A
পানসা
B
ফুলেল
C
গোলাপ
D
হাতল
উত্তরের বিবরণ
গঠনগত দিক থেকে শব্দকে ২ শ্রেণিতে ভাগ করা যায়।
যথা:
- মৌলিক শব্দ ও
- সাধিত শব্দ।
• মৌলিক শব্দ:
যে-সব শব্দ বিশ্লেষণ করা বা ভাঙা যায় না, গােটা শব্দটাই নিজে নিজেই সম্পূর্ণ হয়ে আছে বা স্বয়ংসিদ্ধ, তাকে মৌলিক শব্দ বলে। মৌলিক শব্দ ভা চাইলেও তার ভগ্ন বা বিশ্লিষ্ট অংশের কোনাে অর্থ হয় না; সে কারণে অবিভাজ্য ও অর্থযুক্ত শব্দই মৌলিক শব্দ অর্থাৎ স্পষ্ট অর্থ ও অবিভাজ্যতাই মৌলিক শব্দের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
যেমন- মা, পা, ঘােড়া, উট, বউ, গােলাপ, নাক, লাল, শাল, তিন, লতা ইত্যাদি।
• সাধিত শব্দ:
যেসব শব্দকে বিশ্লেষণ করলে তার মধ্যে এক বা একাধিক অর্থপূর্ণ অংশ থাকে, সেগুলােকে সাধিত শব্দ বলে। উপসর্গ বা প্রত্যয় যােগ করে অথবা সমাস প্রক্রিয়ায় সাধিত শব্দ তৈরি হয়।
যেমন- পরিচালক, গরমিল, সম্পাদকীয়, সংসদ, সদস্য, নীলাকাশ, ডুবুরি, চলন্ত ইত্যাদি।
শব্দের দ্বিত্ব করেও সাধিত শব্দ হয়ে থাকে। যেমন: ফিসফিস, ধুমাধুম ইত্যাদি।
অন্যদিকে,
পানসা, ফুলেল ও হাতল ইত্যাদি সাধিত শব্দ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ) এবং ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 2 weeks ago
বাংলা কৃৎ-প্রত্যয় সাধিত শব্দ কোনটি?
Created: 14 hours ago
A
চামার
B
ধারালো
C
মোড়ক
D
পোষ্টাই
অক ও তদ্ধিত প্রত্যয়
‘অক’ কৃৎ-প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দ:
‘অক’ হলো একটি কৃৎ-প্রত্যয়, যা মূল ধাতুর সঙ্গে যোগ হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে। উদাহরণ:
-
√ঝল্ + অক → ঝলক
-
√মুড়্ + অক → মোড়ক
এই ক্ষেত্রে, ‘অক’ মূল ধাতুর অর্থকে ধরে রেখে নতুন রূপ দেয়।
তদ্ধিত প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ:
তদ্ধিত প্রত্যয় মূল ধাতুর অর্থ পরিবর্তন বা বর্ণনা যোগ করে নতুন শব্দ তৈরি করে। উদাহরণ:
-
ধার + আল্ → ধারাল / ধারালো
-
চাম (চর্ম) + আর → চামার
-
পোষ্টা + আই → পোষ্টাই
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 14 hours ago