সে ঘর ঝাড়ু দিল, ঘর মুছল, তারপর পড়তে বসল।
-
অন্ধকার হয়ে এসেছে, বন্ধুরাও মুখ ভার করে রইল।
-
তোমরা চেষ্টা করেছ, কিন্তু আশানুরূপ ফল পাওনি, এতে দোষের কিছু নেই।
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ সংস্করণ

0
Updated: 3 months ago
"তারা তোমাদের ভোলেনি।" - কোন ধরনের বাক্য?
Created: 2 weeks ago
A
অনুজ্ঞাবাচক বাক্য
B
আবেগবাচক বাক্য
C
বিবৃতিবাচক বাক্য
D
কোনোটিই নয়
বক্তব্যের লক্ষ্য অনুযায়ী বাক্যকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিবৃতিবাচক, প্রশ্নবাচক, অনুজ্ঞাবাচক এবং আবেগবাচক বাক্য।
-
বিবৃতিবাচক বাক্য : যেসব বাক্যে সাধারণভাবে কোনো বিবরণ প্রকাশ পায়, সেগুলো বিবৃতিমূলক বাক্য। এগুলো ইতিবাচক বা নেতিবাচক উভয় রকম হতে পারে।
যেমন–-
আমরা রোজ বেড়াতে যেতাম।
-
তারা তোমাদের ভোলেনি।
-
-
প্রশ্নবাচক বাক্য : বক্তা কারও কাছ থেকে কিছু জানার জন্য যে ধরনের বাক্য বলে, সেগুলো প্রশ্নবাচক বাক্য।
যেমন–-
তোমার নাম কী?
-
সুন্দরবনকে কোন ধরনের বনাঞ্চল বলা হয়?
-
-
অনুজ্ঞাবাচক বাক্য : আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ বা প্রার্থনা প্রকাশের জন্য অনুজ্ঞাবাচক বাক্য ব্যবহৃত হয়।
যেমন–-
আমাকে একটি কলম দাও।
-
তার মঙ্গল হোক।
-
-
আবেগবাচক বাক্য : হঠাৎ কিছু দেখে বা শুনে বিস্ময়, আনন্দ বা ভয় প্রকাশ করতে যে ধরনের বাক্য গঠিত হয়, তাকে আবেগবাচক বাক্য বলে।
যেমন–-
দারুণ! আমরা জিতে গিয়েছি।
-
অত উঁচু পাহাড়ে উঠে আমি তো ভয়েই মরি!
-
(উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
গুরুচন্ডালী দোষে বাক্য কি হারায়?
Created: 5 days ago
A
প্রসাদ গুণ
B
আকাংক্ষা
C
আসক্তি
D
যোগ্যতা
তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশীয় বা তদ্ভব শব্দ মিশে গেলে অনেক সময় গুরুচণ্ডালী দোষ দেখা দেয়। এই দোষ তখনই হয়, যখন ভাষার দুই ভিন্ন উৎসের শব্দ একত্রে এমনভাবে ব্যবহৃত হয় যে তা ভাষার স্বাভাবিক সৌন্দর্য ও শুদ্ধতা নষ্ট করে। ফলে সেই শব্দ বা বাক্য অশুদ্ধ ও অগ্রহণযোগ্য হয়ে পড়ে।
-
তৎসম শব্দ সংস্কৃত থেকে অপরিবর্তিতভাবে গৃহীত শব্দ।
-
দেশীয় বা তদ্ভব শব্দ হলো সময়ের সঙ্গে ধ্বনিগত পরিবর্তনে গঠিত সহজ চলিত রূপ।
-
এই দুই শ্রেণির শব্দ একত্রে অনুপযুক্তভাবে ব্যবহার করলে তা ভাষার ধ্বনিগত ও রূপগত অসামঞ্জস্য সৃষ্টি করে।
-
যেমন— “অগ্নিলাগা” (অগ্নি + লাগা) শব্দে গুরুচণ্ডালী দোষ আছে, কারণ “অগ্নি” তৎসম এবং “লাগা” দেশীয়।
অতএব, গুরুচণ্ডালী দোষে আক্রান্ত শব্দ তার শুদ্ধতা ও প্রাঞ্জলতা হারায় এবং সাহিত্যিক ভাষার উপযোগিতা নষ্ট হয়।

0
Updated: 5 days ago