A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
মুনীর চৌধুরী
C
সমরেশ বসু
D
প্রমথ চৌধুরী
উত্তরের বিবরণ
প্রমথ চৌধুরী ‘বীরবল’ ছদ্মনামে লিখতেন।
প্রমথ চৌধুরী বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদান রেখেছেন। তিনি বাংলা ভাষার সাধু ও চলিত রূপের তুলনামূলক গবেষণা করেছেন এবং বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক ছিলেন। তিনি বিদ্রূপাত্মক প্রবন্ধের মাধ্যমে সাহিত্যকে নতুন দিশা দেখিয়েছেন।
-
তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল বীরবল।
-
‘বীরবলের হালখাতা’ প্রবন্ধটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯০২ সালে ভারতী পত্রিকা-তে। এ রচনায় প্রথমবার চলিত গদ্যের রীতি ব্যবহার করা হয়।
-
বাংলা কাব্য সাহিত্যে তিনিই প্রথম ইতালীয় সনেট প্রবর্তন করেন।
-
তাঁর পরিচিত প্রবন্ধগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে: নানা কথা, আমাদের শিক্ষা, রায়তের কথা, প্রবন্ধ সংগ্রহ, বীরবলের হালখাতা, তেল-নুন-লকড়ি।
-
গল্পগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: চার ইয়ারী কথা, নীললোহিত, আহুতি।
সূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 weeks ago
“বনফুল” ছদ্মনামে লিখতেন কে?
Created: 2 weeks ago
A
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
B
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
C
প্যারীচাঁদ মিত্র
D
নীহাররঞ্জন গুপ্ত
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
-
কবি, কথাশিল্পী, নাট্যকার, প্রবন্ধকার
-
ছদ্মনাম: বনফুল
-
জন্ম: ১৮৯৯ সালের ১৯ জুলাই, পূর্ণিয়া, বিহার
-
পূর্বপুরুষের আদি নিবাস: হুগলি জেলার শিয়ালখালা
-
স্কুলে পড়ার সময় ‘বনফুল’ ছদ্মনামে কবিতা রচনা শুরু
কাব্যসংকলন:
বনফুলের কবিতা, অঙ্গারপর্ণী, চতুর্দশী, আহবনীয়, করকমলেষু, বনফুলের ব্যঙ্গ কবিতা, নতুন বাঁকে, প্রভৃতি

0
Updated: 2 weeks ago
মীর মশাররফ হোসেনের ছদ্মনাম কী?
Created: 4 days ago
A
বনফুল
B
গাজীমিয়া
C
ভ্রমন
D
জরাসন্ধ
মীর মশাররফ হোসেনের ছদ্মনাম - গাজী মিয়াঁ । মীর মশাররফ হোসেন কর্তৃক রচিত রসরচনা গাজী মিয়াঁর বস্তানী (১৮৯৯) । পরবর্তীতে গাজী মিয়াঁ তার ছদ্মনামে রুপলাভ করে। বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম ' বনফুল ' এবং চারুচন্দ্র চক্রবর্তীর ছদ্মনাম 'জরাসন্ধ'।

0
Updated: 4 days ago
'ভানুসিংহ' কার ছদ্মনাম?
Created: 1 month ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
B
সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের
C
প্রমথ চৌধুরীর
D
টেকচাঁদ ঠাকুরের
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:
- তিনি ছিলেন কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।
- তাঁর পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
- এশিয়ার বরেণ্য ব্যক্তিদের মধ্যে তিনিই প্রথম ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
- রবীন্দ্রনাথ ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের চতুর্দশ সন্তান।
- ১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর বেণীমাধব রায়চৌধুরীর মেয়ে মৃণালিনী দেবী রায়চৌধুরীকে বিয়ে করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
- তিনি ১৯১৫ সালে ইংরেজ প্রদত্ত ‘নাইট’ উপাধি পান এবং ১৯১৯ সালে পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের কারণে ‘নাইট’ উপাধি ফিরিয়ে দেন।
- ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮) জোড়াসাঁকোর নিজ বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মোট নয়টি ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন। এগুলো হলো-
- ভানুসিংহ ঠাকুর,
- অকপটচন্দ্র ভাস্কর,
- আন্নাকালী পাকড়াশী,
- দিকশূন্য ভট্টাচার্য,
- নবীনকিশোর শর্মণঃ,
- ষষ্ঠীচরণ দেবশর্মাঃ,
- বাণীবিনোদ বিদ্যাবিনোদ,
- শ্রীমতি মধ্যমা ও
- শ্রীমতি কনিষ্ঠা।
----------------------
অন্যদিকে,
• সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ব্যবহৃত কিছু ছদ্মনাম হলো: নবকুমার, কবিরত্ন, অশীতিপর শর্মা, ত্রিবিক্রম বর্মণ, কলমগীর।
• প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল বীরবল।
• প্যারীচাঁদ মিত্রের ছদ্মনাম টেকচাঁদ ঠাকুর।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago